কেতনার বিল
১ জ্যৈষ্ঠ রোববার সকালে প্রাণ বাঁচাতে পালাতে গিয়ে পাক বাহিনীর গুলিতে আগৈলঝাড়ায় শত শত নারী পুরুষ কেতনার বিলে শহীদ হয়। পাক বাহিনীর ভয়ে ঘটনার দিন সকালে চেংগুটিয়া এলাকা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ জীবন কেতনার বিল পাড়ি দিয়ে উপজেলার কোদালধোয়া, রামানন্দেরআক, বাকাল এলাকায় পালানোর সময় কেতনার বিলের পাশে কেষ্ট পাত্রর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পাক সেনারা পুব দিক থেকে পশ্চিম দিকে আসতে দেখে দৌড়ে পালানোর সময় পাক সেনাদের ব্রাশ ফায়ারে কেতনার বিলে সহস্রাধিক মানুষ ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। কেতনার বিল জুড়ে লাশের স্তূপ তৈরি হয়। অনেক লাশ শিয়াল কুকুরে ছিঁড়ে খেয়ছে। পরদিন এলাকার অমূল্য পাত্র ও হরলাল পাত্রর নেতৃত্বে পাত্র বাড়ির বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি গর্ত করে লাশগুলো মাটি চাপা দেওয়া হয়। ঐ বাড়ির সদস্য শিশুসহ ১৯ জনকেও এর মধ্যে মাটি দেওয়া হয়। অন্য লাশগুলো কেতনার বিলেই পচে গলে নষ্ট হয়ে যায়। পাক হানাদাররা এই উপজেলার কাঠীরা গ্রামের গীর্জার সামনের একটি ডোবায় গুলি করে ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ওই ডোবার মধ্যেই লাশগুলো মাটি চাপা দেয়।