You dont have javascript enabled! Please enable it! জৈন্তাপুর বধ্যভূমি - সংগ্রামের নোটবুক

জৈন্তাপুর বধ্যভূমি

সিলেট শহর থেকে ২৬ মাইল দূরে জৈন্তাপুর। একাত্তরের মে মাসের প্রথমদিকে পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনী ক্যাপ্টেন হামিদের নেতৃত্বে জৈন্তাপুর প্রবেশ করে। তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজবাড়ি আর জৈন্তা বাজারকে কেন্দ্র করে স্থাপন করে তাঁদের ডেরা। জৈন্তাকে তারা একটি বধ্যভূমিতে পরিণত করে। দালালদের সহযোগিতায় পাকবাহিনীর হাতে প্রথম শিকার হলেন নিজপাট গ্রামের আলতাফ হোসেন ও রাসিক আলী। পাকসেনাদের হাতে ধরা পড়ার সাথে সাথে এঁদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর জৈন্তা গ্রামে পাকবাহিনী একেক করে অসংখ্য বাঙালিকে হত্যা করে, তাঁদের কয়েকজনের নাম হলো- নিজপাট গ্রামের মনই মিয়া, ময়না খাসিয়া, আবুল হোসেন, মিছিয়া বিবি, আবদুল লতিফ, বাচ্চু মিয়া ও আবদুর রশিদ, বিড়াখাই গ্রামের গ্রামের মবশ্বর আলী, মুছা মিয়া, ফরমান মিয়া ও কনু মিয়া, রূপচেং গ্রামের মতচ্ছির আলী, হেলিরাই গ্রামের আবদুর রহিম ও সিরাজ উদ্দিন, জাঙ্গালহাটির শামসুল হক, খলা গ্রামের ইছাক মিয়া। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: সিলেটে গণহত্যা তাজুল মোহাম্মদ, পৃ.-৮৫-৮৮)