মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ওসমানীর রণাঙ্গণ সফর
২রা অক্টোবর, বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্ণেল এম, এ, জি ওসমানী পূর্ব রণাঙ্গনের অগ্রবর্তী অঞ্চল, বিভিন্ন হাসপাতাল ও মুক্তি সেনাদের শিবির পরিদর্শন করে বিপুল প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যে ৫ দিন ব্যাপী সফরের পর আজ মুজিবনগরের মুক্তিবাহিনীর সদর দফতরে ফিরে আসেন। তিনি রনাঙ্গনের মুক্তি যােদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন স্থানে ভাষণ দেন। | মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি মুক্তি সেনাদের কঠোর মনােবল অসম সাহস, দুর্জয় আত্মবিশ্বাস এবং আত্মােৎসর্গের বিপুল প্রেরণা দেখে গর্ববােধ করেন। তিনি তাদেরকে আরও তৎপর হতে এবং ত্যাগস্বীকারের জন্য আহ্বান জানান। তিনি ভাষণদানকালে মুক্তিযােদ্ধাদের অসম সাহসিকতা ও দেশাত্মবােদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সমগ্র জাতি তাদের এই দুঃসাহসী অভিযানের জন্য গর্বিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন যে, আপনারা এই মুক্তি সম্রামের ভেতর দিয়ে একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছেন। প্রধান সেনাপতি তাদেরকে একথা স্মরণ করিয়ে দেন, বাঙালিরা নাকি যোদ্ধাজাত নয়, এই ভ্রান্ত ধারণা আপনারা একদম পাল্টে দিয়েছেন। তিনি তাঁর ভাষণে আরও বলেন যে ছয় মাসের যুদ্ধে মুক্তি যােদ্ধারা যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন তাতে করে আমাদের জনসাধারণের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে।
বিপ্লবী বাংলাদেশ ১৫৮
১০ অক্টোবর ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড ০৯
একাত্তরে প্রকাশিত আওয়ামী লীগের মুখপত্র “জয় বাংলা” পত্রিকায় ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর “সর্বাধিনায়ক” উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম কলামের দ্বিতীয় খবর দ্রষ্টব্য। ওসমানী শুধুমাত্র একটি বাহিনীর অধিনায়ক।