পাকিস্তানি বিমান ক্রমাগত ভারতের আকাশসীমা লক্ষ্মন করিতেছে। সত্য, এটা পাকিস্তানী বিমানবাহিনীর পুরােনাে অভ্যাস। কিন্তু এখন শান্তির সময় নয়, ভুল করিয়া ঢুকিয়া পড়িয়াছে—এই কৈফিয়ৎ অচল। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতে পাক বিমানের অনুপ্রবেশ যেমন চুড়ান্ত হঠকারিতা, ঠিক তেমনিই সে বিমানকে পালাইতে দেওয়াও এক ধরনের ব্যর্থতা। ইতিপূর্বে এ জাতীয় ঘটনা উপলক্ষে লােকসভায় আশ্বাস দেওয়া হইয়াছে-পর্যবেক্ষণব্যবস্থায় কোনও ক্রটি নাই, সরকার হুশিয়ার । হুশিয়ারির প্রমাণ হিসাবে মাঝে মাঝে পাকিস্তানের কাছে প্রতিবাদলিপি প্রেরিত হয়। কিন্তু পরক্ষণেই আবার পাক বিমান ভারতের আকাশে ডানা মেলে। এমন পরিবেশে প্রতিবাদের চেয়ে প্রতিরােধই যে সঠিক বন্দোবস্ত, মনে হয় ভারত সরকার অবশেষে তাহা হৃদয়ঙ্গম করিয়াছেন। খাসি-জয়ন্তিয়া পার্বত্য এলাকায় হানাদার পাকিস্তানী বিমানকে এবার ভারতীয় বিমান তাড়াইয়া সীমান্তের ওপারে দূর করিয়াছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং সীমান্তের এপার পাক নাশকতার পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থাটাও কিন্তু অনেকের কাছে মনে হইতে পারে-দ্রতা। এর পর অনুপ্রবেশকারী বিমানকে ভূতলশায়ী করাই হইবে ঔদ্ধত্যের সমুচিত জবাব । সে নির্দেশ নাকি দেওয়াই আছে, তবু কেন এই ঔদার্য?
১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১