মন্নান হাওলাদারে বাড়ির বধ্যভূমি
বরিশালে পাক বাহিনী ২৫ এপ্রিল প্রথমে আসে। ঝুনাহার নদীর দুই প্রবেশ পুথে নোঙ্গর করে থাকা ইরানী অ মাজভী নামে দুইটি স্টিমার জঙ্গী বিমান থেকে বোমা নিক্ষিপ্ত করে দুবিয়ে দেয়। পরে আরো দুই হেলিকপ্টারে এসে পাক সেনারা তালতলী এলাকায় এসে অবতরন করে। একই সঙ্গে গানবোট থেকে গুলিবর্ষণ ও সেল নিক্ষেপ করতে করতে ঝুনাহারহার নদীর মুখে চরবাড়ীয়ার তালতলীর পুবপাশে গাওলাদার বাড়ির সামনে নোঙ্গর করে। এই সময় জঙ্গী বিমান দুইটি আকাশে উড়ে উড়ে তাঁদের পাহারা দিতে থাকে আর গোলাবর্ষণ করে। পাকিস্তানি সেনারা শক্তি বৃদ্ধি শহরে দিকে যেতে থাকে। এই সময় সামনে যাকে পেয়েছে তাঁকেই গুলি করে হত্যা করেছে। বাড়ি বাড়ি প্রবেশ করে শিশু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে তারা।
বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মন্নান হাওলাদারের বাড়ির রিকসা চালক ছত্তার রাড়ী আত্মরক্ষার জন্য একটি ট্রেঞ্চ খনন করে। পাক বাহিনী সেখানে ৭জন সহ ওই এলাকায় ৪৭ জনকে হত্যা করে। বাড়িঘরে ফসলের ক্ষেতে অ খড়ের পালায় তারা আগুন দেয়। (তথ্যসূত্র: একাত্তরের রক্তাক্ত চরবাড়িয়া ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।)