টেকনাফ বধ্যভূমি
রামু কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোশতাক আহ্মদ জানান, টেকনাফের নাইট্যং পাড়ায় একটি বধ্যভূমি রয়েছে। ওখানে পাহাড়ে হত্যা, ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। ওই লাশগুলো সমাহিত করা হয় গণকবরে। টেকনাফের প্রবীন রাজনৈতিকবিদ আনোয়ার মিয়া জানান, টেকনাফের বধ্যভূমিটি ছিল উপজেলা পরিষদের পশ্চিমের পাহাড়ে। ওখানে বিপুল সংখ্যক মানুষকে হত্যা করা হয়। কক্সবাজারে উখিয়া, রামু, চকরিয়াসহ বিভিন্ন স্থানের মানুষজনকে ধরে এনে পাকিস্তানি হানাদাররা এ হত্যাযজ্ঞ চালায়। বর্ত্মানে এ বধ্যভূমিটির কোন চিহ্ন খুজে পাওয়া যায় না। অধায়পক মাহবুবুল হক জানান, টেকনাফ সেনা ক্যাম্পের কাছেই যে বধ্যভূমি সেখানে পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। যুদ্ধ শেষে এই বধ্যভূমি থেকেই কমপক্ষে ১১৫ জন মানুষের হাড় ও মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়। অন্যসূত্রে বলা হয়েছে–কক্সবাজারের টেকনাফে সেনানিবাসের সামনের কবর থেকে ৭৭টি নরকংকাল পাওয়া গেছে। (মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সংগৃহীত সূত্রঃ একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর – সুকুমার বিশ্বাস, পৃ.-৫৯–৬০; যুদ্ধাপরাধ গণহত্যা ও বিচারের অন্বেষণ – ডা. এম এ হাসান, পৃ.-৩৮২; দৈনিক বাংলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২)