You dont have javascript enabled! Please enable it! 1958.06.25 | গণতন্ত্রের দুশমনদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান- অগণতান্ত্রিকভাবে ১৯৩ ধারা জারীর বিরুদ্ধে শেখ মুজিবরের প্রতিবাদ | দৈনিক মিল্লাত - সংগ্রামের নোটবুক

দৈনিক মিল্লাত
২৫শে জুন ১৯৫৮
গণতন্ত্রের দুশমনদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান
অগণতান্ত্রিকভাবে ১৯৩ ধারা জারীর বিরুদ্ধে শেখ মুজিবরের প্রতিবাদ

পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব শেখ মুজিবুর রহমান গতকল্য (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৩ ধারা জারীর সুপারিশ করিয়া পূর্ব পাকিস্তান গভর্ণর কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট রিপাের্ট প্রদান করিয়াছেন বলিয়া রেডিও পাকিস্তানের খবরে জানিতে পারিয়া আমি আদৌ বিস্মিত হই নাই। আমি জানি এবং জনসাধারণও ভাল রকমই জানে যে, স্বার্থান্বেষী মহলের ইঙ্গিতেই গভর্ণর কাজ করিতেছেন এবং তাঁহাদের অদৃশ্য হস্ত দেশের ভবিষ্যতকে ভাসাইয়া লইয়া যাইতেছে।
জনাব রহমান বলেন, স্বীয় স্বার্থ এবং অদৃশ্য মতলব হাসিলে জন্যই ইহা করা হইয়াছে। পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতি সচেতন জনসাধারণের উপর হইতে এই ধরনের অগণতান্ত্রিক নীতি চালাইয়া দেওয়া কিছুতেই বরদাস্ত করিবে না এবং তাহারা নিশ্চিতভাবে যে কোন মূল্যে ইহা প্রতিরােধ করিবে। “স্বার্থান্বেষী মহলের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দেশের বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করিবার জন্য আমি জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকিতে অনুরােধ করিতেছি। আমি জানি অদৃশ্য মতলব হাসিলের উদ্দেশ্যে নিৰ্বাচন বিলম্বিত করার জন্যই এই সমস্ত করা হইতেছে। আমি জানি যে, পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১৯৩ ধারা জারী করা করাচীর স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্টরা সুখী হইবে। যখন পরিষদে জনাব আবু হােসেন সরকারের দল ১২ ভােটে জয়ী হয় তখন তাহাকে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আহ্বান করা হয়। কিন্তু যখন আওয়ামী কোয়ালিশন পার্টি ১৫৬-১৪২ ভােটে সরকার মন্ত্রিসভাকে পরাজিত করে তখন তাহাদের মন্ত্রিসভা গঠনের সুযােগ কি কারণে দেওয়া হয় না?
এই সকল এজেন্টরা কারা তাহা পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ উত্তমরূপেই অবগত আছে। ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের দুষমনদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমি দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতি আবেদন জানাইতেছি।