ফ্রন্টিয়ার পত্রিকা
১মে, ১৯৭১
সীমান্তের ওপারের জনগণ সক্রিয়
কল্যান চৌধুরী
কিছু রাজনৈতিক চক্র বিশ্বাস করে না বাংলাদেশের গতিবিধিতে জনগণের অংশগ্রহন বলতে কি বোঝাচ্ছে। এটা সত্য, প্রধান যুদ্ধ উপকরণ হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস এবং পূর্ব বাংলা রেজিমেন্ট এর কর্মীবৃন্দ। কিন্তু তারা জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন কোন ইউনিট বা দল নয়। জনসাধারণ সক্রিয় এবং তাদের সর্বত সাহায্য করছে। এটা অনুভূতির লেভেলে কোন নিষ্ক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা নয়।
এটা কোন না কোন ভাবে সংগ্রামের এ পর্যায়ে জনসাধারণের সম্ভাব্য যুদ্ধ পারদর্শিতা ও এর অস্তিত্ব নিয়ে এক ধরণের পরস্পরবিরোধী বিশ্বাস। আমার সংগ্রামের সীমাবদ্ধ অভিজ্ঞতা (আমি বাংলাদেশে দেড় সপ্তাহ ধরে আছি, কৃষক-ভিত্তিক দিনাজপুর ও রাজশাহী দুই জেলা কাভার করছি) থেকে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব পাহারায় থাক বা না থাক এই গতিবিধি অনিবার্য। যা আসলেই দরকার যে এই সম্প্রদায়ের উপর আওয়ামী লীগের একটা বড় কর্তৃত্ব অনস্বীকার্য যা চূড়ান্তভাবে কোনায় পৌঁছান অনিবার্য। একই সচেতনতা মাওলানা ভাসানীর জাতীয় আওয়ামী পার্টি ও অলি খানের এনএপি এর জন্য প্রযোজ্য।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আসন্ন বিদ্রোহের অনুমানে ইপিআর ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ভুল করছেনা। কর্তৃপক্ষ একটি সসস্ত্র বিদ্রোহের সম্ভাবনায় সমভাবে সংবেদনশীল। একারণে জেনারেল ইয়াহিয়া খান গত ছয় মাস ধরে ইপিআর ও ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে অস্ত্রহীন করার পরিকল্পনা করছে, আংশিক অফিসিয়াল নির্দেশনায় এবং আংশিক জঘন্য কূটনীতির মাধ্যমে। নিরস্ত্র করার প্রোগ্রাম বিচক্ষণতার সাথে করা হয়েছে যখন ইপিআর এর বাঙালি কর্মীবৃন্দকে শহর ও ক্যান্টনমেন্টে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল ভারত সীমান্তের চলমান অবস্থার কারনে। সেনা অপভাষায় যাকে বলে “বোতলজাত করা”।
২৫শে মার্চের আগে পূর্ব পাকিস্তান প্রেস থেকে ছাপা হওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী সেটা ছিল একটি সশস্ত্র বিদ্রোহের সূচনা। এর ৮ই মার্চের সংখ্যায় একটি ছবি ছাপা হয় যেখানে ছাত্রলীগের সদস্য, আওয়ামী লীগে সদরের ছাত্ররা, পাবনায় “মিলিটারি স্টাইলে” প্যারেডিং করছে। এর তাৎপর্য পরিস্কার যখন আওয়ামী লীগের অপরিহার্য অহিংস বেসামরিক অবাধ্য কার্যক্রম সম্পর্কে প্রাসাঙ্গিক কেউ মনে করিয়ে দেয়। এটা একধরণের নির্দেশনা যে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ছাত্র শাখা সবসময় পার্টির পদ অনুসরণ করে অনুগত থাকবেনা। পরবর্তীতে দৈনিক পাকিস্তানের মার্চ ২২ ও পাকিস্তান অবসার্ভার এর মার্চ ২৩ এর প্রতিবেদনে দেখা যায় ছাত্রলীগ ইয়াহিয়া-মুজিব-ভুট্টোর আলাপচারিতার কার্যকারিতা বাতিল করেছে। এমনকি পরে তারা ঢাকা ও চিটাগাং এ পশ্চিম পাকিস্তান মোকাবেলার দাবিতে র্যালি বের করে। মুজিবকে ‘আলোচনা’ বাদ দিয়ে সংগ্রামের নেতৃত্ব দেয়ার দাবি জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের বাইরে মাওলানা ভাসানির জাতীয় আওয়ামী দলও দীর্ঘদিন ধরে একই ব্যাপার নিয়ে গোলমাল করছে। এনএপি’র সাধারণ সচিব, জনাব মশিউর রহমান আমাকে এপ্রিলের শুরুতেই বলেছিলেন তার দল স্বাধীনতা সম্পূর্ণ করার জন্য অনুরোধ করছে। ঢাকা র্যালিতে তিনি কোন “ছয়-দফা বা একশ-দফা” অথবা “সায়ত্বশাসন” এর দাবি করেননি। তিনি স্বাধীনতার জোরালো পক্ষপাতি এবং এর কোন বিকল্প নেই যাতে বাংলাদেশের মাটি থেকে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনা আগ্রাসন উচ্ছেদ করার বৈধ দাবি জনগন করতে পারে।
পরিশেষে মুজিবর রহমানও অনিবার্যতা অনুভব করলেন। রমনা রেসকোর্স ময়দানে ঢাকার শেষ বক্তৃতায় তিনি স্বাধীনতার ডাক দিলেন, রক্ত অস্রুর বিনিময়ে হলেও। কিন্তু আওয়ামী লীগে সংগ্রামের কোন মহড়া হয়নি। এবং সকল ব্যবহারিক উদ্দেশ্যে, যে দল কখনো একটি সশস্ত্র আন্দোলনের পরিকল্পনা করেনি তারা শত্রু হিসেবে একটি প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর উপর তাদের নেতৃত্ব ধরে রাখার আশা করতে পারেনা।
তা সত্ত্বেও তিনি মুজিব, আর কেউ নয় মুজিব, যিনি বাংলাদেশে ‘আলোড়ন’ সৃষ্টি করেছেন। তিনি রাজনীতিতে বিশ্বাসী ও কর্মী সেটা আলাদা, এনএপি নেতা মশিউর রহমান বলেছেন মুজিব হয়তো কার্যক্রম সেট করাকে এড়িয়ে গিয়েছেন, কিন্তু সবশেষে যে সংগ্রাম উদ্দীপ্ত হয়েছে তাতে অনুমান করা অসম্ভব যে এই বৃহদায়তন অনুপাতের মধ্যে তিনি উৎক্রান্ত হবেন কিনা। জনাব মশিউর রহমান যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে কিছুটা ‘নেতিবাচক অবদান’।
জনাব মশিউর রহমান স্বাধীনতা শব্দটি ব্যাবহারে খুব উদ্ব্যক্ত। বর্তমান উত্থানের একটাই উদ্দেশ্য পশ্চিমা একনায়কতন্ত্র শেকল ছুঁড়ে ফেলা। বাঁধা বিপত্তি বা জানমালের ব্যাপক ক্ষতিও বাংলাদেশের জনগণের এই অভ্যুত্থানকে রুখতে পারবেনা, তিনি বলেন।
যারা মনে করছে বাংলাদেশের সংগ্রাম জনসাধারণের অংশগ্রহন উৎসাহিত করতে ব্যার্থ হয়েছে এবং উদ্বাস্তুদের প্রবাহ উল্লেখ করে যারা তাতে যুক্তি দেখাচ্ছে তাদের নোট করা দরকার যে, উদ্বাস্তুদের সংখ্যা, হোক পরিমানে বেশি, তা সাড়ে সাত কোটি জনসংখ্যার অনুপাতে খুবই নগন্য। পাশাপাশি, উদ্বাস্তুদের বেশীরভাগই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ লোক যেখানে সব যুবকরা তাদের ভূমিতে অবস্থান করছে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য।
জনসাধারণের অংশগ্রহণের ঘটনা বর্ণনাতীত। এপ্রিলের ২ তারিখে একটি সেনা সারি সীমান্ত ফাঁড়ি দিয়ে নবাবগঞ্জে আক্রমণের উদ্দেশ্যে রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়েছিল, যাত্রাপথে হামলার সম্মুখীন হয়। অবস্থা খুব নিদারুণ ছিল। কিন্তু যা ঘটল তা অনন্য। যখন খবর ছড়াল সৈন্যরা ট্যাঙ্ক নিয়ে আগাচ্ছে, প্রায় ৫০০০ জনতা তাদের কাছে যা ছিল- লাঠি, তীর ধনুক, বর্শা ও বন্দুক নিয়ে দল ধরে প্রতিরোধ করতে চলে এলো। এটা শুধু সাহসিকতার পরিচয় নয়। তারা ট্যাঙ্কের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ও তা কব্জা করে ফেলে, যদিও ভারী মুল্য দিতে হয়েছে। রণকৌশলগত জ্ঞান থেকে এটা দেখিয়েছে যে, রাগ-দমনের প্রকাশ হিসেবে জনগণ কোন আওয়ামী লীগ বা এনএপি নেতার নির্দেশনা ছাড়াই এটা করেছে। মুহূর্তের জন্য হলেও প্রশ্ন জাগে নেতৃত্বে পরাশ্রয়ী নির্ভরতা কি উধাও।
