মুক্তিসেনার আক্রমণে দিশাহারা পাক ফৌজ বিমান ব্যবহার করছে। মুজিবনগর ৬ সেপ্টেম্বর–গত এক সপ্তাহ যাবৎ মুক্তিবাহিনী এমন দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস এবং সাফল্যের সঙ্গে দখলদার পাক ফৌজকে পিটুনি দিচ্ছে যার ফলে ইয়াহিয়ার অনুচররা দিশাহারা হানাদাররা নিরুপায় হয়ে আবার দীর্ঘদিন বাদে বিমান বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে। বােমা ফেলছে যত্রতত্র। মুক্তিবাহিনীর এতে কোন ক্ষতি হচ্ছে না, কারণ লড়াইয়ের এই নতুন পর্যায়ে তাদের প্রস্তুতি ও রণকৌশল তাঁরা নিখুঁত করেছেন। | গত সাতদিন ধার পাক ফৌজ মুক্তিবাহিনীর হাতে দারুণ মার খাচ্ছে। পাক ফৌজ আর রাজাকার মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা এই কয় দিনে প্রায় দুশ। কয়েকজন পাক সেনা বন্দীও হয়েছে। পাক ফৌজ এখন বিমান বাহিনীর সমর্থন ছাড়া মুক্তি বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎপরতায় নামতে ভয় পাচ্ছে।
উঃ পূঃ সেকটরে মুক্তিবাহিনী বত্রিশ ঘণ্টা ধরে পাক ফৌজকে নিযুক্ত রাখে। ওই লড়াইয়ে একজন পাক মেজরসহ ৩২ জন পাক সেনা ও ৫০ জন রাজাকার নিহত হয়। যশােরের ধূলিয়ানঘাটে এক সংঘর্ষে ৫ জন পাক সেনা নিহত হয়েছে। শ্রীহট্ট ও কুমিল্লা জেলায় ৫৭ জন পাক সেনা ও ২৪ জন রাজাকার কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলায় ১০ জন পাক সেনা ও ২০ জন রাজাকার নিহত হয়েছে। মুক্তিবাহিনী সরাসরি পাক শিবিরগুলির উপর আক্রমণ চালিয়ে তারপর গেরিলা কায়দায় নিজেদের গুপ্তঘাটিগুলিতে ফিরে যাচ্ছে। পাক ফৌজ তাদের পাত্তা পাচ্ছে না। রাজশাহী বেতার কেন্দ্রটি মুক্তিবাহিনী দুবার স্তব্ধ করে দেয়। চট্টগ্রামেও তারা সক্রিয়। –পিটিআই।
৭ সেপ্টেম্বর ‘৭১
সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা