বাঘাবাড়ি বধ্যভূমি
সিংহগাতির ৮ নং ওয়ার্ডের সমাজ প্রামানিকের ছেলে গাজী মো. আবুল হোসেন (৭১) বলেন, “যুদ্ধকালীন স্থানীয় রাজাকার আমির হোসেনের সহায়তায় পাকসেনারা গ্রামে ঢুকে মেয়েদের ধর্ষণ করায় গ্রামবাসী কারাইল দিয়ে পিটিয়ে ২ পাকসেনাকে হত্যা করে। এরপর পাকসেনারা সংঘবদ্ধভাবে গ্রামে ঢুকে বেশ কিছু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় গ্রামের কোরবান সরকার, জয়নাল মন্ডল, জেলহক, সাহেব আলী, মোক্তার হোসেন ও আবুল কাশেমসহ ৭/৮জনকে পাকসেনারা ধরে নিয়ে যায়। শুনেছি তাঁদের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি ঘাটে নিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়।
সিরাজগঞ্জের অন্যান্য বধ্যভূমির মধ্যে জেলা ইউনিয়নের মুছিবাড়িতে, উল্লাপাড়া উপজেলায় দূর্গানগর ইউনিয়নের সিংহগাতি বটতলায়, হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়া মধ্যপাড়ায়, হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাটধারী অন্ধপুকুড়পাড়ে, তাড়াশ উপজেলায় মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের আমবাড়িয়া গ্রামের দাখিল মাদ্রাসার উত্তর পাশের কবরস্থানের উত্তর দিকে ও কাজিপুর উপজেলায় বড়ইতলী গণকবর।