You dont have javascript enabled! Please enable it! 1975.08.15 | অভিশপ্ত সেই ভােরবেলা -মােহাম্মদ ফরাসউদ্দিন - সংগ্রামের নোটবুক
১২ আগস্ট ১৯৭৫ সাল। জাতির জনকের বিশ্বস্ত সৈয়দ রেজাউল হায়াতের কাছে আমি রাষ্ট্রপতির একান্ত সচিবের দায়িত্ব অর্পণ করি। ১৩ ও ১৪ তারিখে একদিকে হায়াতের নিরাপদ, সৎ ও সুদক্ষ হাতে বঙ্গবন্ধুর অফিসের কাজকর্ম চলছে আর অন্যদিকে আমি সুযােগমতাে রাষ্ট্রপতির সান্নিধ্যে চলে আসছি বারবার তার মুখেই তাঁর চিন্তাচেতনা অনুভূতি সম্পর্কে শােনার জন্য। তবে তিনি নিজেই বেশি বেশি জানতে চাচ্ছিলেন। দুবছর বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে কাজ করার যে দুর্গত সুযােগ পেয়েছিলাম তাতে বােধ হয় তাঁর বিশ্বাসভাজন হতে পেরেছিলাম। সে কারণে এবং উপমহাদেশে, বিশেষ করে বাংলাদেশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও ব্যক্তিত্ববর্গ সম্পর্কে সময় সময় আমার মতামত হয়তােবা বঙ্গবন্ধুর পছন্দ হয়েছিল। তারই অনুমতি ও অনুমােদন নিয়ে আজীবনের স্বপ্ন অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যাওয়ার আগে কেন জানি না বঙ্গবন্ধুর দেশের শুধু অর্থনীতি নয়, রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কেও অনেক জিজ্ঞাসাবাদ করতেন আমাকে। কয়েকবারই মনে হয়েছে নিজস্ব বলয়ের বাইরে গিয়ে ভিন্নমতের মূল্যায়নে তিনি আগ্রহী ছিলেন।
 
১৪ আগস্টের বিকেলবেলাটা আমি বঙ্গবন্ধুর কাছেই ছিলাম। পরদিন শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন। কয়েকটি নতুন বিভাগ খােলার কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়রূপে ঘােষণা দেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। সন্ধ্যার সময় এলেন শিক্ষামন্ত্রী এবং সম্ভবত শিক্ষাসচিব। বঙ্গবন্ধু অনেকক্ষণ কথা বললেন উপাচার্য আবদুল মতিন চৌধুরীর সঙ্গে। মিসেস রাজিয়া মতিন চৌধুরীর নিজ হাতে রান্না করা খাবারের কথা পর্যন্ত হল। কিন্তু গল্পীর ছিলেন রাষ্ট্রপতি তথা চ্যান্সেলর। পরের দিন তার সম্মানসূচক ডক্টর অব ল ডিগ্রি পাওয়ার কথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিছুটা বিমর্ষভাবে একটা ক্ষোভের কথা বললেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার যাত্রা নাকি কোনাে সময়ই সুখকর হয়নি। ১৯৪৮ সালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পক্ষ নিয়ে আন্দোলন করেন এবং সাজাপ্রাপ্ত হন আরও অনেকের সঙ্গে। বাকিরা দণ্ডমূলক জরিমানা পরিশােধ করলেও শেখ মুজিব অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেয়া ফাইন দিতে অস্বীকার করলেন। কার প্ররােচনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত হলেন তাও বললেন। 
 
দ্বিতীয় দফা পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়। ছাত্রলীগের তদানীন্তন সভাপতি আবদুল আউয়াল ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মােমিন তালুকদারের আমন্ত্রণে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান এলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সফরে। বাদ সাধলেন ডাকসু ভিপি একরামুল হক। সােজা বক্তব্য তার ঐতিহ্য অনুসারে কোনাে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচিত ছাত্র সংসদের আমন্ত্রণেই এই পবিত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাটিতে পা রাখতে পারেন। ফিরে গেলেন শেখ মুজিব। পরবর্তী সময়ে একরামুল হক আমন্ত্রণ পাঠালেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় করে উঠতে পারেননি শেখ মুজিব।
 
