রেল কলোনি সংলগ্ম ডবা বধ্যভুমি
খুলনার রেল কলোনি এলাকাতে পাকসেনাদের সহযোগী একদম অবাঙালির প্রাধান্য ছিল। ঐ সময়ে রেল কলোনি এলাকাতে দিনে বা রাতে যখনই কোন বাঙালি গিয়েছে, সে আর ফেরেছি তাঁদের হত্যা করে পুঁতে রাখা হতো। ঐসব কলোনিতে বসবাসকারী অনেক বাঙালি রেল কর্মচারীও এই হত্যার শিকার হয়েছে। এখান থেকেই খুলনা থানার তৎকালীন দারোগা আবুল কাশেমের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার আশিয়ানি হোটেলের সামনে বিরাট একটা ডোবা আছে। সে ডোবায় বহু বাঙ্গালির লাশও নিক্ষেপ্ত করা হয়েছে। এখানে বস্তার বন্দি লাশও ভাস্তে দেখা গেছে। একবার এক্ট বস্তা খুলে শার্ট–প্যান্ট পরা সুদর্শন এক তরুনের লাশ পাওয়া যায়। রেল কলোনি থেকে খুলনা থানার দারোগা আবুল কাশেমের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত তথ্য সূত্রঃ একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-৩০২; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডাঃ এম এ হাসান, পৃ.-৩৯৪; মুক্তিযুদ্ধ কোষ, চতুর্থ খন্ড – মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, পৃ.-৫৯; বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দলিলপত্র, অষ্টম খন্ড – হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত, পৃ. –৪৮০; দৈনিক সংবাদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)