সোহাগদল বধ্যভূমি
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি থানার সোহাগদল গ্রামের একই পরিবারের ৭ জনকে পাক হানাদার বাহিনী গুলি করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। গ্রামবাসী এই ৭ জন শহীদকে একই কবরে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। সোহাগদলের এই গণকবরটি এখনও একাত্তরের গণহত্যার সাক্ষ্য বহন করছে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১১৫, ৩৪১; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ- ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৪২৬; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, চতুর্থ খণ্ড- মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-২২৭; মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, প্রথম খণ্ড- আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সম্পাদিত, পৃ.-১৯৬; দৈনিক সংবাদ, ৯ জুলাই ১৯৯৩)
এছাড়া, অলংকারকাঠী বধ্যভূমি, পাইলট বিদ্যালয়ের পিছনের জলাশয় বধ্যভূমি, স্বরূপকাঠি মাদ্রাসা বধ্যভূমি, ভীমকাঠী বধ্যভূমি, ছৈলাবুনিয়া বধ্যভূমি, বাশতলা বধ্যভূমি, দৈহারী চিলতলা বধ্যভূমি, বরছাকাঠীতে দু’টি বধ্যভূমি, গুয়ারেখা বধ্যভূমিতে হাজার হাজার নর-নারীকে হত্যা করা হয়।
বরছাকাঠীতে একই পরিবারের ৭ জনকে একই দড়িতে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে এবং পরে গর্ত করে তাঁদের কবর দেওয়া হয় বলে জানান পিরোজপুর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ড কাউন্সিল।