দি স্টেটসম্যান, ১০ জুলাই, ১৯৭১
কূটনৈতিক বিনিময়ের প্রস্তুতি
সুইস অফিসিয়ালের ইন্টারভিউ প্রস্তুতি
আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি
নয়াদিল্লি, জুলাই ৯ – ভারত ও পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ভারত ও পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানোর জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে – শেষ পর্যন্ত ৭০ জন পূর্ব বাংলার কূটনীতিকদের ইচ্ছার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে অনুমোদন করা করেছে যারা তাদের বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জনাব ফ্রিটস রিয়্যাল, আজকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব )কে ইসলামাবাদের সুসমাচার জানানোর জন্য বৈদেশিক কার্যালয়ে ডেকে এনেছেন। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, সুইস সরকার প্রস্তুতি পর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবে যেখানে সাবেক পাকিস্তানের ডিপ্লম্যাটদের ইন্টার্ভিউ হয়।
সাক্ষাত্কারের প্রয়োজন ছিল কারণ পাকিস্তানি কূটনীতিকরা হলেন কলকাতার সাবেক পাকিস্তানি ডেপুটি হাইকমিশনার মিঃ হোসেন আলীর নেতৃত্বে।
ভারত তার অংশ থেকে আলোচনা চালিয়েছে যে এটা ছিল পাকিস্তানী হাই কমিশনের পদক্ষেপ যারা কূটনীতিকদের ইচ্ছাকে বাস্তবায়ন করবেন। জনাব হোসেন আলি তিনি প্রথমে প্রশ্ন তুলেছিলেন যে তাকে কোন পাকিস্তানী না তৃতীয় পক্ষ প্রশ্ন করতে পারে – তবে শেষ পর্যন্ত তিনি রাজি হয়েছেন – “যদি কেবল তার উপর দোষারোপের ব্যাপারে পাকিস্তানি মিথ্যা অভিযোগ করে “। একজন বাংলাদেশী মুখপাত্র এটি বলেন।
সম্মতিপত্রের আওতায়, একজন সুইস প্রতিনিধি প্রাক-নির্ধারিত কিছু প্রশ্নের একটি দল গঠন করবে – ভারতীয় কূটনীতিবিদ এবং পাকিস্তানি প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রশ্নগুলির বিষয়বস্তু নিয়ে উভয়ে ইতিমধ্যেই সম্মত হয়েছে।
কূটনীতিকদের ইচ্ছার ব্যাপারে নিশ্চিত হবার পরেই শুধুমাত্র তাদের সরিয়ে নেবার কাজ শুরু হবে। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইরান ইতোমধ্যেই কূটনীতিকদের সরানোর করার প্রস্তাব দিয়েছে।
পাকিস্তানি ডেপুটি হাই কমিশনার জনাব মাহদী মাসুদ, যিনি হোসেন আলী এর উত্তরাধিকারী নামে পরিচিত ছিলেন, সেখানে বেশ কিছু পাকিস্তানি কূটনীতিক সদস্য রয়েছে (৭০এর বেশি) যারা বাঙালি কূটনীতিক এবং বর্তমানে কলকাতায় বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন – তাদেরকে করাচি থেকে পুনর্বাসিত করা হবে।
ইসলামাবাদে সামরিক শাসনের পর থেকে ঢাকায় ভারতীয় মিশন বন্ধ করা হয় এবং তখন থেকে জনাব কে সি সেন গুপ্তের নেতৃত্বে ১৩০ জন স্টাফ মূলত গৃহবন্দি ছিলেন।
তার পড় থেকেই জনাব কে সি সেন গুপ্তকে আদ্দিস আবাবাতে ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।