শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
সামরিক বিজয়ই সমস্যার একমাত্র সমাধান, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের ঘোষনা, ১৫ ই জুলাই | এশিয়ান রেকর্ডার সেপ্টেম্বর ৩-৯, ১৯৭১ | ১৫ জুলাই, ১৯৭১ |
সামরিক বিজয়ই সমস্যার একমাত্র সমাধানঃ ১৯৭১ সালের ১৫ই জুলাই তারিখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ঘোষণা করেন যে, “সামরিক বিজয়ই সমস্যার একমাত্র সমাধান।”
বাংলাদেশ থেকে প্রচারিত ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা “দ্য পিপল“ এ বলা হয় যে, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের আওয়ামীলীগের সদস্যবৃন্দ এক সভায় চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক যুদ্ধের শপথ গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয় যে, বাংলাদেশের কোন এক স্থানে অনুষ্ঠিত ঐ সভায় জাতীয় পরিষদের ১১০জন ও প্রাদেশিক পরিষদের ২০০জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
শপথে বলা হয় যে, শুধু স্থলেই নয়, প্রয়োজনে আকাশ ও জলপথেও শত্রুদের ব্যতিব্যস্ত রাখা হবে ও বাংলাদেশের জনগণের স্বাধীনতাকে সুুরক্ষিত করতে শত্রুকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করা হবে।
বিমান ও নৌবাহিনীর সংযোজনের তাৎপর্য বিচারে মুক্তিফৌজের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিবাহিনী রাখার বিষয়ে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইতোমধ্যে মুক্তিফৌজের সদস্য সংখ্যা এক লক্ষ বিশ হাজার (১,২০,০০০) ছাড়িয়ে গিয়েছে যার মধ্যে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস ও আঞ্চলিক পুলিশবাহিনীর সদস্য চল্লিশ হাজার এবং স্বেচ্ছাসেবক আশি হাজার।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিপুল সংখ্যক বাঙালি কর্মকর্তা পাকিস্তান আর্মি ত্যাগ করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিফৌজকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
মুক্তিফৌজ নিয়ন্ত্রণাধীন পূর্ব বাংলার কিছু অঞ্চলে ব্যাপক সফর থেকে ফিরে এসএসপি নেতা সদাশিব বাগাইতকার ২৮জুলাই তারিখে ভারতের পুনায় মুক্তিফৌজের শক্তি ও সক্ষমতার এই খসড়া হিসাব তুলে ধরেন।
বাগাইতকারের ভাষ্য অনুযায়ী এই বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধারা আসলে ছাত্র, যুবশ্রমিক ও কৃষক। হাতিয়ার ও কৌশল ব্যবহার করে এদেরকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে বিশেষত গেরিলাযুদ্ধ করার জন্য।
তিনি আরো জানান যে, স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য মুক্তিফৌজের ২৪টি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প চালু রয়েছে।
——————–