১৪ আগস্টের সন্ধ্যাবেলা খানিকটা মনস্তাপ নিয়েই বঙ্গবন্ধু আরও জানালেন, ১ জানুয়ারি ১৯৭৩ সালে তারই স্নেহের পরশে বেড়ে ওঠা কতিপয় বিপথগামী ছাত্রছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনকের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে আয়ােজিত সফরকে ভণ্ডুল। করে দেয়। জন্ম নেয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল নামীয় একটি নতুন রাজনৈতিক দল। এই তিনটি ঘটনা প্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে পরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার যাত্রার পরিণতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু এ স্বগতােক্তি করছিলেন।
 
উপাচার্য মতিন চৌধুরীর বিদায়ের পর গণভবনের লনে ৰানিক পায়চারি করেন রাষ্ট্রপতি। বাইরে প্রায় নিত্যসন্ধ্যার দলবল নিয়ে বসা মুক্ত-আলােচনার আসর সেদিন বসেনি। তবে লেকের ঘাটে পেীছে মাছের সঙ্গে খানিকটা খেলা করার কাজ সে রাতেও চলে। রাত ৮টা থেকে সােয়া ৮টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু গণভবন থেকে ৩২ নম্বর তার বাসভবনের দিকে রওনা হয়ে যান। আফসােস করেন : মনােয়ার ও ফরাস দুদিন পরই চলে যাবে, ছেলেদুটো মায়া লাগিয়ে যাচ্ছে, খারাপ লাগবে খুবই । ভাগ্যিস জামিল এখানেই থাকছে।
 
| কালাে গাড়িতে উঠতে গিয়েই মন খারাপ করলেন। খুবই বিষন্ন মনে বিদায় নিলেন বাঙালি জাতির পরম সুহৃদ। তিনি কি বুঝতে পেরেছিলেন সময় তার ফুরিয়ে এসেছে?
 
রাষ্ট্রপতির বিদায়ের পর শুরু হয় অন্য একটি বিদায় অনুষ্ঠান। জামিল ভাই (শহীদ কর্নেল জামিলউদ্দিন আহমদ) রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের পদ থেকে গণভবন ছেড়ে ডাইরেক্টর, ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স, ডিএফআই (পদটি পরবর্তীকালে ডিজিএফআই পর্যায়ে উন্নীত) হিসেবে যােগ দেবেন। আর মনোেয়ার ভাইয়ের (মি, এম মনােয়ারুল ইসলাম) ও আমার অর্থনীতিতে আরও পড়াশােনার জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ১৭ আগস্ট। তাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ ও অভিপ্রায় অনুসারে ১৪ আগস্ট রাতে একটি নৈশভােজের মাধ্যমে এই বিদায়-অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 
বঙ্গবন্ধুর পক্ষে সে অনুষ্ঠানে তার রাজনৈতিক সচিব তােফায়েল আহমেদ আমাদের বিদায় দিলেন। তাঁর বিচলতা কতিপয় আমলার বিরহবেদনার চেয়েও অনেক অনেক  গভীর ছিল। বিদায় অনুষ্ঠানের পরপরই নাকি তোফায়েল সাহেব ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন। তিনি কি বঙ্গবন্ধুকে তেমন কোনাে তথ্য দিয়েছিলেন যার ভিতিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া সব এবং উচিত ছিল? সেই বিদায়-অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সচিব অনুপস্থিত ছিলেন কেন? তিনি সে রাতে কোথায় ছিলেন?
 
 ১৫ আগস্টের ভােরবেলা। সকাল তখন ৫টা থেকে সােয়া ৫টার মধ্যে। মালেক সাহেব (মি, আবদুল মালেক ভূঁইয়) ফোন করলেন । সার, সামথিং টেরিবল হজ হ্যাপেন। বঙ্গবন্ধুকে দুশমনরা হত্যা করেছে। হাউমাউ করে কাঁদছিলেন ভদ্রলােক। আমি মকের সুরে তাকে এত সিরিয়াস ৰিয়ে পরিহাস করতে বারণ করলাম। তিনি আমাকে রেডিও খুলতে অনুরােধ করলেন। আমাদের এএসটিএমসি শেৱেবাংলানগরে সরকারের ভবনে তখন বহু লােকের বাস। মা সঙ্গেই থাকতেন। শাড়ি এসেছিলেন মেয়ে জামাই নাতি-নাতনীকে বিদায় দিতে। এক সপ্তাহ আগে বিয়ে করা ছোটই আশরাফ, তার নববধু এবং বাড়িতে নিয়মিত বসবাসকারী দু’পড়ুয়া ভাসেহ আরও অনেকেই সে বাসস্থানের বাসিন্দা সেদিন।
 
