সুন্দিশাইল গণহত্যা
যুদ্ধ চলাকালীন গোপালগঞ্জে পাক হানাদার বাহিনী ৩৪ ব্যক্তিকে হত্যা করেছিল। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে ২৭ শহীদের গণহত্যা ও হত্যার ঘটনা নিবন্ধিত রয়েছে। তবে পাকসেনারা অপর ৭ জনকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছিল সেটি নথিভূক্ত নেই।
১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ অক্টোবর রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় উপজেলার সুন্দিশাইল গ্রামে ২৩ ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। সুন্দিশাইল গ্রামের ২৩ শহীদরা হলেন, খুর্শেদ আলী, আসদ আলী, তুতা মিয়া, চান্দ মিয়া, মুবেশ্বর আলী, কুটু চান্দ মিয়া, ওয়ারিছ আলী, মস্তন আলী, ওহাব আলী, সুনু মিয়া, সমুজ আলী, মাতাই মিয়া, আনু মিয়া, কুটলা মিয়া, মুতলিব আলী, চুনু মিয়া, মানিক মিয়া, খালিক মিয়া। অন্য ৫ জনের নাম জানা যায়নি।
এছাড়া গোপালগঞ্জ উপজেলার মুকিতলা গ্রামে ৪ জন বইটিকর বাজারে ৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ গ্রামে ১ জন, বাদেপাশায় ১ জন ও রানাপিং ইউনিয়নের চন্দনভাগ পকিটিলার পাশে ১ ফরাসি ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পাকহানাদার বাহিনী।
স্থানীয় প্রশাসন সুন্দিশাইল ও মুকিতলা এলাকায় গণহত্যা ও হত্যার স্থান চিহ্নিত করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছে।