1972.01.16 | বাংলাদেশ-জার্মানি প্রথম যুক্ত ইশতেহার
জার্মানি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একদিনব্যাপী সফর শেষে রবিবার প্রকাশিত যুক্ত ইশতেহারে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং জিডি আর সরকার রাষ্ট্রসমূহের সার্বভৌমত্বের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন, অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হতে বিরত থাকা এবং শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান সম্পর্কে তাঁদের অভিন্ন নীতির কথা নতুন করে ঘোষণা করেছেন। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব শান্তির বুনিয়াদ দৃঢ়তর করার জন্য তাঁরা জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা পালনে অবিচল থাকবেন। ইশতেহারে উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশ এবং জিডি আর এ ক্রমবর্ধমান সৌহার্দের সাথে সঙ্গতি রেখে এই দুই দেশ ১৯৬১ সালের ১৮ এপ্রিলের ভিয়েনা চুক্তি মোতাবেক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সম্পর্ক গ্রহণ করেছে। জিডি আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. অটো উইনজার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদ আজাদের সাথে কয়েকদফা আলোচনা করেছেন এবং উভয়েই এই মর্মে দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, অনাগত বছরগুলোতে এই দুটি দেশের সম্পর্ক বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য এবং কারিগরি সহযোগিতার ক্ষেত্রে উভয়ের বন্ধুত্ব উত্তরোত্তর আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ডক্টর অটো উইনজার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথেও সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশবাসীর পক্ষ হতে অন্তর ঢালা অভিনন্দন এবং বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের অনন্যসাধারণ জননেতা বলে অভিহিত করেন। শিশুরাষ্ট্র বাংলাদেশ যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে বিশেষ করে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে, জিডি আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেসব বিষয়ে অবহিত হয়েছেন। এসব সমস্যার গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশের সাহায্য ও পুনর্বাসনকল্পে সাহায্য সহযোগিতা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের পররাষ্টমন্ত্রী জিডি আর সফরের আমন্ত্রণ গ্রহন করেছেন। সফরের তারিখ পরে নির্ধারিত হবে। আলোচনাকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহায্য করেন পররাষ্ট্র সেক্রেটারি জনাব আবদুল ফাতেহ এবং পররাষ্ট্র দফতরের অন্যান্য কর্মকর্তা। জিডী আর পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাহায্য করেন রাষ্ট্রদূত মিস্টার ফিসার এবং কিছু সংখ্যক বিশেষজ্ঞ।৩২
Reference:
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২ অধ্যাপক আবু সাইয়িদ
ইত্তেফাক, ১৬ জানুয়ারি ১৯৭২
Unicoded by Tushar Mondal