আমবাড়িয়া বধ্যভূমি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগায় ১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে ১৩০ জন পাকসেনা ও অসংখ্য রাজাকার ও আলবদর নিহত হয়। এরপর ১৩ নভেম্বর পাকসেনারা মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম জ্বালিয়ে দেয় এবং পার্শ্ববর্তী আমবাড়িয়া গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এসময় পাকবাহিনীর হাতে এ গ্রামের ১৩ জন শহীদ হন। এঁরা হলো – শহীদ ইয়ার মোহাম্মদ, মেহের আলী মন্ডল, সুলতান সেখ, সফিজ সেখ, দেছের আলী প্রামানিক, মজিবর রহমান, কিসমত আলী, ফয়েজ উদ্দিন, মোক্তার হোসেন, ওসমান গনি, জুব্বার ফকির, আমিন উদ্দিন ও আব্দুর রহমান। এ বিষয়ে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দ্বারা বলেন, হত্যাযজ্ঞের পর ওই ১৩ শহীদের লাশ স্থানীয়তা একত্রিত করে আমবাড়িয়া গ্রামের দাখিল মাদ্রাসার উত্তর পাশের কবরস্থানের উত্তর দিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
এ দিনে শহীদ হওয়া ইয়ার মোহাম্মদের ছেলে দোবিলা ইসলামপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক লুৎফর রহমান জানান, বর্তমান সরকারের আমলে স্থানীয় সাংসদ গাজী ইসহাক আলী তালুকদার ৫ টন টিআর বরাদ্দ দিয়েছিল। তা থেকে পাওয়া অর্থে (দৈর্ঘ্য ১০৮ ফুট ও প্রস্থ্য ৮ ফুট) গণকবরে দেয়াল তৈরি করা হয়েছে। (তথ্য সংগ্রাহক – শফিউল হক বাবলু, প্রভাষক-তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও স্থানীয় সাংবাদিক)