আজীবনের অভ্যাস হাতের কাছে রাখা ছোট রেডিও খুলতেই সব অন্তরাত্মা বিদ্রোহ করল। শুনতে পেলাম, খন্দকার মােশতাক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিদ্রোহ ঘােষণা করেছে। শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। গলাটা যে মেজর ডালিমের তা তিনি নিজেই বলে দিলেন।
 
অমি যখন এবােরেই ভেস্তে পড়ছিলাম তখন বরাবরের মতাে আসমা নির্ভর করতে চাইল। লাল ফোনটা হাতের কাছে এনে বঙ্গবন্ধুকে ফোন করতে বলল। লাল, নীল, বু ও সাধারণ—এই চার রকমের ফোন করতে বলল। লাল, নীল, সবুজ ই সাধারণ এই চার কৱমের ক্ষেনের প্রত্যেকটিতে রাষ্ট্রপতিকে যােগাযােগ করতে গিয়ে কেবল এনগেজ টোন পাচিছলাম। সৈয়দ হােসেন সাহেবের বাড়িতে কেউ একজন ফোন ধরলেন, কিন্তু ৪ বাড়িতে অবস্থানকারী সৈয়দ হােসেন, বেগম হেসেন, ও, সেলিমুজ্জামান, মিসেস সেলিনা জামান বা অন্য কাউকেই ফোন দিতে অস্বীকৃতি জানালেন। তাড়াতাড়ি লাল ফোনে জামিল ভাইকে ডায়াল করতেই আঞ্চম আৰী ফোন ধরলেন। বললেন । দেখেন না ভাই কী ফাজলামি করছে কতিপয় বিপথগামী লােক। আপনার জমিল ভাই ফোর্সকে ৩২ নম্বরের দিকে মার্চ করার হুকুম দিয়ে এইমাত্র নিজেও রওনা দিয়েছেন।
 
ফোন রেখে দৌড়ে বের হলাম। কিন্তু দোতলা থেকে নেমে বাইরে এসে কেক জামিল ভাই লাল রশ্নের পাতিখানাকে দ্রুতগতিতে চলে যেতেই দেখলাম। আমার চিৎকার তিনি শােনেননি। শুনলে অবশ্যই তাৰ মহতী ও দুঃসাহসী মিশনে একজন সঙ্গী পেতেন। কর্নেল জামিল সে সকালে যে আদেশ দিয়েছিলেন তা পালন করতে করা এবং কেন আখীকার করল?  ঘরে ফিরে একটা প্যান্ট পরে কিছু টাকা পকেটে পুরে বের হয়ে যাই। পেছনে স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, মা, শাশুড়িসহ সবাই অঝোরধারায় কাঁদছেন। নিকট প্রতিবেশী ইউসুফ ভাই (খ, ফজলুল হাসান ইউসুফ), ঝর্ণা (মিসেস ইউসুফ) আমার আবেগের সঙ্গে একমত হয়েও বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করলেন। একই পাড়ার অধিবাসী ড, কফিদ্দিন ও ভা, আশিকুর রহমান খানও সপরিবারে বাইরে এসে আমার যাত্রাপছে পড়ালেন। একটা রিকশা চেপে ধানমণ্ডির দিকে রওনা হওয়ার আগে পেছন ফিরে তিন বছরের মেয়ে সােমার দিকে তাকাতেই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়। রিকশা যখন বর্তমানের মানিক মিয়া এভিনিউর কোণে পৌছে তখন চালককে সামনে এগিয়ে ৩২ নম্বর রোডে যেতে অনুরােধ করি। রিকশাচালক সে কথা না শুনে রিকশা ঘুরিয়ে সােজা আমাদের বাসার সামনে চলে আসেন। তার একটাই বক্তব্য : আপনার আত্মীয়-পরিজন কেন কাঁদছিলেন এখন তা বুঝতে পারছি। ৩২ নম্বর শেখ মুজিবের বাড়িতে যেতে গিয়ে নিজেও মরবেন এবং আমাকেও মারবেন।
 
