You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.23 | এই কলকাতায়- বীরেন্দ্র মিত্র | দর্পণ - সংগ্রামের নোটবুক

এই কলকাতায়
বীরেন্দ্র মিত্র

‘দুই বাংলার একনাম, সংগ্রাম সংগ্রাম
মিছিল দৌড়াচ্ছে আর দৌড়াচ্ছে। যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী এমনকি কিশাের-কিশােরীরাও চলেছেন সমস্ত লেনিন সরণী জুড়ে। মিছিল আসছে দূর-দূরান্ত থেকে। হুগলি, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বিভিন্ন জেলা। লেনিন সরণী ধরে নেমে আসছে হুগলি টুচড়া জগদ্দল নৈহাটী অঞ্চলের ছেলেমেয়েরা। দাঁড়িয়ে গেছি। রাস্তা পার হবার সুযােগই হয়তাে আসবে আধঘণ্টা তিন কোয়াটার পরে। ভেসে চলেছে তাজা প্রাণের ঢেউ। তীরে দাঁড়িয়ে তাই দেখছিলাম দু’চোখ ভরে। গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের ব্যানার কাঁধে সােচ্চার যৌবন বাংলাদেশের ভাই-বােনদের জানাচ্ছে সংগ্রামী অভিনন্দন। লাল পতাকায় লেনিন সরণী রাঙা হয়ে আছে।
না, মিছিলে পথ রুখে দিলে শ্রান্ত ঘরমুখী অফিস ফেরত মানুষের চোখে যেমন একাধারে হতাশা ও বিরক্তি ফুটে ওঠে, এই মিছিল দেখে কিন্তু তেমন অন্ধকার হয়ে ওঠেনি কারও মুখ। এ যেন কোনাে বিজয় মিছিল, পথের দুই প্রান্তে পথচারীরা স্মিত মুখে অভিনন্দিত করছেন এই কলােল্লিত জনস্রোতকে। আমিও ভুলে গেছি নিজেকে। ভুলে গেছি কোথেকে আসছিলাম, কোথায় যাচ্ছি। দু’চোখ বিস্ফারিত। দেখছিলাম দুরন্ত ঐ মিছিল। সে যেন জানে, কোত্থেকে আসছে এবং তার গন্তব্য কোথায়। এ মিছিল জানে, দিন আগত ঐ, দেরি নেই, দ্বিধা নেই। জানে, নতুন জীবন জাগছে স্ফীতরক্ষা পদ্মা নদীর নতুন পলিমাটির বুকে, এখন জীবনে জীবন যােগ করাই কর্তব্য।
মনে পড়ে গেল, ‘গ্রিলে বসে সেদিন ভেবেছিলাম, কী যেন আমার ভুলে হয়ে গেছে, কী যেন করতে হবে। এ মিছিলের দিকে তাকিয়ে মনে হলাে, এই হাজার হাজার যুবক-যুবতী কী যেন একটা কর্তব্য খুঁজে পেয়েছে, একটা লক্ষ্যের পথে এগােচ্ছে। আমি লক্ষ্যচ্যুত কক্ষচ্যুত একটি ঠাণ্ডা গােলক, ব্যর্থতায় নীরেট, বিষন্নতায় ভারাক্রান্ত। আমার গন্তব্য নেই, যন্ত্রণা আছে। হস্তপদাদি নেই। গােবরের মাটির গােলকের মতাে অন্যের ইচ্ছায় গড়িয়ে চলেছি।
আজও শনিবার। দশই এপ্রিল। অফিসের ঝাপ দরজা বন্ধ। আমি আমার ফেরিওয়ালা ব্যাগ হাতে নিড়ে ফেরা পাখির মতাে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম। ওদের কাজ আছে। নীড় ছেড়ে ময়দানের দিকে হাঁটছে। কখন ফিরবে, ফেরার পথে ঠিক ঠিক লােক্যাল ট্রেন পাবে কিনা, কিছু ঠিক নেই।
আমি সওদাগরী অফিসে সেলম্যানের কাজ পেয়েছি সম্প্রতি। মাইনের ওপর উপরি, কমিশন আর পার্টি পরিতােষণা বাবদ কাঁচা পয়সা। জীবনকে পয়সার মূল্যে মাপবার সুযােগ এসেছে। খাটতে পারলে অচিরে তপনদার মতাে রিলে না র্যালে, কী যেন নাম(?) গাড়ি চেপে পার্ক স্ট্রিটের বড় বড় পানশালায় গিয়ে মুরুব্বীর মতাে পানাহার করব। তুচ্ছ ব্যাপারে আর মাথা ঘামাব না। চিন্তা করব কোন্ সরকার, কার সরকার হলে ইনডাসট্রিতে ঝামেলা হবে না। আমার চাকরি উন্নতির পথে পা পাতবে আর কোম্পানির বাণিজ্য লক্ষ্মী সােনার পদ্মাসন ছেড়ে প্লাটিনামের সিংহাসনে গিয়ে চাপবেন।
না, নিজেকে তবুও এতাে ছােট করে বস্তুতই বেশিক্ষণ চিন্তা করতে মন সরে না। মিছিল এগিয়ে গেছে। দক্ষিণ কলকাতায় ট্রাম বাসে ফিরতে হলে এখন অনেক সময় অপেক্ষায় থাকতে হবে। সুতরাং কোথাও গিয়ে কিছু খেতে খেতে সময় কাটানােই ভালাে। এই রাস্তায় ভালাে অর্থাৎ ইজ্জতদার রেস্তোরা নেই। বেছে বেছে নামটা ঠিকই দিয়েছে বটে, লেনিন করণী। দরিদ্র বন্ধুর নামাঙ্কিত এ পথের চেহারাও শ্রীহীন। গােটা দুই বার আর একটা সােডা ফাউনটেন ছাড়া ‘ভদ্দরলােকের উপবেশনের জায়গা পর্যন্ত নেই। কমলালয়ে’র হরেক রকম খায় ঢুকলে অবশ্য ইজ্জতটা থাকে। কিন্তু উজিয়ে পুবে যেতে হয় তাহলে। সেখানে মিটিং-মিছিলের আড়ত সুবােধ মল্লিক স্কোয়ারে আবার কোন পার্টির মাইক বাজছে কে জানে। ফেরার পথে মুসকিলটা বেশিই হবে ওদিকে গেলে। উত্তরে দু’পা হাঁটলেও একটু দূরের রেস্তোরাঁ কিংবা পানশালা মিলতে পারে। দক্ষিণে নামলে মেসের পথে এগােনােও হবে, ইচ্ছেমতাে পানাহারও চলতে পারে। দক্ষিণে পা বাড়ানােই ভাললা।
লেনিন সরণী, যদিও কারও ক্ষমতা নেই ধর্মতলা স্ট্রিটকে লেনিন সরণী বলে চিনে নেয়ার। কারণ সবকটি দোকানের সাইনবাের্ডে এখনাে পুরাতন ঠিকানা : ধর্মতলা। যারা রাস্তায় নাম পালটান তারা তাে পথবিপণীর সাইনবোের্ড পালটাবার নির্দেশ দেন। তাই একই বাড়ির নিচে দুটি দোকানের নম্বর দু’রকম পড়তে হয়। ধর্ম মানুষের ওপর অহিফেনের প্রভাব বিস্তার করে’, এই কথা যিনি বিশ্বাস করছেন এবং বলেছেন, সেই লেনিনের নাম আঁকিয়ে যারা ধর্মতলাকে ভুলতে এবং ভােলাতে নারাজ, তাঁরা সাইনবাের্ডে ধর্মতলাই লিখে রেখেছেন। অতবড় লেনিন সরণীতে গােটা তিনচারটি ছাড়া কোনাে বাের্ডেই লেনিন সরণী, এই নব নামাঙ্কন কেউ করেননি। অথচ কর্পোরেশনের হাতেই নাকি দোকানদারের ট্রেড লাইসেন্সের ছাড়পত্র। রাস্তার নাম পাল্টানাের সঙ্গে সঙ্গে দোকানের সাইনবাের্ড পাল্টানাের নির্দেশ তারাই তাে দিতে পারেন, কিন্তু অতদূর কেউ হয়তাে চিন্তাও করেন না। তাই গান্ধীজীর নাম এখনাে হ্যারিসনে একচেটে হয়নি, দুই আচার্যের নামে এল সি, আপার সার্কুলার রােডও পুরােপুরি নামাঙ্কিত নয়। বউবাজার স্ট্রিটে সস্তা পুরােনাে রূপােজীবিনীর সঙ্গে এখনাে পুরাতন সাইনবোের্ডগুলাে মুখের প্রকল্পে জবজবে করে পথচারীদের দিকে কানা চোখে তাকিয়ে থাকে। মরুক সে। আমার কী! আমার এখন পেটে পাক দিচ্ছে। মিছিলটা পাক খাচ্ছে এসপ্ল্যানেডের মুখে। আমি হাঁটা দিলাম।
শহরের পথে হাঁটার সুবিধে এই পথশ্রম সর্বদা খেয়াল থাকে না। অনেক কিছু দেখবার আছে। দেখতে দেখতেই পথ এক সময় ফুরিয়ে আসে। ইদানিং মানে, নির্বাচনের প্রাক্কাল থেকে সবচেয়ে বড় দর্শনীয় জিনিস হয়েছে রাস্তার ওপর ছােট-বড় বাড়ির দেয়াল। শ্লোগান কবিতা ছড়া প্যারােডি ছবি। বলতে গেলে রীতিমতাে প্রাচীন প্রদর্শনী। অল ক্যালকাটা ইজ এ্যান এগজিবিশন হল। পাকা আর্টিস্টের তুলিতে ছবি আর লেটারিং।েফ্রসকো পেইনটিং-এর যুগ গতায়ু। কলকাতায় এসেছে এখন স্লোগান ও পিঞ্চিং-এর হুজুগ। দেয়ালের ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা খারিজের মাধ্যমেই ব্যক্তিগত সম্পত্তির কবর খোঁড়া হচ্ছে কিনা কে জানে, তবে আমি বাড়ির মালিক হলে ব্যাপারটাকে স্বাগতই জানাতাম। ইতিপূর্বে দেয়ালগুলাে ছিল নােংরা বিজ্ঞাপনী পােস্টার মারবার জায়গা। এখন হরেক দলের স্লোগান প্রতিযােগিতার শ্লেট হয়েছে এগুলাে। ভালােই তাে। এর ফলে জ্ঞানােদয়ের বােধধাদয়ের সম্ভাবনা। এটা কম বড় লাভ নয়। কিন্তু এই কথাটা নিতাইদাকে কিছুতেই বুঝিয়ে উঠতে পারি না।
নিতাইদার স্থির বিশ্বাস, কলকাতায় সি পি এম যে গাে-হারান হেরেছে তার মূলেই আছে দেয়ালদারি বিরাগ। অর্থাৎ দেয়ালওয়ালাই সঙ্বদ্ধভাবে হারিয়ে দিয়েছে সিপিএমকে।
নিতাইদা নির্বাচনের ফলাফল দেখে খুশি হয়ে বলেছিলেন, ‘হু, হুঁ বাবা, গরিবের কথা বাসি হলে দামী। বলেছিলুম কিনা যে, যে রেটে ওরা দেয়াল ঘটাচ্ছে তাতে ভােট বাক্সে দিশেহারা হয়ে যাবে। হলাে তাে? উনি বলেন, নব কংগ্রেস স্যায়না। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে ওরা খুব সমঝেই দেয়ালে হাত দিয়েছিল। লিখেছে একেবারে তলদেশে। ফলও মিলিয়ে নাও।’
বাস্তবিক, সমস্ত পর্যবেক্ষকের ফরচুন টেলিং’ টোটালি ফেলিওর। কারণ হয়ত এই যে, তারা নিতাইদার মতাে এই দিকটা একবারও গণনা করেন নি।
বলেছিলাম, ‘ননাংরা সিনেমা পােস্টারের বদলে সুন্দর লিপি ও ছবি অঙ্কনটা কি বেশি ভালাে নয়?
নিতাইদা মাথা নেড়ে বলেছিলেন, “উঁহু, ব্যাপার আছে। বিজ্ঞাপকদের শাস্তি দেয়ার উপায় শহরবাসীর নেই। নিখরচায় বিজ্ঞাপন করার জন্য কোনাে ব্যবসাদারকে দেয়াল মালিকের নালিশে জরিমানা দিতে হয়। কিন্তু ভােটভিক্ষুকে বঞ্চিত করার বাথ-রাইট আছে প্রাপ্তবয়স্কের, এ দিকটা ভেবে দেখেছাে?”
তাে, ওদিকটাও ভেবে দেখিনি। নিতাইদা জীবন সায়াহ্নে এসেও রাজনীতি নিয়ে খুব ভাবছেন। আজকাল অনেকেই ভাবে, হিসেব করে। ঠিক ক্রিকেট ফিকেটের হিসেবের মতাে।
কিন্তু সে যাই হােক, কলকাতার দেয়ালগুলাে আপাদমস্তক চিত্র-বিচিত্রিত হয়ে আছে। চোখ পীড়িত হয় শুধু দেয়াল-লিখনে বাক্য-বিন্যাসের ত্রুটি চোখে পড়লে।
‘এ ভােট ফর সি পি এম মিনস এ বুলেট ফর ইওর ডিয়ার ওয়ানস’- দেয়াল বিজ্ঞপ্তি নিয়ে একদিন তাে রুদ্র আর প্রশান্তর মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম। নির্বাচনী লড়াইয়ের স্লোগানে এহেন বক্তব্যে অনেকেই চমকিত হয়েছিলেন।
রুদ্র বলেছিল, এর মানে কী? সি পি এমকে একটি ভােট দিয়েছ কি তােমার প্রিয়জনকে এক বুলেটে সাবড়ে দেয়া হবে? কেন, গণতন্ত্রে আমি যাকে খুশি ভােট দেব।’
