দৈনিক ইত্তেফাক
২০শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৯
শেখ মুজিবুর প্রমুখের বিরুদ্ধে মামলা
২৫শে ফেব্রুয়ারী পরবর্তী শুনানীর দিবস ধার্য
স্টাফ রিপাের্টার
আগামী ২৫ শে ফেব্রুয়ারী শেখ মুজিবুর রহমান, জনাব আবুল মনসুর আহমদ ও জনাব আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইন অনুসারে আনীত মামলার পরবর্তী শুনানীর দিবস ধার্য হইয়াছে।
জনাব নুরুদ্দীনের বিরুদ্ধে আনীত মামলার শুনানীর তারিখ ৯ই মার্চ ধার্য হইয়াছে। জনাব আবদুল হামিদ চৌধুরী ও জনাব হামিদুল হক চৌধুরী ও এম. এ. জব্বারের বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানীর দিবস ১৪ই মার্চ এবং জনাব কোরবান আলী ও জনাব নুরুল আলমের বিরুদ্ধে আনীত মামলার পরবর্তী শুনানীর দিবস ১৬ই মার্চ ধার্য হইয়াছে। পক্ষান্তরে জনাব আসগর আলী শাহের বিরুদ্ধে পরবর্তী শুনানীর দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারী এবং জনাব আমিনুর ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১২ মার্চ শুনানীর দিবস ধার্য হইয়াছে। জনাব মােসলেম আলী মােল্লার বিরুদ্ধে আনীত মামলা নারায়ণগঞ্জ কোর্টে স্থানান্তরিত হইয়াছে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযােগ্য যে, উপরােক্ত প্রাক্তন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও অফিসারদের মধ্যে জনাব মােসলেম আলী মােল্লা ও জনাব নুরুল আলম ব্যতীত আর সকলকে ১৯৫৮ সালের ১২ই অক্টোবরে তাহাদের জ্ঞাত আয়ের সহিত সঙ্গতিবিহীন সম্পত্তি অর্জনের অভিযােগে দুর্নীতি দমন আইনে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ দীর্ঘকাল পরে। ইহাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে এজাহার প্রদান করিলেও এখন পর্যন্ত চার্জশীট দাখিল করে নাই। ফলে, একের পর এক তারিখ পড়িলেও নিয়মিত শুনানী হইতে পারিতেছে না। এখানে আরও উল্লেখযােগ্য যে, শেখ মুজিবুর রহমান, জনাব আবুল মনসুর আহমদ ও জনাব আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে উপরােক্ত অভিযােগ ছাড়াও নিরাপত্তা অর্ডিন্যান্সে আটক আদেশ প্রদত্ত হওয়ায় তাহারা দুর্নীতি দমন সম্পর্কিত মামলায় জামিন লাভ করিলেও নিরাপত্তা অর্ডিন্যান্সে আটক রহিয়াছেন। পক্ষান্তরে, অন্যান্য সকলেই জামিনে মুক্ত রহিয়াছেন।
এখানে আরও উল্লেখযােগ্য জনাব আবুল মনসুর আহমদের পক্ষ হইতে তাহাকে নিরাপত্তা অর্ডিন্যান্সে আটক করার বিরুদ্ধে ঢাকা হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হইয়াছে। উক্ত আবেদনের শুনানী এখনও চলিতেছে।