You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.27 | বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক জোন প্রতিষ্ঠার বিজ্ঞপ্তি | বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় - সংগ্রামের নোটবুক

শিরোনাম

সূত্র তারিখ
বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক জোন প্রতিষ্ঠার বিজ্ঞপ্তি বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় ২৭ জুলাই, ১৯৭১

 

সাধারণ প্রশাসন দপ্তর
মেমো . নং গ / তারিখ ……… ..১৯৭১

ক্রম

১। মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত অনুসারে, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রধান কার্যলয় ও প্রশাসনিক এখতিয়ারের সহিত নিম্নবর্নিত প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

১)দক্ষিণ-পূর্ব জোন (১) এইচ কিউ ঃ সাবরুম ক। চট্টগ্রাম
খ। পার্বত্য চট্টগ্রাম
গ। ফেনী সাব ডিভিশন, নোয়াখালী জেলা

২)দক্ষিণ-পূর্ব জোন ( ২) এইচ কিউ ঃ আগরতলা ক।ঢাকা
খ। কুমিল্লা
গ। নোয়াখালী জেলা, ফেনী সাব ডিভিশন ব্যাতিত

৩)ইস্ট জোন এইচ কিউ ঃ ধর্মতলা ক। হবিগঞ্জ
খ। মৌলভীবাজার সাব ডিভিশন সিলেট জেলা

৪)উত্তর-পূর্ব জোন (১) এইচ কিউ ঃ দাওকি ক। সদর ও সুনামগঞ্জ সাব ডিভিশন সিলেট জেলা

৫)উত্তর-পূর্ব জোন ( ২) এইচ কিউ ঃ টুরা ক। ময়মনসিংহ
খ। টাঙ্গাইল

৬)নর্থ জোনের এইচ কিউ ঃ কোচবিহার ক। রংপুর

৭)ওয়েস্ট জোন এইচ কিউ ঃ বালুরঘাট ক। দিনাজপুর
খ। বগুড়া
গ। রাজশাহী

৮)দক্ষিণ – পশ্চিম জোন এইচ কিউ ঃ কৃষ্ণনগর ক। পাবনা
খ। কুষ্টিয়া
গ। ফরিদপুর
ঘ। যশোর

৯)সাউথ জোন এইচ কিউ ঃ বারাসাত ক। বরিশাল
খ। পটুয়াখালী
গ। খুলনা
বিঃদ্রঃ:
( 1) উপরল্লিখত জোনাল বিভাগ তৈরি করা হয়েছে মূলত জোনাল হেডকোয়াটারের নিকট অবস্থিত জোনের অন্তর্ভুক্ত জেলার বেশিরভাগ মানুষের উপস্থিতির উপরে ভিত্তি করে।
( 2 ) এটা মনে রাখা যেতে পারে যে, কোনো বিশেষ জেলার মানুষদের এমন কোনো জোনে পাওয়া যেতে পারে, যে জোনে সেই বিশেষ জেলা অন্তর্ভুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে তাঁরা যে বিশেষ জোনে সাময়িকভাবে অন্তর্গত হবেন।

2. জোনাল প্রশাসনিক পরিষদ :
প্রতিটি জোনে একটি জোনাল প্রশাসনিক পরিষদ স্থাপন করা হবে ।

জোনাল প্রশাসনিক পরিষদের গঠনতন্ত্র

( ক) জোনের সকল এম এন এ গণ ও এম পি এ গণ জোনাল প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য হবেন

সাধারনত একজন এম এন এ অথবা এম পি এ তার নিজ জেলা যে জোনে অন্তর্ভুক্ত সেই জোনের অন্তর্ভুক্ত হবেন এই লক্ষে যে, তিনি তার নির্বাচনী এলাকার সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে নিজ নির্বাচনী এলাকার স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করবেন।
তবে , একজন এম এন এ অথবা এম পি এ তার নিজ জেলা যে জোনে অন্তর্ভুক্ত নয় সেই জোনেও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন যদি তা পূর্ববর্তি অনুচ্ছেদে বর্ণিত লক্ষ্য অর্জনে অধিক সহায়ক হয়। এটি একজন এম এন এ অথবা এম পি এ এর সুবিধা এবং বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধানের উপরে নির্ভরশিল।
কোনো এম এন এ এবং এম পি এ একাধিক জোনের জোনাল প্রশাসনিক পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না।

(খ ) প্রতিটি জোনাল কাউন্সিল নিজেদের সদস্যদের মধ্য থেকে জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিলের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান নেতৃত্বে পরিচালিত হবে।

(গ) পরিষদের সদস্য – সচিব জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবেন ।

(ঘ) প্রশাসনিক কাউন্সিলের দায়িত্ব পালনের জন্য একটি জোনাল সচিবালয় থাকতে হবে।
আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের কার্যাবলী :
১) মন্ত্রিসভা, প্রশাসন ও রাজনৈতিক উপদেষ্ঠা মন্ডলি ও মন্ত্রি পরিষদের দ্বারা যে সব নিয়ম নীতি বিবৃত হবে তার চর্চা ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
২) আঞ্চলিক পরিষদ জনগনের সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং তাদরে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে যে দেশের সরকার তাদের সাথে আছে।
৩) আঞ্চলিক পরিষদ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে আঞ্চলিক প্রশাসন ও অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠন এক সাথে সম্মন্বয় করবে এবং বাংলাদেশ সরকার কতৃক সকল ত্রাণ কার্যক্রম ব্যবস্থা পর্যাবেক্ষণ করা হবে।
৪) আঞ্চলিক পরিষদ ত্রাণ কার্যক্রমের উপর দৃষ্টি রাখবে এবং ভুল-ত্রুটি সংশোধন করবেন।
৫) আঞ্চলিক পরিষদ যুব উন্নয়নে আইনগত ও প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রদান করবে।
৬) আঞ্চলিক পরিষদ স্থানীয় সেক্টর কমান্ডারদের সাথে সহযোগিতা বজায় রাখবে।
৭) আঞ্চলিক পরিষদ তার সীমানার মধ্য প্রশাসনিক সরঞ্জাম স্থাপনের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
৮) সদস্যদরে সাথে পরিষদ মাসে অন্তত ১ বার সাক্ষাত করবে। সম্পাদক ও সদস্যগন চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে আলোচনার কার্যাবলী তুলে ধরবেন। আলোচনার অন্তত ৫ দিন আগে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করতে হবে। গুরুত্ব বিষয় অন্তভুক্ত করার জন্য বিবিধ বিষয় সদস্যদ আলোচনা সভায় তাদরে প্রস্তাব পাঠাতে পারবে।
৪) আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের উপ-কমিটি:
ক) আঞ্চলিক পরিষদের সাধারন ভাবে নিচের উপ-কমিটি সমূহ গঠন করবে তাদের কার্যক্রম অপসারণ সহযোগী করার জন্য।
১) অর্থনৈকিত উপ-কমিটি
২) ত্রাণ উপ-কমিটি
৩) সাস্থ্য উপ-কমিটি
৪) প্রচার উপ-কমিটি
৫) শিক্ষা উপ-কমিটি
মন্ত্রিসভা কতৃক প্রতিষ্ঠিত কোন প্রস্তাবরে ভিত্তিতে যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে যে কোন উপ-কমিটি গঠন করতে পারেন।
খ) প্রতিটি উপ-কমিটিতে সর্বনিম্ন ৩ এবং সর্বোচ্চ ৭ জন আঞ্চলিক সদস্য দ্বারা গঠিত হবে।
গ) উপ-কমিটির মধ্য থেকে একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে।
ঘ) আঞ্চলিক অফিসার উপ-কমিটির পক্ষ থেকে সদস্য সচিবদের নিকট বিভিন্ন বিভাকে উপস্থাপন করবে।
৫) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা:
ক) প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চল একজন আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা দ্বারা নাম করন করা হবে।
খ) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা সরকারের দ্বারা নিয়োগ প্রাপ্ত হবে।
গ) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা যিনি পদাধিকার বলে আঞ্চলিক প্রশসনিক সংসদের সদস্য সচিব তিনি সবার কার্য বিবরণী সংরক্ষণ করবেন।
ঘ) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা সকলের কাজ সম্মন্বয় করবেন এবং তার আঞ্চলিক কর্মকর্তা নিকট দায়ি থাকবেন।
ঙ) আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কবলের সাথে সহযোগিতা ও সহমর্মিতা বজায় রাখবে এবং তাদের কাজে সহযোগিতা করবেন।
চ) তিনি সকল নীতি বাস্তবায়নে নির্বাহির কাছে আঞ্চলিক প্রশসনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
৬) আঞ্চলিক কর্মকর্তা:
ক) প্রতিটি অঞ্চলে থাকতে হবে-
১) একজন সাস্থ্য কর্মকর্তা
২) একজন শিক্ষা কর্মকর্তা
৩) একজন ত্রাণ কর্মকর্তা
৪) একজন প্রকৌশলী
৫) একজন পুলিশ অফিসার
৬) একজন তথ্য কর্মকর্তা
৭) একজন হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা
খ) আঞ্চলিক কর্মকর্তা সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিভাগ কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হবেন এবং কাজে নিজেকে সংযুক্ত রাখবেন।
৭) অর্থসংক্রান্ত:
ক) অর্থসংক্রান্ত বিষয় প্রতিটি অঞ্চলের উপ-কমিটি দ্বারা পরিচালিত হবে।
খ) অর্থসংক্রান্ত উপ-কমিটি ৫ জন সদস্য বিশিষ্ট হবে। আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান, আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা এবং অর্থসংক্রান্ত উপ-কমিটি একজন পদাধিকার বলে বাকি ৩ জন অর্থসংক্রান্ত উপ-কমিটি সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবে।
গ) অর্থসংক্রান্ত প্রতিটি উপ-কমিটি সদস্যদের ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে এবং তহবিল একটি ব্যাংক এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। চেক আঞ্চলিক প্রশসনিক কর্মকর্তা দ্বারা ইস্যু করা হবে এবং আঞ্চলিক প্রশসনিক সদস্যদের চেয়ারম্যান দ্বারা স্বাক্ষরিত হবে অথাব তার অনুপস্থিতিতে অর্থসংক্রান্ত কমিটির যে কোন সদস্য দ্বারা প্রতি স্বাক্ষরিত হবে।
ঘ) প্রতিটি খরচ নির্বাহি বিভাগ কতৃক সরকার প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করবে। নিদিষ্টি বন্টনের ভিত্তিতে সরকারি অনুমোদন দ্বারা কোন ব্যয় নির্বাহ করা হবে না।
ঙ) আঞ্চলিক হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা কতৃক সরকারের অর্থ সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী যথাযত ভাবে নিয়ন্ত্রন করবেন।
চ) অর্থসংক্রান্ত বিভগ কতৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ১ জন হিসাব রক্ষক মাসে ১ বার হিসাব পত্র নিরীক্ষা করবেন ও পরীক্ষা হিসাব বিবরনী অর্থ বিভাগের নিকট প্রেরণ করবেন এবং তা মন্ত্রিসভায় স্থানান্তর করতে হবে।
এস/ডি তাজউদ্দীন আহমদ
প্রধানমন্ত্রী
মেমো নং. তারখি :- ২৭/০৭/১৯৭১

অনুলিপি প্রদান:
1) M.N.A & P.A (All)
2) Head of Bangladesh Mission, Calcutta.
3) Secretaries (All)
4) Inspector General of Police.
5) Relief Commissioner.
6) Director General, Health Services.
7) Officer-On-Special Duty, Law & Parliamentary Affairs.
8) Chief Engineer.
9) Zonal Administrative Officers (All)
10) Private Secretaries (AH)
11) A.D.C to Commander-in-Chief.

(K.Ahmed)
Dy. Secretary.
General Administration Department.