কাকশিয়ালী বধ্যভূমি
কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ বিশ্বাস (৫৬) ও কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুনছুর আলী জানান, পাকিস্তানি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা থেকে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ কেউই রেহাই পায়নি। কাকশিয়ালী গ্রামে খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ সেতু সংলগ্ন এলাকায় পাক হানাদার ও তাঁদের দোসররা সে সময় অনেক মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছিল। তাঁদের হাত থেকে রেহাই পায়নি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মিয়াজান আলী বিশ্বাস। তাকে কাকশিয়ালী নদীতে পানিতে নামিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। কাকশিয়ালী বধ্যভূমিতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল ওই গ্রামের আরমান আলী নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে এবং চাদখালী গ্রামের ডা. শুভ্র সরকারকে। এছাড়াও নারায়নপুরের ওলি মিস্ত্রীর বাড়ির কামরার ভিতরে এক যুবককে ধরে এনে জবাই করে হত্যা রাজাকার ও আলবদর বাহিনী।