প্রতিরোধ বাহিনী
আমার সংক্ষিপ্ত ভ্রমনে দেখেছি এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে প্রতিরোধ বাহিনী নেই। লাঠি, তীরের মত নগ্ন হাতিয়ার নিয়ে তারা সঙ্কল্প এবং আশার একটি পুর্নাঙ্গ ছবি। আবেগে ভরপুর, তারা পারবে! যাহোক, উচ্চতর শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের যুদ্ধ কৌশল শেখা লাগবে। ইতিমধ্যেই তারা শত্রুদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ সম্পর্কে সতর্ক এবং গেরিলা যুদ্ধের দিকে ঝুঁকছে।
আরো বেশি বাড়ি ঘুরে আমি দেখেছি যে যারা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে, কিছু উল্লেখ করবো “ব্যাক্তি প্রতিনিধি”র একজন রাজশাহী জেলার রোহানপুরের মাঝি। এই গরিব লোক প্রতি রাতে তার নৌকায় করে দূরে মুক্তি বাহিনীর জন্য স্থানীয় গ্রামবাসীদের দেয়া খাবার বহন করে নিয়ে যায়। অথবা এই তরুন ছেলেটার কথাই ভাবা যায় যে তার পেট্রল-চালিত ট্রান্সমিশন সেটের জন্য ৪০ মাইল পথ সাইকেল চালিয়ে আমাদের এদিকে মাইদায় আসে জ্বালানির জন্য। এমন ‘ব্যাক্তি প্রতিনিধি’ অগনিত যারা পার্টি লাইন ক্রস করছে। পার্টি ধ্বংসের এই পর্যায়ে আওয়ামী লীগেকে প্রসারিত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা আন্দোলনে পশ্চিমদের নিয়ম নীতির বিপক্ষে দাড় করানোর “স্পষ্ট চাহিদা” সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ- এই সেই শব্দ। এমনকি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার পশ্চিমা রাজ্যশাসনের তথাকথিত শান্তি চুক্তিতে আর বসবেনা। আরো একটি বিষয় হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানের অত্যাচারী শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের আগ পর্যন্ত কোন বড় শক্তিও আর বাংলাদেশের জনগণকে কোন আলোচনায় বসাতে পারবেনা, বিশ্ব সম্রাটতন্ত্রের একজন সরাসরি প্রতিনিধি হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধ ধারণায় ক্ষতি সাধন করে এমন কোন শর্তে বড় ক্ষমতাধর নতুন সরকার গঠিত হয়, বাংলাদেশের জনগন তা মেনে নেবেনা।
বাংলাদেশের জনগণের সাধারণ অনুভূতি বোঝানোর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণীর কথা বলব যার কলকাতায় দেখা হয়েছিল। পঁচাশি বছর বয়স্ক একজন রাজনৈতিক নেতা ও পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী যাকে তার কুমিল্লার বাড়ির সামনে হত্যা করা হয়, তার নাতি সে। ঘটনাটি তার চোখের সামনে ঘটে। ২৭শে মার্চ রাতে সৈন্যরা তাদের বাড়ি ঘেরাও করে এবং ডি এন দত্ত ও তার ছেলেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় যাকে আর্মির বায়োনেট চার্জে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা যায়। মেয়েটি পালিয়ে বাঁচে। আমাকে বলল সে শরণার্থী হয়ে ভারতে থাকতে চায়না। “আমাকে বাংলাদেশে ফিরতে হবেঃ যারা আমার দাদু ও নির্দোষ চাচাকে মেরেছে সেই নরপশুর জঘন্য চেহারা আমি এক মুহূর্তের জন্য এমনকি ঘুমের মধ্যেও ভুলতে পারিনা। তাকে খুঁজে বের করে ঠিক সেইভাবেই মারবো যেভাবে তাদের মেরেছে”।
বিদেশি হস্তক্ষেপের কি মুল্য দিতে হবে সে ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী ভালভাবেই অবগত। তারা চায় না ভারত বা অন্যকোন জাতি এই দ্বন্দে সরাসরি জড়িত হোক। নেতা, সাধারন মানুষ যাকেই আমি দেখেছি তারা অস্ত্র, বোমা এই ধরণের জিনিস ছাড়া কোন বিদেশী ক্ষমতা বা সহযোগিতা চায় না। যুদ্ধের লক্ষ্য যোদ্ধাদের দ্বারাই সহজে নিষ্পন্ন হবে তারা এমন ধারণায় আচ্ছন্ন।
এটা অনস্বীকার্য যে বর্তমানের আন্দোলন কোন শ্রেণী দন্দ থেকে আসেনি। কিন্তু কঠোর শ্রেণী চেতনা পথ দেখাচ্ছে। দিনাজপুরের এসপি, একসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, তার স্ত্রী কে গ্রামের একটি ক্যাম্পে তথাকথিত নিন্ম শ্রেণীর মানুষদের সাথে রেখে এসেছেন যখন তিনি সম্মুখ অপারেশনে যুক্ত ছিলেন। তিনি বলেছিলেন শ্রেণিহীন হবার এটাই মোক্ষম সময়।
প্রশ্ন হল স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য পূর্ব পাকিস্তানের মাটি উর্বর কিনা। আর্থ-সামাজিক বিশ্লেষণে দেখাতে পারে এটা ছিল। গত বছরের পাকিস্তানের বাজেটে ৭৫০ কোটি রুপির মধ্যে ৩৫০ কোটি নির্দিষ্ট করা হয়েছিলো সামরিক খরচের জন্য। বার্ষিক লোন পরিশোধে প্রায় ১৫০ কোটি যেখানে প্রশাসন রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় ১০০ কোটি। বাকি ১৫০ কোটি প্রধানত ব্যয় হয়েছিলো পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়নে যেখানে বেশীরভাগ বেসরকারি ও সরকারি সেক্টর ইউনিট গুলো অবস্থিত। অদ্ভুতভাবে, প্রতিরক্ষা খরচের ৩৫০ কোটি পূর্ব পাকিস্তান থেকে উত্তোলন করা হয়। পূর্ব পাকিস্তান বাজেট খরচের ৬৫% উঠায় চা, পাট ও তামাক বিক্রি করে এবং রাজস্বের বেশীরভাগ সেনা খাতে ব্যয় করে। ১৯৬৫ সাল থেকে পশ্চিম পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র থেকে *** কোটি পায় সামরিক সহায়তা বাবদ। সবকিছু বিবেচনায়, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনীতিতে একটি জ্বলজ্বলে ভারসাম্যহীনতা বিদ্যমান। পরেরটিকে একটি উপনিবেশের চেয়ে মোটেই বেশি কিছু হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।।
আরেকটি গোলমেলে ব্যাপার হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের অনেক জমি দেয়া যাদের পূর্ব পাকিস্তান থেকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। কোন সেনা কর্মকর্তা চাকরি থেকে অবসর নিলে তারা ৫০ থেকে ৩০০ বিঘা জমি পায়। অন্যদিকে এই বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত পশ্চিম পাকিস্তানি আর্মি অফিসাররা সামন্ততান্ত্রিক ভূস্বামীতে পরিণত হয় এবং শোষণের যন্ত্র হয়ে ওঠে। এসব পূর্ব পাকিস্তানিদের পশ্চিম দলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের দুঃখের-কারন বা যা পরে পূর্ব পাকিস্তানিদের আহত করেছে যখন বিধ্বংসী সাইক্লোনের সময় কোন সেনা সদস্য তাদের সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকার জনসাধারণের মৃতদেহ সরানোর জন্য আমেরিকান সেনাবাহিনীকে আসতে হয়েছিল। সৈন্যরা ছাড়াও পশ্চিম থেকে কোন রাজনৈতিক নেতা পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে সাইক্লোনের আঘাত হানা এলাকা পরিদর্শনে আসেনি।