জয় বাংলা পুকুর বধ্যভূমি
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন বধ্যভূমিটি ‘জয় বাংলার পুকুর’ নামে পরিচিত। ৩০ এপ্রিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গোপালগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে। তারা সিও অফিসে ‘মিনি ক্যান্টনমেন্ট’ স্থাপন করে। এখান থেকেই হানাদার বাহিনী বিভিন্ন স্থানে গিয়ে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, অত্যাচার নির্যাতন চালাত এবং মুক্তিকামী মানুষকে ধরে আনত। শত শত মানুষকে মিনি ক্যান্টনমেন্টে আটক রেখে নির্যাতন ও অত্যাচার করত। ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন পুকুরপাড়ে মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা করে লাশ পদ্ম পুকুরে ফেলে দিত। ফলে এক সময়ের পদ্ম পুকুরে পরিচিত হয়ে ওঠে জয় বাংলা পুকুর নামে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুতফার রহমান বাচ্চু জানান, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ ক্যান্টনমেন্টে মুক্তিযোদ্ধা গোলজার চৌধুরী, আবদুল লতিফ, অধ্যাপক সন্তোষ দাস, গিরিন, দীলিপসহ শত শত মানুষকে হত্যা করে লাশ পদ্ম পুকুরে ফেলে দেয়। স্বাধীনতার পর এই পুকুর ও তার পাড়ে মানুষের মাথার খুলি, হাড়গোড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।