২১ আশ্বিন ১৩৭৮ শুক্রবার ৮ অক্টোবর ১৯৭১
-সিলেটে গেরিলাদের বাসানো মাইনে পাকিস্তান সৈন্যবাহী একটি বাস বিধ্বস্ত হয়।
রাজশাহির উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত গ্রাম চাউকায় মুক্তিবাহিনী আক্রমণে ৫ জন পাক সেনা নিহত হয়। চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যাংক লুট।
-Naval Commandos of Bangladesh sunk two ships carrying arms for Pakistan Army-Pakistan ship Nasim and Greek ship Ahvolm(সংবাদপত্র)
-লন্ডনে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী একদল পাকিস্তানী কর্তৃক লাঞ্ছিত হন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টির উদ্দেশে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে একদল উর্দুভাষী তাঁর ওপর চড়াও হয় এবং সভা পণ্ড করার চেষ্টা করে এবং তিনি সামান্য আহত হন।
-রংপুরের তিলকা, চিলমারি, কালিগঞ্জ, সালদানদী, ফেনীর কতিপয় অঞ্চল এখন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে।
-কুষ্টিয়া জেলার ইছাখালি সীমান্ত থেকে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর উপর ফিল্ডগানের সাহায্যে ২২ রাউন্ড গোলাবর্ষণ করে। ভোর ৩-১৫ মিঃ থেকে অপারেশন শুরু হয়।
-কুমিল্লা জেলার শালদা ও নয়নপুর এলাকা থেকে মুক্তিবাহিনী ভারী মর্টার ও রিকয়েললেস রাইফেল থেকে প্রচণ্ড গলাবর্ষণ করে। পাকবাহিনী দুপুর ১২-২৫ মিঃ এ অপারেশনে হতভম্ব হয়ে যায়।
-সিলেট সীমান্ত এলাকা থেকে মুক্তিবাহিনী মর্টারের সাহায্যে পাকবাহিনীর উপর আক্রমণ চালায়। দুপুর ১১ টায় আতঙ্কিত মুক্তিবাহিনীর হামলায় পাকবাহিনী বেশ হতাহত হয়।
-যশোর জেলার বেনাপোলে মুক্তিবাহিনী ফিল্ডগানের সাহায্যে প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। মুক্তবাহিনী ৫০ রাউন্ড গোলাবর্ষণ করে বিকেল ৬ টায়।
-খুলনা জেলার ভোমারাতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনী ১৭০ রাউণ্ড গোলাবর্ষণ করে। বহু হতাহত হত। সকাল ৭টায় এ অপারেশন হয়।
-মুক্তিবাহিনী ইছাখালীতে রাত ৩-২৫ মিঃ পাকবাহিনী উপর ১২০ এম এম মর্টারের সাহায্যে ৮৭ রাউণ্ড গোলাবর্ষণ করে। বিকেলে মুক্তিবাহিনী আবার পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ চালিয়ে ৭০ রাউণ্ডে গোলাবর্ষণ করে।
-বাংলাদেশ ক্রীড়ার ইতিহাসে একটি ঘটনা। মাতৃভূমির উদ্ধারের সংগ্রামের ঘটনাবলী বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করার জন্য কলকাতার কলেজ স্কোয়ার ট্যাংকে এক নাগাড়ে ৯০ ঘন্টা ৬ মিনিট সাঁতার কেটে বেসরকারী বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করেন বাংলার সাতারু শ্রী অরুন নন্দী। স্থানীয় বহুবাজার ব্যায়ামগার সমিতি ও চাঁদপুর সম্মিলনী সমিতির যৌথদ্যোগে এই সাঁতার অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন বাংলাদেশ মিশন প্রধান এম হোসেন আলী। তাঁর পাশে ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত সাঁতারু ব্রুজেন দাস।
-ময়মনসিংহের এ কে মোশাররফ হোসেন এম পি এ, সিলেটের জসিম উদ্দীন আহমদ ও কুমিল্লার এডভোকেট মুজিবুর রহমান ডাঃ মালেক মন্ত্রীসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করে।
-সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগীন আলজিয়ারস (৪-৮ আগষ্ট) সফর শেষে এক যুক্ত ইস্তেহারে বলা হয়ঃ “The declared their respect for “ the national unity and territorial integrity of Pakistan and India” and appealed to those countries to find a settlement for the problems confronting them “in conformity with the principles of non-interference, mutual respect, good-neighborly relations and the spirit of the Tashkent meting” (KCA, pp 24949)।উল্লেখ্য, মুজিবনগরে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে এ যুক্ত ইস্তেহারের বহুমুখী আলোচনা করেন। মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
Reference:
একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী