You dont have javascript enabled! Please enable it! কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা (২) বাংলাদেশের ডায়েরি - অরুণ চক্রবর্তী - সংগ্রামের নোটবুক

কলকাতা-ঢাকা-কলকাতা (২) বাংলাদেশের ডায়েরি

— অরুণ চক্রবর্তী

২৭ মারচ সকাল সদরঘাটের দিকে ব্যাপক হত্যার খবর পেলাম। আগুনের ভয়ে যারা পালাচ্ছিল তাদের প্রত্যেককেই নাকি গুলি করা হয়েছে। মগবাজারে নাকি সৈন্যরা বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ঢুকে হত্যালীলা চালাচ্ছে। আমি আমার নিরাপত্তার কথা ভাবছি। কেননা, আমি জানি আমি কোন প্রকারে ধরা পড়লে এই পরিবারটাকে ধ্বংস করে ফেলবে। কিন্তু এখান থেকে পালাবার কোন পথ দেখছি না। যদিও শুনছি, ই পি আর বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং পুলিশবাহিনী বিদ্রোহ করেছে, তারাও সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়ছে। | নিজের মৃত্যুর কথাও ভাবতে পারছি না। দুপুর বারােটা কোনরকমে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম। বন্ধুকে প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে পরামর্শ দিলাম। আমার কাছে যা কাগজপত্র ছিল, এমনকি আমার পরিচয়পত্র, ডায়েরী এবং কিছু ফটোগ্রাফ সব পুড়িয়ে ফেললাম।

চারিদিকে কামান দাগার শব্দ প্রচণ্ড হয়ে বাজছে। আমি খুবই ঘাবড়ে যাচ্ছি। বন্ধু বাড়ির ওপরে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা টাঙিয়ে দিল। নিজের বন্দুকটাতে টোটা ভরে রাখল। শােনা যাচ্ছে, অবাঙ্গলীরা সৈন্যদের সহায়তায় বাঙালীদের হত্যা করছে। রাত আটটা পাকিস্তান রেডিও শেখ মুজিবরের গ্রেফতারের খবর দিয়েছে। ওদিকে চিটাগাং রেডিও বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র  হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। | ঢাকার প্রকৃত অবস্থা বােঝা যাচ্ছে না। তবে, বেশ কিছু সংখ্যক বাংলা বাহিনীকে দ্রুত ঢাকা সারকিট হাউসের দিকে এগিয়ে যেতে দেখলাম। বিকালে। দূরের ডি আই টি বিডিংয়ের পাদদেশ থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে। এপাশে লড়াই যে হবে না এ কথা মনে করার কোন কারণ নেই।

গতরাতে ঘুমােতে পারিনি। আজ রাতেও ঘুম হবে না বুঝতে পারছি। কেননা, নিজেকে এবং এই বাড়ির মানুষগুলােকে বাঁচাবার কোন উপায়ই খুঁজে পাচ্ছিনা। ২৮ মারচ, রাত আজকের সারাদিনের খবরে একটু স্বস্তির আভাস পাওয়া গেছে। মুক্তিযােদ্ধারা ঢাকার অনেক অংশে বিজয়ী হচ্ছে বলে সকলে বলাবলি করছে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নাকি অবরােধ করে আছে তারা। | এই খবরটুকুই যেন বাঁচার একমাত্র মন্ত্র মনে হচ্ছে। সকলের মুখেই স্বস্তির চিহ্ন নজরে পড়ছে। রাস্তায় বেরিয়েছে অনেকে। তারা ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি দিচ্ছে। আমার মুখেও হাসি ফুটছে।  একটা গুজব রটেছে, ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করেছে। সীমান্ত এলাকায় জোর লড়াই চলছে। ভারত এমন ভূমিকা গ্রহণ করবে বলে মনে হয়না। তবু সকলের মতাে আমিও বিশ্বশক্তিগুলাের নীরবতায় এক প্রচণ্ড অস্বস্তি বােধ করছি। আজ অনেক পরিবারই এই পাড়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে। রাস্তায় আজ এই বাস্তুত্যাগিদের মিছিল দেখতে পেয়েছি। ছােট টিনের বাকস, নােংরা কথা বালিশের পােটলা, রেডিও হাঁড়ি পাতিল কেরােসিন স্টোভ ইত্যাদি নিয়ে কাখে পাে, কোলে পাে” হয়ে সব লাইন দিয়ে পশ্চিমের দিকে চলেছে। শুনছি, তারা গ্রামের দিকে চলে যাচ্ছে।

