রবিবাসরীয় আলােচনা এই যুদ্ধ শেষ যুদ্ধ
–নিখিল সরকার
এই যুদ্ধ ভারতের সঙ্গে আমাদের শেষ যুদ্ধ হুংকার দিয়েছেন রণােন্মাদ ইয়াহিয়া খান। তবে তাই হােক, উত্তর দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের অতর্কিত বিমান হামলার জবাব দিতে ভারতীয় বিমান বহিনী পরক্ষণেই হানা দিয়েছে শক্রর ঘাঁটিগুলােতে। বিমানের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে গেছে নৌ আর স্থলবাহিনীও। | এই উপমহাদেশে আজ এক সর্বাত্মক লড়াইয়ে মত্ত। পাকিস্তানের সঙ্গে এই যুদ্ধই কি আমাদের শেষ যুদ্ধ। বলা শক্ত। তবে দুটি সিদ্ধান্ত বােধ এক্ষুনি টানা যেতে পারে। এক- এই যুদ্ধ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যেতে বাধ্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই বাস্তব অস্তিত্ব, বিশ্বের মানচিত্রে রক্তের অক্ষরে লেখা হয়ে গেছে তার নাম । দ্বিতীয় সত্য এই, এই যুদ্ধ পুরানাে পাকিস্তানকে মৃত বলে ঘােষণা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বাংলার মাটিতে তাকে চিরকালের মত কবরস্থ করল। তারপরও হয়তাে পশ্চিম পাকিস্তান কোনও একদিন যুদ্ধ ঘােষণা করবে ভারতের বিরুদ্ধে কিন্তু সেসব অনাগত ভবিষ্যতের কথা । আজকের কথাইয়াহিয়ার জীবনে এই যুদ্ধ অবশ্যই ভারতের বিরুদ্ধে শেষ যুদ্ধ। কয়েক দশক আগে আর এক উন্মাদ হিটলারও ঘােষণা করে বলে শেষ যুদ্ধের বাসনার কথা। তার পরিণতি আমরা জানি। ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের গতি ইঙ্গিতে বলছে, একই পরিণতি অপেক্ষা করে আছে, ইয়াহিয়ার জন্যও। খান সাহেব যতদিন বেঁচে থাকবেন এই যুদ্ধ তার কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে থাকবে। বিভীষিকাময় স্মৃতি। ইয়াহিয়া তবু যুদ্ধই চেয়েছেন। শান্তি তার কাছে বর্জনীয়। দীর্ঘ আট মাস সময় পেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু সে সময়টুকু শান্তির সন্ধানে খরচ করতে রাজী হননি, তাঁর সব উদ্যম, সব উদ্যোগ যুদ্ধের জন্য। সর্বাত্মক যুদ্ধ। জেনারেলের আর এক সহযােগী জনাব ভুট্টোরও সব উৎসাহ ব্যয়িত হয়েছে এই লক্ষ্যে যুদ্ধ চাই, সর্বাত্মক যুদ্ধ। ইয়াহিয়া বার বার বলেছেন, এবার যুদ্ধ হলে সে যুদ্ধ হবে সর্বাত্মক। যাকে বলে ‘টোটাল ওয়ার’। ভুট্টো লিখেছেন- সেটাই যুক্তিসম্মত। আমাদের কালের সব যুদ্ধই সর্বাত্মক। ইউরােপীয় প্রতিরক্ষা ধারণার মূলেও সর্বাত্মক লড়াইয়ের চিন্তা।
পাকিস্তানের কোনও অধিকার নেই খণ্ডযুদ্ধের চিন্তা করে দেশকে বিপন্ন করার। ভুট্টো আর ইয়াহিয়া দুইজন মানুষ বটে, কিন্তু মূলত তারা একই সত্তা। জেনারেলের হৃদয়ের মুখ ভুট্টোর সামরিক মুখ জেনারেল। দুই-ই একাত্ম, দুই-ই পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক বাণিজ্যিক আমলাতন্ত্র চত্রের প্রতীক মাত্র। | কেন ওঁরা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করলেন, জুয়া খেলায় কেন এই প্রকাণ্ড ‘দান’ ধরলেন সে সব। কথা পরে। আপাতত যুদ্ধের কথাই হােক। পাকিস্তান এর আগে ভারতের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছে দুইবার। দুইবারই আক্রমণের মুহূর্তে ভারত ছিল অপ্রস্তুত। তবে এই প্রস্তুতিহীনতা অবশ্য এক স্তরে ছিল না। ৬৫ সনের সেপ্টেম্বরে কাশীর দখলের চেষ্টায় নামবার আগে এপ্রিলে কচ্ছের রাণে আচমকা হামলা চালিয়ে পাকিস্তান ভারতকে ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছিল ভারত আক্রমণের সাহস এবং সাধ দুই-ই তার। আছে। তাছাড়া প্রথম এবং দ্বিতীয়বারের পাকিস্তানী হামলার মধ্যে যে মতি সেখানে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ। ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৬২ সনে চীনের লড়াই। ফলে আমাদের প্রতিরক্ষার চিন্তার যুগান্তকারী পরিবর্তন। সুতরাং প্রথম বারের হামলায় পাকিস্তান যদিও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের সুযােগে একফালি কাশ্মীর হাতে পায়, দ্বিতীয়বার তাকে শূণ্য হাতেই ফিরতে হয়েছে। বলা চলে- ক্ষতবিক্ষত হাতে, ক্ষত চাটতে। তাছাড়া ৬৫ সনের যুদ্ধে আরও কিছু নগদ লােকসান হয়েছে পাক জঙ্গীশাহীর। (এক) পাঁচজন ভারতীয় সৈন্য সমান একজন পাকিস্তানী সৈন্য এই উপকথার মৃত্যু হয়েছে। (দুই) পূর্ব বাংলা জেনেছে, সে পাকিস্তানের কে এবং পাকিস্তান যাদের হাতে, তারাই বা কারা। মনে রাখা চাই মুজিবর এবং আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ছয়দফা দাবি পত্র যুদ্ধের অব্যবহিত পরে বসে লেখা। এককথায় ‘৬৫র যুদ্ধের পর পাকিস্তানের সামরিক রাজনৈতিক চরিত্র সম্পূর্ণ নগ্ন । এবার শুরু হয়েছে তৃতীয় যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কী চেহারা নেবে পাকিস্তান আগে ভাগেই জানিয়ে রেখেছে। জনাব ভুট্টো একদা ভারতের বিরুদ্ধে হাজার হাজার বছর লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প ঘোষণা করেছিলেন। চীন থেকে ফিরে এসে তার সদম্ভ উক্তি সিন্ধু আর গঙ্গার জল লালে লাল হয়ে যাবে।
লড়াই হবে প্রতি ইঞ্চি জমির জন্য, লড়াই হবে প্রতিটি বাড়িতে, প্রতিটি ঘরে। ভুট্টো মনে মনে স্তালিনগ্রাদের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কারণ আর কিছু নয়- ভুট্টো তার আগেই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সতর্কবাণীটি মনােযােগ দিয়ে শুনেছেন। শ্রী জগজীবন রাম বার বার হুশিয়ার করে দিয়েছেন পাকিস্তান যদি ভারত আক্রমণ করেন, তবে ভারতীয় বাহিনী সে লড়াই নিয়ে যাবে পাকিস্তানের মাটিতে। ঠিক এ-ধরনের কথাই সেবার বলেছিলেন শাস্ত্রীজী। বলেছিলেন- আমরা লড়াই করব আমাদের পছন্দসই সমরে, পছন্দমত জায়গায় ‘অ্যাট এ টাইম অ্যান্ড প্লেস অব আওয়ার চুঞ্জিং।’ ভারত এবার আর কোনও সামরিক রাজনৈতিক বিতর্কের অবকাশ রাখেনি। আমাদের তরফ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে- সর্বাত্মক লড়াইয়ের বিরুদ্ধে ভারতের সাড়া হবে সর্বাত্মক। ‘৬৫ সনের যুদ্ধ এক অর্থে সর্বাত্মক, অন্য অর্থে নয়। দুই বাহিনীই আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করেছিল। যুদ্ধ তবু সর্বার্থে সর্বাত্মক। সেদিন লাহাের বিমানবন্দরে উড়ােজাহাজ নামাবার আগে আমেরিকাকে ভারতের অনুমতি নিতে হয়েছে