You dont have javascript enabled! Please enable it! 1956.11.20 | আজাদ ২০শে নভেম্বর ১৯৫৬ বিভিন্ন প্রয়ােজনীয় শিল্প প্রদেশের হাতে আসিয়াছে বলিয়া শেখ মুজিবরের উক্তি | আজাদ - সংগ্রামের নোটবুক

আজাদ
২০শে নভেম্বর ১৯৫৬
বিভিন্ন প্রয়ােজনীয় শিল্প
প্রদেশের হাতে আসিয়াছে বলিয়া শেখ মুজিবরের উক্তি

(স্টাফ রিপাের্টার)
করাচীতে ৫ দিবসব্যাপী উচ্চ পর্যায়ের শিল্প সম্মেলন সমাপ্তির পর পি,আই, এ, বিমানযােগে গতকল্য (সােমবার) তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছার পর পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম সচিব জনাব শেখ মুজিবর রহমান বলেন যে, দেশরক্ষা সংক্রান্ত শিল্পসমূহ ছাড়া পাট, তুলা ও বস্ত্র শিল্পসহ সমস্ত প্রয়ােজনীয় শিল্প আমরা প্রদেশের হাতে লইয়া আসিয়াছি। জনাব মুজিবর রহমান বলেন যে, এখন হইতে প্রাদেশিক সরকার প্রদেশের শিল্পোন্নয়নের জন্য সর্বশক্তি নিয়ােগ করিবেন। সরকার শিল্পপতিদের সবসময় সাহায্য করিতে প্রস্তুত থাকিবেন। তিনি বলেন যে, শীঘ্রই প্রদেশে ৩০ হাজার টন সিমেন্ট আসিয়া পৌছিবে। এই সিমেন্ট শিল্পপতিদের জন্য বরাদ্দ করা হইবে। তিনি বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানে অচিরেই আমদানী রফতানীর চীফ কন্ট্রোলার অফিস স্থাপন করা হইবে। ফলে এখানকার ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের লাইসেন্সের জন্য অর্থ ও শ্রম ব্যয় করিয়া করাচীতে যাইতে হইবেনা। আমাদের পূর্ব পাকিস্তানের ছােটখাট ব্যবসায়ীদের পক্ষে এত অর্থ ব্যয় করিয়া করাচী যাওয়া-আসা করা সাধ্যাতীত ছিল। সেই জন্য পূর্ব পাকিস্তানের বাসিন্দারা ব্যবসা-বাণিজ্যে তাহাদের ন্যায্য অংশ হইতে বঞ্চিত হইয়াছে।
শিল্প সচিব বলেন যে, শিল্পোন্নয়নের দিক দিয়া আমাদের পশ্চিম পাকিস্তানের সমকক্ষ হইতে আরও অন্ততঃ ২৫ বৎসর লাগিবে। এইভাবে পূর্ব পাকিস্তানের স্বার্থ উপেক্ষিত হইবার জন্য মােসলেম লীগ সরকার ও যুক্তফ্রন্টই দায়ী। তখন শিল্পের ব্যাপারে প্রদেশের হাতে কোন ক্ষমতাই ছিল না। প্রাদেশিক সরকার সােপারেশ করিলে তাহা কেন্দ্রীয় সরকার গ্রাহ্যই করিতেন না। এখন আমরা শাসনতন্ত্র অনুযায়ী শিল্প সংক্রান্ত সমস্ত ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে লইয়া আসিয়াছি। এই দাবী আদায় করিয়া আওয়ামী লীগ সরকার তাহাদের ওয়াদা পূরণ করিয়াছেন বলিয়া তিনি উল্লেখ করেন। পূৰ্ব্ব-পাকিস্তানের জন্য পৃথক সরবরাহ ও উন্নয়ন বিভাগে ডিরেক্টর জেনারেলের অফিস স্থাপন করা হইবে বলিয়াও তিনি জানান।
অদ্য (মঙ্গলবার) বৈকাল সাড়ে ৩টায় শিল্প-সচিব জনাব শেখ মুজিবর রহমান কেবিনেট রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিবেন। উহাতে তিনি সাম্প্রতিক করাচী সিদ্ধান্তের সমস্ত বিষয় বিশদভাবে বিশ্লেষণ করিবেন।