You dont have javascript enabled! Please enable it! অভয়নগর গণকবর - সংগ্রামের নোটবুক

অভয়নগর গণকবর

১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ ৭ ট্রাক ভর্তি লাশ নিয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে পাক সেনারা। এ সময় রেলওয়ে স্টেশনের রুস্তম আলী সরদার (গার্ড এ ডাউন এক্সপ্রেস), এস এম (গার্ড ৬৪ ডাউন প্যাসেঞ্জার), সালেহ আহমেদ, নওয়াব আলী (চেকার), আইনুল হক (পোর্টার), ইমার আলী (পয়েন্টসম্যান), আব্দুল ওদুদ (পয়েন্টসম্যান), আতর আলী (ওয়াচম্যান), নূর শেখ (প্যাসেট) ও শামছু (খালাসী) কর্মরত ছিলেন। কার্যালয়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় রুস্তম আলি সরদার ও নওয়াব আলীকে হত্যা করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে অন্যরা বেঞ্চের নিচে আশ্রয় নেন। এরপর পাক সেনারা তাঁদেরকে বের করে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে। এতে চেকার সালেহ আহমেদ ও ৬৪ ডাউন প্যাসেঞ্জার গার্ড এস এম হক নিহত হন। পোর্টার আইনুল হককে কার্যালয়ের বাইরে বের করে গুলি করলে গুলিটি তার হাতে লাগে। ফলে তিনি বেঁচে যান। ওয়াচম্যান আতর আলীকেও একইভাবে হত্যা করা হয়। লাশগুলো একই অবস্থায় ৫ দিন পড়ে থাকে। আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া রেল কর্মচারী দীন বিহারী সিংহ স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করেন। নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বপাশে লাশগুলো কবর দেওয়া হয়। এটাই অভয়নগর থানার একমাত্র গণকবর। ২০০৯ সালে গণকবরটিতে একটি স্মৃতিসত্মভ তৈরি করা হয়।