বটে, কিন্তু প্রবল প্ররােচনা সত্ত্বেও ভারত পূর্ব বাংলাকে লক্ষ্য করে একটি গােলাও নিক্ষেপ করেনি। বাংলাদেশ ছিল সে-যুদ্ধে সম্পূর্ণ অক্ষত, নিম্পূহ দর্শক মাত্র । এবার প্রধান রণক্ষেত্র, অন্তত ভারতের দৃষ্টিতে-বাংলাদেশ। প্রধান পরিবর্তন সেখানেই। ভারত সরকার জানিয়ে দিয়েছেন, এবারকার যুদ্ধে আমাদের মূল লক্ষ দুইটি। এক- বাংলাদেশ থেকে দখলকার পশ্চিম পাকিস্তানী বাহিনীকে উচ্ছেদের সাড়ে সাত কোটি বাঙালীর মুক্তি সাধন। দুই-পশ্চিম পাকিস্তানের সমর যন্ত্রকে চুর্ণ করা। পশ্চিম পাকিস্তানের জমির উপর ভারতের কোন লাভ নেই। জমি দখল যদি এই মুহূর্তে করা হচ্ছে দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে সে নিজেদের জমি রক্ষা করার জন্যই। মূল লক্ষ্য-শত্রুর বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া। প্রথম লক্ষ্য প্রায় পূর্ণ। বাংলাদেশ মুক্ত। ভুট্টো যে স্তালিনগ্রাদ স্বপ্নে দেখেছিলেন, বলা নিষ্প্রেয়ােজন, বাংলাদেশে সে মহান যুদ্ধের সঙ্গে তুলনীয় কোনও যুদ্ধের নজির যদি স্থাপিত হয়, তবে তা স্থাপন করবেন মুক্তি যােদ্ধারা আর তাদের সহযােদ্ধা ভারতীয় বাহিনী। বাংলাদেশের জনসাধারণ যে সেখানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর জন্য বিশাল মৃত্যু শয্যা রচনা করে বসে আছেন সে কথা তিনি জানতেন নাঃ ইয়াহিয়া খানের নিজের হিসাব- দেড় লক্ষ বাঙালী আজ সশস্ত্র মুক্তিযােদ্ধা।
আরও কয়েক লক্ষ অস্ত্র ধারণের অপেক্ষায়। বিদেশী পর্যবেক্ষকরা ঘুরে এসে জানিয়েছেন- বাংলাদেশের ভেতরে প্রতিটি গ্রামে বন্দরে নগরে মুক্তিযােদ্ধাদের সহদরেরা ওঁৎ পেতে বসে আছেন। আশি হাজার পাকিস্তানী সৈন্যের সাধ্য নেই সেই আগুন থেকে রক্ষা পায়। ভারতীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপের পরে আজ তাদের পালাবার পথও বন্ধ। একমাত্র পথ বাংলার সবুজ মাটিতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া, কিংবা আত্মসমর্পণ । অতি দ্রুত বেগে এগিয়ে আসছে শেষের সেদিন। এই যুদ্ধে ভারতের নৈতিকতা প্রশ্নাতীত। অন্যের দেশে এক কোটি শরণার্থী ঠেলে দেওয়া এক ধরনের আক্রমণ। পাকিস্তান সেখানেই নিরস্ত হয় নি। পরক্ষণেই শুরু করেছে সীমান্তে গােলাবর্ষণ। তারপর সরাসরি-ব্যাপক আক্রমণ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তখন স্বভাবতই ভারতের আত্মরক্ষার যুদ্ধে পরিণত। ভারতীয় নেতৃত্বের পক্ষে এটা পরম গৌরবের কথা, ঐতিহাসিক মুহূর্তটিকে চিনে নিতে তারা দ্বিধা করেননি। মুক্তিযুদ্ধের অধিকার যে-কোন অত্যাচারিত জনগােষ্ঠীর রয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনেও (Bellum Justum) সে-অধিকার স্বীকৃত। সে যুদ্ধে নৈতিক সমর্থন নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। সশস্ত্র সমর্থনও ভারতের এক্তিয়ারে। কেননা, বাংলাদেশে যতক্ষণ হানাদার আছে, ততক্ষণ ভারতের নিরাপত্তা নেই, শরণার্থীদের ঘরে ফেরার কথা বলা যায় না- সংকট যথাস্থানেই থেকে যায়। আর পাকিস্তানের প্রকাশ্য সার্বিক আক্রমণের পরেতাে কথাই নেই। ভারতীয় বাহিনী আজ করাচির দিকে এগিয়ে গেলেও