রূপদিয়া নীলকুঠি বধ্যভূমি
যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারে ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত উপ-মহাদেশের সর্বপ্রথম ও সর্ববৃহৎ নীলকুঠি পরবর্তীতে ৭১ সালের বদ্ধভুমিটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।
রূপদিয়ার এই নীলকুঠিকে অভিশপ্ত নীলকুঠি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বধ্যভূমিতে পরিণত হয়। ৭১ সালে এ দেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও পাকিস্তানি খান সেনারা মুক্তিকামী মানুষদের ধরে এনে এই নীলকুঠিতে হত্যা করে পুঁতে রাখতো বা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিতো।
রূপদিয়ার নির্যাতনের শিকার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা জানান, এ এলাকার অসংখ্য দেশ প্রেমিক যুবককে ধরে এনে এই নীলকুঠিতে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়েছে। চাউলদিয়া গ্রামের মোস্তফা মৌলভী কচুয়ার হোসেন আলী খান, হাটবিলা গ্রামের নুরুল ইসলামসহ নাম না জানা অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে এখানে হত্যা করা হয়। এই নীলকুঠির বধ্যভূমির জায়গা দখল করে নির্মিত হয়েছে দালানকোটা ও ঘরবাড়ি। শুধু মাত্র ভাঙাচোরা প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কবর আলী মকবুল হোসেন ও আজিবর রহমান এই বধ্যভুমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানান।