পূর্ব নারায়নপুরের বধ্যভূমি
কালীগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৭২), মোমরেজপুর গ্রামের আব্দুল মাজেদ (৬০) ও মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার হোসেন গাজী (৫৮) জানান, জুনের মাঝামাঝি পাক হানাদার বাহিনী ও তাঁদের দোসরদের নির্যাতনে স্থানীয় অনেকেই বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। দিন দিন তাঁদের অত্যাচার এতই বেড়ে যায় যে দিনের বেলায়ও লোক যাতায়াত করার সাহস পেতো না। হানাদার বাহিনী বর্তমান পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভবনগুলোতে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা বড় একটি বাংকার খনন করে। লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচারের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাকে তারা হত্যা করে। এসময় হানাদার বাহিনী ও তাঁদের দোসররা অনেকের লাশ পার্শ্ববর্তী কাকশিয়ালী নদীতে ফেলে দেয়।
পূর্বনারায়নপুর গ্রামের মৃত ছাবিরুদ্দীন মোড়লের ছেলে আবুল মোড়লের বাড়ির পাশে রয়েছে একটি বধ্যভূমি। এখানে অনেককে হত্যা করেছিল পাক বাহিনী। তবে মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কেউ জানাতে পারেনি। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এখানে অসংখ্য মানুষের খুলি ও হাড় পাওয়া গেছে। যেগুলো সে সময়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।