প্রশান্ত রুষ্ট হয়ে উঠেছিল, ‘আগে ইংরেজিটা শেখ, তবে কথা বলিস। ওটার মানে, সি পি এমকে ভােট দেয়ার অর্থই হবে বুক পেতে বুলেট গ্রহণ করা।
“তাই নাকি? রুদ্র মুখ বাকিয়েছিল, তাহলে দেয়ালের পাশে তাের মতাে একজন অধ্যাপক দোভাষীকে দাঁড় করিয়ে রাখাই উচিত ছিল। ওরকম ‘রাশােইন্ড’ ইংলিশ আমরা আর কী করে বুঝব বল।’
‘রাশােইন্ড মানে? সকৌতুক প্রশ্ন করেছ।
উত্তর দিয়েছে রুদ্র, রাশিয়ান-ইন্ডিয়ান সংকর ইংলিশ। ও জিনিস প্রশান্ত ছাড়া কেউ বুঝবে না, প্রশান্ত আবার অধ্যাপক। প্রশান্ত রাগ করলেও আমাদের সঙ্গে হেসেই ফেলেছিল। প্রশান্ত রুদ্রর চেয়ে ঠাণ্ডা।
সম্প্রতি দেয়ালে বাংলাদেশের সংগ্রাম সম্পর্কেও লেখা পড়ছে : এ জয় পূর্ব বাংলার নয়, জয় সারা বাংলার। উত্তেজনার আতিশয্যে এই বাক্যে পূর্ববাংলার বিজয়াবার্তাই অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে। বলা যেত, ‘শুধু পূর্ব বাংলার নয়, এ জয় সারা বাংলার। অবশ্য কথাটার যথার্থ সম্পর্কে তাহলেও যথেষ্ট সন্দেহ থেকেই যায়। তবু মন্দের ভালাে।
‘পশ্চিমবঙ্গকে দিল্লীর উপনিবেশ করা চলবে না’- লেখা পড়েছে বিভিন্ন দেয়ালে। মনে হয়, দিল্লী যেন হঠাৎ এ রাজ্যকে শােষণের আওতায় আনছে। কিন্তু ঘটনা তাে তা নয়। বলা যেত, পশ্চিমবঙ্গকে দিল্লীর উপনিবেশ করে রাখা চলবে না। তাহলে প্রেজেন্ট কনিউনিউয়াস টেন্স আর ফিউচার টেন্সের বিরােধটা অর্থবিভ্রাট ঘটাতাে না। চীনের চেয়ারম্যান, আমাদের চেয়ারম্যান’ কথা খুবই নজরে পড়েছে। নির্বাচনের আগে বেশিরভাগ দেয়ালে ঐ কথাই লেখা থাকত। এ বাক্যের রাজনৈতিক গূঢ়ার্থ এবং ব্যঞ্জনা আমার মতাে অনেকেই বুঝতে পারেননি।
শুধু একটা জিনিস বেশ বুঝছি। মানুষের মুখের ভাষা মূক হয়ে গেছে ভয়ে ভাবনায়। শহরের দেয়ালে কথা বলছে বােবা মানুষ। এ এক নতুন জিনিস। এমন বােবা শহর বিদেশি প্রভুত্বের আমলেও ছিল না। মৃত কলকাতা মূক আর তাই বধির। এখন শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকার সময়।
আমি দেয়াল পড়তে পড়তেই এগিয়ে যাচ্ছি। একা থাকলে আমাকে নানা ভাবনায় পেয়ে বসে। রাস্তায় যেতে যেতে পরাজিত বৃদ্ধের মতাে কখনাে সখনাে বােধহয় ঠোট নেড়ে মনে মনে কথাও বলে ফেলি নিজের অজ্ঞাতে। আজও তেমন দুর্ঘটনা ঘটেছিল কিনা জানি না, তবে ঠিক সামনেই পথ জুড়ে দাঁড়িয়ে কে যেন বললে, ‘আপন মনে কাকে শাসাচ্ছিস বীরেন?’ তাকিয়ে দেখি, আমার সামনে পুষ্পেন্দু। একেবারে পুরােনাে আসবাব পালিশ করা নতুন চেহারা। মাস কয়েক আগে এই পুস্পেন্দুরই কর্মস্থল কারখানার ক্লোজার চলছিল। আমি জোর করে ওপর পকেটে একটা দশ টাকার নােট গুঁজে দিয়েছিলাম। চেহারা দেখে মনে হচ্ছে ও আমাকে তার দশগুণ ফিরিয়ে দিতে পারে আজ।
‘খুব খুশি হলাম পুষ্পেন্দু। নিশ্চয় তােদের ক্লোজার উইথড্রন হয়েছে?’ মুখে খুশির ভাব ফোটাতে হয়।
পুষ্পেন্দু আমাকে টেনে নিয়ে চলল, বললে, ‘যেতাম তাের ওখানেই। চল কোথাও বসে দুটো কথা বলি।

সূত্র: দর্পণ
২৩.০৪.১৯৭১