রিকশাচালক ফেরার পথে গভীর মমতায় বঙ্গবন্ধুকে তাঁর প্রাণপ্রিয় নেতা হিসেবে উল্লেখ করলেন এবং শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশা জাতির জনকের হত্যার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গেল বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন। আমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে ভাড়া না নিয়েই রিকশাচালক বিদায় নিলেন, আমারও ভাড়া পরিশােধের কথা মনেই ছিল না। গণভবনে ফোন করে বিশেষ চেষ্টা করলাম সেই ব্যাগটি উদ্ধার করার জন্য যাতে জাতির জন্য অনেক দিকনির্দেশনা ছিল। বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত লেখার ভার ছিল সর্বজনাব গাফফার চৌধুরী, তােয়াব খান ও শহীদুল হকের (মরহুম) ওপর। সাহায্য করতেন সহকর্মী বঙ্গ মাহবুব তালুকদার ও সফিউল। মাঝে মাঝেই সাহায্য করতে আসতেন বাংলা একাডেমীতে আমাদের বন্ধু শামসুজ্জামান খান ও আমিনুল হক বাদশা। বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত রচনার কাজে জড়িত হতে চেয়ে অনেকেই বিফলমনােরথ হয়েছিলেন। দুপুরবেলা রচয়িতাত্রায় এবং সহায়তাকারীদের অধিবেশন বসত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। কখনও কখনও ঘণ্টার পর ঘন্টা বলে যেতেন বঙ্গবন্ধু । প্রশ্ন করে ব্যাখ্যা চাইতেন গাফফার ভাই সবচেয়ে বেশি। ছয় মাসেরও অধিক সময় ধরে আলােচিত, লিৰিত পঠিত শেখ মুজিব জীবনচরিতের মূল পাণ্ডুলিপি একটি ব্যাগে থাকত। সেটি পাবার জন্য ফোন করে বারবারই নেতিবাচক জবাব পাচ্ছিলাম গগণভবন থেকে। বঙ্গবন্ধু এবং আমার হাতে লেখা বাকশালের নীতিমালা, জেলা গভর্নর নিয়ােগ ও নীতিমালা, ঝােলা কমিটির তালিকা, নিহত সহকর্মীদের জীবিত আপনজনদের নাম ঠিকানাসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ছিল, যাতে আবুল খয়রাতসহ বঙ্গবন্ধুর অনেক নির্ভরযােগ্য সংবাদদাতার হাতে লেখা তথ্যচিত্র আসত জাতির জনকের কাছে। পত্রলেখকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কাগজগুলাে কেন পুড়িয়ে ফেললাম সে মর্মযাতনায আজও পুড়ে মরছি।
 
সারাটা দিন একটা অস্থিরতায় কাটল। ১৯৫২ সালে পিতৃহাৱা আমি প্রথমবারের মতাে আবারও প্রাণভরে কাঁদলাম। সবসময় মনে হচ্ছিল, এমন একজন লােক যিনি সারাটা জীবন উৎসর্গ করলেন বাঙালির স্বাধীনতা, সুখ ও শান্তির জন্য, যাকে কৃতসংকল্প অথচ মহাশক্তিধর পাকবাহিনীর সর্বোচ্চ ডালিম সর্বাধিনায়করাও প্রানদণ্ড দিতে সাহস করেননি, তাকে কিনা এদেশের গরিব দুঃখী মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে একটি চমৎকার চূড়ান্ত প্রােগ্রাম বাস্তবায়নের পূর্বক্ষণে এদেশেরই কতিপয় সন্তান হত্যা করে ফেলল।
 
বঙ্গবন্ধুর দেহের মতােই হৃদয়টা ছিল বিরাট। তাঁর হাতের পরশ ছিল নরম হাতের আন্তরিকতা, উষ্ণ মমতাপূর্ণ ও গভীর ভালোবাসায় পূর্ণ। যারা এই মহানায়কের মহৎ হৃদয়ের চিরন্তন কল্যাণ কামনার স্পর্শ অনুভব করেননি তারা সত্যিই ভাগ্যহত। আমরা জাতির জনকের এই ঋণ কীভাবে শােধ করব?
 
 
 
সূত্র: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহুমাত্রিক মূল্যায়ন – ড. মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী