বাবলাবন গণকবর শ্রীরামপুর পদ্মার তীর, রাজশাহী
২৫ নভেম্বর ১৯৭১, রাজশাহী। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে চরম নাজেহাল হয়ে পাকিস্তানি সৈন্য রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি কমিটি ও স্বাধীনতা বিরোধী বিহারিদের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হত্যা করার পরিকল্পনা করে।
২৫ নভেম্বর রাতে পাক সৈন্যরা দোসরদের সহযোগিতায় স্বাধীনতাকামী শিক্ষক, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, সংগঠক, সমাজসেবীসহ বেশকিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বিভিন্ন কায়দায় হাত ও চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে আনে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় উদ্যানের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে টি-বাধ সংলগ্ন শ্রীরামপুর পদ্মা নদীর তীরে তাঁদের নির্মম নির্যাতন করে চোখ-হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বালির মধ্যে জীবন্ত পুঁতে হত্যা করে।
৭২ এর ১৯ জানুয়ারি শ্রীরামপুরে পদ্মার তীরে একটি দড়িতে বাঁধা গলিত-বিকৃত ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়। সেদিন যাদের এখানে জীবন্ত পুঁতে হত্যা করা হয় তারা হলেন-শহীদ আজিজুল হক চৌধুরী, শহীদ মকবুল হোসেন চৌধুরী, শহীদ আলতাফ হোসেন, শহীদ মীর আব্দুল কাইউম, শহীদ তসলিম উদ্দিন, শহীদ আবুল হোসেন, চেয়ারম্যান শহীদ আলাউদ্দিন, শহীদ তৈয়ব আলী, শহীদ নওরোজদৌলা খান, শহীদ মীর্জা সুলতান, শহীদ আমিনুল হক চৌধুরী। অন্য ৬ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
১৯৯৫ সালের ২৫ নভেম্বর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন রাজশাহী কেন্স্রীয় উদ্যানের দক্ষিণে টি-বাধ সংলগ্ন স্থানে একটি স্মৃতি ফলক স্থাপন করে। (তথ্যসূত্র: ওয়ালিউর রহমান বাবু, মুক্তিযুদ্ধের তথ্যসংগ্রাহক)