প্রথমটা আমার বন্ধুর বাবা চলে যাবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা দুজনে তার প্রস্তাবের বিরােধিতা করেছি। এখন খারাপ লাগছে। রাতে এলাকাটা নির্জন হয়ে গেছে। ঢাকা শহরের এই এলাকাটায় নিষ্প্রদীপ। ভয়টা আরাে বেড়েছে সে কারণে। ডি আই টি বিলডিংসের অপর পাশে জিন্না এভিনিউর দিকে আলাে জ্বলছে। সদরঘাটের দিকে জ্বলছে আগুন। দক্ষিণের আকাশ লাল হয়ে উঠেছে। | গােলাগুলির আওয়াজ সমানে চলেছে।

২৯ মারচ, দুপুরের পরে বন্ধু এসে বলল তাদের পাড়ার এক ভদ্রলােক একটি বেবী ট্যাকসি ভাড়া করে টাঙ্গাইলের দিকে যাচ্ছে। ঢাকা বেতার কেন্দ্রের চারপাশে প্রচণ্ড লাড়ই চলছে। আমি টাঙ্গাইলের পথে ওদের সঙ্গে যেতে পারি শুনে লাফিয়ে উঠলাম। ঠিক করলাম, চলে যাবাে। | একটা লাল কাগজ কেটে রেডক্রশ বানিয়ে আঠা দিয়ে একটা টুকরাে কাপড়ে সেঁটে নিলাম। ব্যাগ আর জামাকাপড় বন্ধুর কাছে রেখেছিলাম। একটা পাঞ্জাবী, এক চেক লুঙ্গি, গামছা আর বন্ধুর একটা জীর্ণ ছাতা নিয়ে বেবী ট্যাকসিতে উঠলাম। পকেটে থাকল হাবিব ব্যাঙ্কের একটা ডায়েরী থেকে ছিড়ে নেওয়া বাংলা দেশের ম্যাপ। হাতে জ্বলজ্বল করছে রেডক্রশ। ভদ্রলােক ঢাকায় এক পােস্ট অফিসে কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী এবং ছােট ছােট দুটি মেয়েকে নিয়ে তিনি বেবী ট্যাকসিতে উঠেছেন। আমি তার একটি মেয়েকে কোলে নিয়ে একপাশে বসলাম। পায়ের কাছে কিছু বিছানাপত্র এবং কয়েকটি বাকস আর বালতি ব্যাগ। বন্ধুকে অমন বিপদে ফেলে আসতে খুব অপরাধী লাগছিল নিজেকে। বন্ধু আমার দুর্বলতাকে বুঝতে  পেরে বললেন, ‘দ্বিধা করছ কেন? আমাদের সবাইকেই নিজেদের জীবন বাঁচাতে হবে। টাঙ্গাইলে আমার থাকার উপায় থাকলে আপনাকে যেতে দিতাম না। ভালাে লাগল। বেবী ট্যাকসি ঢাকা শহরের পশ্চিম প্রান্তের অনেকগুলি রাস্তা ঘুরে ঘুরে চলল তীব্র গতিতে। আমরা সবাই রুদ্ধশ্বাস। আমার সঙ্গী ভদ্রলােকের স্ত্রী চোখ বুজে আছেন। আমরা জড় মূর্তিবৎ। দুপাশে আগুনে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি আর মৃতদেহ। গুলির ঘায়ে, ধারালাে অস্ত্রের ঘায়েও নিহত অনেকে। পাকা ড্রাইভার। রাস্তার মৃতদেহ গুলােকে এড়িয়ে এড়িয়ে তীব্র গতিতে সে চালাচ্ছে। একবার নিরুপায় হােয়ে এক মৃত দেহের উপর দিয়ে চালালাে সে। আমি ড্রাইভারের মুখটা দেখতে পাচ্ছিলাম না। তার চোখ জ্বলছে না তা থেকে জল ঝরছে বুঝতে পারলাম না। কানে আসছে গােলাগুলির আওয়াজ। নিজের জীবনটাকে এমন করে হাতের মুঠোয় নিয়ে চলতে নিজের দেশে কেমন অবশভাব জাগছিল। আমার সব বােধ হারিয়ে যাচ্ছিল।

কোন মৃতদেহই আমার মনে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারছিল না। আমি তখন প্রচণ্ড স্বার্থপর মানুষ। বেবী ট্যাকসিটাকে প্লেনের গতিতে ছুটে যেতে দেখলেই যেন আমি খুশী হতাম বেশী । প্রায় ঘন্টাখানেক পরে আমরা টাঙ্গাইলের রাস্তায় উঠলাম। সামনে প্রলম্বিত রাস্তা। জনপ্রাণী নেই। কোথাও। উদ্ভশ্বাসে ছুটছে আমাদের বেবী ট্যাকসি।  অনেক রাত। চারাবাড়িতে এসে পৌছেছি বিকেলের কিছু আগে। আমার সহযাত্রীরা টাঙ্গাইলের কলেজ পাড়ায় তাদের বাড়িতে চলে গেছেন। ওঁরা তাঁদের বাড়িতে থাকতে বলেছিলেন। আমি রাজী হইনি।  টাঙ্গাইল শহর ময়মনসিংহ এবং ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ৬০/৭০ মাইলের প্রধান দুটি সড়ক দিয়ে যুক্ত। সকালে যুদ্ধের যেমন ব্যাপকতা দেখেছি তাতে টাঙ্গাইলেও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে অল্পসময়ের মধ্যে। কেননা, ইতিমধ্যে শহরের এক প্রান্তে ছােটখাট সংঘর্ষ ঘটে গেছে। টাঙ্গাইল শহরের অনেক বাড়ির মাথায় পাকিস্তানী পতাকা উড়তে দেখলাম। কিছু বাড়ীতে কালাে পতাকা এখনও চোখে পড়েছে। জয়-বাংলা পতাকার সংখ্যা কম দেখলাম। শহরের সর্বত্র একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। যুদ্ধের জন্য ইতিমধ্যেই অনেক মহল্লায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হয়েছে অনেক মােড়ে। টাঙ্গাইলে আসবার পথে মির্জাপুরের মাইল খানেক এগিয়ে (ঢাকার দিকে) একটা বিশাল গাছ কেটে পথ অবরােধ করা ছিল। আমাদের বেবী ট্যাকসি পাশের ধান ক্ষেতের মধ্যে দিয়ে অবরােধের অপর প্রান্তে পৌছেছে।

এই পথেই একটা কলেজের পাশে (জায়গাটার নাম এখন কিছুতেই মনে করতে পারছিনা) এমন আর। একটি অবরােধের মুখােমুখি হতে হয়েছিল। | সেখানকার বন্দুকধারী যুবকেরা আমাদের বেবী টাকসিটাকে একটা গর্ত পেরুতে প্রভূত সাহায্য করেছিলেন। এই যুবকদের দৃঢ় প্রত্যয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার বিশ্বাস জন্মেছিল, টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনী বিনাযুদ্ধে তাদের অধিকার বিস্তার করতে পারবে না। কলেজ পাড়া থেকেই একটা বাঁধান রাস্তা পশ্চিম মুখখা চলে গেছে। জানলাম, এই রাস্তা প্রায় পাঁচ-ছয় মাইল দূরে যমুনা তীরের। চারাবাড়ী ঘাট পর্যন্ত গেছে। আমি ম্যাপ খুলে দেখলাম, যমুনা নদীর এই অংশ ঢাকা থেকে পাখী-ওড়া দূরত্বে প্রায় ৫০ মাইল দূরে, ময়মনসিংহ থেকে তেমনি প্রায় ৬০ মাইল দুরে। টাঙ্গাইল এখন বর্ধিষ্ণু জেলা শহর। কয়েক বছর আগে টাঙ্গাইল মহকুমা একটি পৃথক জেলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। চারাবাড়ী ছােট নদী-বন্দর। সেখানে গিয়ে পৌছুতে পারলে আমি যে কোন পথে রওনা হতে পারব বলে মনে হল। আমার সহযােগী তার এক মােক্তার বন্ধুর চারাবাড়ীর দর্জিপাড়ার বাড়ির কথা বললেন। ইতিমধ্যেই তার বন্ধু দর্জিপাড়ায় চলে গেছেন জানা গেল। 

তখন বেলা চারটে পেরিয়ে গেছে। এক বাটি চিড়ে গুড় আর দুধ খেয়ে আমি রওনা হয়েছি। পাঁচ-ছয় মাইল হাঁটতে কত সময় লাগতে পারে আমার ধারণা নেই। তাই বেশ জোরের সঙ্গেই হাঁটতে শুরু করলাম। কাধে ছাতাটা বন্দুকের মত ধরে একটা লুঙ্গি পরে আমি হাঁটছিলাম। এই রাস্তায় আরাে লােকজনকে হাঁটতে দেখে আমার এটু সাহস হল। মাঝে মধ্যে সাইকেলে কয়েকজনকে যেতে দেখলাম। গ্রাম্য লােককেও হাঁটতে দেখলাম। কেউ আমার সঙ্গে, কেউ পিছিয়ে বা এগিয়ে। তখন বেশ কিছু পথ চলে গেছি। তাকিয়ে দেখি, বিপরীত দিক থেকে একজন গ্রাম্য লােক আমাকে নিরীক্ষণ করতে করতে এগিয়ে আসছেন। আমি একটু ব্ৰিত হােয়ে হাই তুললাম। “বাড়ি কনে?” হেসে জবাব দিই, “ঢাকা।” লােকটি চলে গেলেন।

আমি বুঝতে পারলাম বিপদ আসন্ন। নিজেকে প্রস্তুত করলাম। আমার নাম আব্দুস সামাদ চৌধুরী (আমার বন্ধুর নাম এটা)। বাড়ি, দিনাজপুর শহরের বালিয়াডাঙ্গীতে। ঢাকায় পড়াশুনাে করি, এম-এ ইংরেজিতে (আমার সাবজেকট ছিল এ দিনাজপুরে লড়াই চলছে, যেতে পারছি না। আমি আব্বা, আম্মা আর ভাই-বােনেদের জন্য উৎকণ্ঠিত। আমার চোখে জল। গম্ভীর। কথা বলি কম। আমি দ্রুত পা চালালাম। সন্ধার আগে না পৌছতে পারলে বিপদে পড়ব। শুনেছি, এদিকটাতে বুনাে  শুয়ােরের দল এখনাে ঘুরে বেড়ায়।

সন্ধ্যার কিছু আগে দর্জিপাড়ায় পৌছলাম। যমুনার তীর থেকে সামান্য দূরে এই গ্রাম। আমার সহযাত্রীর নাম বলে মােক্তার সাহেবের বাড়িতে উঠলাম। ৩০ মারচ, সকাল। মােক্তার সাহেবের একটা ছােট ঘরে শুয়ে রাত কাটালাম। ঘুম আসেনি, শুধুই চিন্তা হচ্ছিল, আমি কি করে বেঁচে থাকবাে। ম্যাপটা এরমধ্যে কতবার যে খুলে দেখেছি তার ঠিক নেই। ভারতীয় সীমান্ত থেকে পাখীওড়া দূরত্বে আমি এখনও ৮০-৯০ মাইল দূরে। আমার সােজা পশ্চিমে পাবনা এবং ঈশ্বরদি। গতকাল বিকেল থেকে ঢাকা রেডিও স্টেশনের কোন অনুষ্ঠান শােনা যায়নি। সম্ভবত ঢাকা রেডিও মুক্তিফৌজের দখলে। চট্টগ্রাম বেতার (বিপ্লবী বেতার) জানিয়েছে, ঢাকা বেতার মুক্তি ফৌজের দখলে। কলকাতা বেতার কেন্দ্রের প্রচারই এখন বাংলা দেশের প্রতিটি মানুষের একমাত্র শ্রোতব্য। আকাশবাণী সংবাদ প্রচারের এমন ব্যাপক ভূমিকা গ্রহণ করতে না পারলে আমার মতাে অনেক মানুষকেই হয়ত বিপথে গিয়ে প্রাণ হারাতে বাধ্য করত।

মােক্তার সাহেব সহৃদয় ব্যক্তি। তিনি আমার প্রস্তাবে সম্মত হয়ে আমায় চারাবাড়ী ঘাটে নিয়ে গেলেন। বিস্তীর্ণ নদী। নৌকা দাঁড়িয়ে আছে অনেক। নদীর বুকেও চলছে পাল তুলে । আমি একটু বিস্মিত হলাম, বন্ধুরা বলেন, আমি রােম্যান্টিক। অথচ আজ এই গ্রাম বাংলার নরম দৃশ্যকে উপভােগ করতে পারছি না। মনে হচ্ছে সব স্তব্ধ হয়ে আছে। চারাবাড়ীর চমচম বিখ্যাত। খেলাম। অপূর্ব লাগল। কিন্তু উপভােগ করতে পারলাম । | মােক্তার সাহেব একটা গয়না নৌকোয় আমাকে তুলে দিলেন। নৌকোয় প্রায় পনেরজন যাত্রীর সঙ্গে আমিও সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম। যাত্রীদের কেউই ঠিক বলতে পারলেন না সিরাজগঞ্জ কত দূরে। তবে আমি আগে ম্যাপে দেখেছি, প্রায় ৩৫ মাইল। হিসাব করে দেখলাম, রাতের আগে সেখানে পৌঁছুনাে যাবে না।

২৫ এপ্রিল, ১৯৭১

সূত্র:  গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ খন্ড -০৭ , আনন্দবাজার পত্রিকা