বালেশ্বর নদীর ঘাট বধ্যভূমি
পিরোজপুর শহরের বালেশ্বর নদ সংলগ্ন (পুরাতন) খেয়াঘাটের সিড়িতে ৫ মে অনেক নিরীহ মানুষকে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এসময় মহকুমা প্রশাসক আ. রাজ্জাক, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট সাঈফ মিজানুর রহমান, মহকুমা পুলিশ অফিসার ফয়জুর রহমান আহম্মেদ, জেলা দুর্নীতি দমন বিভাগের দারোগা হীরেন্দ্র মহাজনকে দখলদার বাহিনী ক্যাপ্টেন এজাজ নিজেই গুলি করে হত্যা করে। বালেশ্বর নদ বধ্যভূমি জেলার সব চেয়ে বড় বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত। এখানে সহস্রাধিক নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়।
অন্যসূত্রে দেখা যায়-পিরোজপুর শহরের বালেশ্বর নদীর ঘাটের ওপর দাঁড় করিয়ে পাক বাহিনীরা অসংখ্য নিরীহ বাঙালিদের হত্যা করত। তারা স্থানীয় দালালদের সহযোগিতায় একাত্তরের ৬ মে দূর্নীতি দমন বিভাগের দারোগা হীরেন্দ্র মহাজনসহ আরো কয়েকজনকে এই ঘাটে গুলি করে হত্যা করে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্যসূত্র: একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-১১৪, ৩৩৯-৩৪২; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ- ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৪২৭; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, তৃতীয় খণ্ড- মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-২২; মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস, প্রথম খণ্ড- আবু মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সম্পাদিত, পৃ.-১৯৬; দৈনিক সংবাদ, ৯ জুলাই ১৯৯৩)