বলার কিছু নেই। সর্বাত্মক যুদ্ধ। সব পথ ধরেই চলতে পারে। পাকিস্তান এসব পরিণতির কথা ভেবেছিল? মনে হয় না। মনে হয় তার হিসেবে কোথায় ভুল ছিল। আরও অনেক দেশের মত পাকিস্তানী জঙ্গীতন্ত্র ও বােধহয় ভেবেছিল- ভারত এতদূর এগােবে না। সর্বাত্মক যুদ্ধের কথা বললেও, তারমনে বােধহয় আশা ভারত খণ্ডযুদ্ধেই নিজেকে আবদ্ধ রাখবে। আর একান্তই যদি সর্বাত্মক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে, তবে সে যুদ্ধ আর কতদিন চলবে? পাকিস্তানের বন্ধু এবং পৃষ্ঠপােষক এবং পথ প্রদর্শকরা ছুটে আসবে, মুহূর্তে যুদ্ধ বিরতি হয়ে যাবে। পাকিস্তান জেনেশুনে বিরাট এই ঝুঁকি নিয়েছে, কারণ তার সামনে যুদ্ধ ছাড়া আর কেনও পথ খােলা ছিল না।
সে জানে-বাংলাদেশ দখল রাখা শক্ত। বাংলামূলূক যদি ছেড়ে আসতেই হয়, তা ভারতীয় বাহিনীর কাছে তা ছেড়ে আসা কি ইয়াহিয়ার পক্ষে অধিকতর সম্মানজনক নয়? পশ্চিম পাকিস্তানীদের কাছে কৈফিয়তটা তখন অনেকাংশে বিশ্বাসজনক ঠেকবে। আর ইত্যবসরে বাংলার বদলে পাঞ্জাবীদের হাতে যদি পুরাে কাশ্মীর তুলে দেওয়া সম্ভব হয়, তবে তাে কথাই । নেই। পাকিস্তানী জেনারেলরা নাকি বলে বেড়াচ্ছিলেন বাংলার যুদ্ধ হবে দিল্লির ময়দানে। পাকিস্তানের সামরিক লক্ষ্য ভারতের জমি। অন্যতম রাজনৈতিক লক্ষ্য-আন্তর্জাতিক সংকট সৃষ্টি করে পাকিস্তানের অনুকূলে রায় আদায় করা। | সাররিক ব্যাপারে, সন্দেহ নেই, পাকিস্তান ইজরায়েলের পদঙ্ক অনুসরণ করতে চেয়েছেন। ছয়দিনের চমকপ্রদ লড়াইয়ে ইজরায়েল যেভাবে আরবদের জব্দ করেছিল, হঠাৎ ভারতীয় বিমান আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানও তাই করতে চেয়েছিল। ভুট্টো তাঁর “দি মিথ অব ইনডিপেনডেন্স’ বইয়ে ইজরায়েলকে তুলনা করেছেন ভারতের সঙ্গে। কিন্তু নিজে তিনি পাকিস্তানের জন্য যে সামরিক কৌশল সুপারিশ করেছেন, তাতে আচমকা বিমান আক্রমণ, হঠাৎ শক্রর জমি দখল করে সেখানে চুপচাপ বসে থাকা-এসব অবশ্য কর্তব্য। বলে চিহ্নিত। পাকিস্তান তা-ই করতে চেয়েছিল। | কিন্তু সেটা যে আগুন নিয়ে খেলা জঙ্গীশাহী এতক্ষণে নিশ্চয় সেটা বুঝতে পেরেছে। ততক্ষণে নিশ্চয়। সেটা বুঝতে পেরেছে। আজ আর ফেরার উপায় নেই। বাংলাদেশে তার চূড়ান্ত পরাজয় অবধারিত। যুদ্ধে অপ্রত্যাশিতের জন্য একটা এলাকা নাকি ধরে রাখা হয়। তা রেখেই আজ নিদ্বিধায় বলা চলে পশ্চিম সীমান্তে। ও পাকিস্তানকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত কোনও ঠাই মিলছে না। পাকিস্তান পযুদস্ত হতে বাধ্য। এই যুদ্ধ অবশ্যই ইয়াহিয়া খাঁর শেষ যুদ্ধ। সম্ভবত জনাব ভুট্টোরও। আর ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জিগীর যদি না থাকে, তবে পাকিস্তানের এই জঙ্গীতন্ত্রই কি থাকবে? “ভারতকে ধ্বংস কর” এই শ্লোগান গত পঁচিশ বছর ধরে যে রাষ্ট্রের নিশ্বাস-প্রশ্বাস, তা যদি বন্ধ হয়ে যায় খণ্ডিত পাকিস্তানেরও ভিত ও কি তবে চৌচির হয়ে যাবে না? এই যুদ্ধ শুধু ইয়াহিয়া খানের শেষ যুদ্ধ নয়, সম্ভবত পাকিস্তানেরও শেষ যুদ্ধ।
১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড ০৮, আনন্দবাজার পত্রিকা