You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.19 | ভারতীয় এলাকায় পাক সেনাদের গুলি কতিপয় শরণার্থী নিহত | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

ভারতীয় এলাকায় পাক সেনাদের গুলি কতিপয় শরণার্থী নিহত

শিলং, ১৮ সেপ্টেম্বর, (ইউ এন আই)- গত বৃহস্পতিবার রাত্রিতে আসামের করিমগঞ্জ মহকুমার ৫টি গ্রামাঞ্চল জুড়ে সীমান্তের ওপার থেকে পাক সেনারা মর্টারের গােলাবর্ষণ করতে থাকে। ফলে বারপুরিয়া গ্রামের জনৈকা মহিলা নিহত হয় এবং একটি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। অনুরুপভাবে ভারতীয় গ্রাম জাদু এবং মহিষাসনেও পাক সেনারা গুলি বর্ষণ করে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী পাল্টা গুলি চালানাের পর পাকসেনাদের গােলাগুলি বন্ধ হয়। কাছারের সীমান্তবর্তী গ্রামাঞ্চলে পাকসেনাদের ইতঃস্তত গুলিবর্ষণের ফলে গ্রামবাসীরা আরও নিরাপদ স্থানে চলে যেতে শুরু করে।

ত্রিপুরায় ২ জন শরণার্থী নিহত
আগরতলা থেকে প্রাপ্ত এক সংবাদে জানা যায় যে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম ত্রিপুরার কাতলামারা এলাকায় সীমান্তের ওপার থেকে পাকসেনারা গুলি চালায় এবং ২ জন শরণার্থী নিহত হয়। সেই সঙ্গে কিছু গবাদি পশুও মারা যায়। বিশালগড় থানার অধীন কমলাসাগরে এবং বেলােনিয়া শহরের দিকে পাকসেনারা প্রচুর বােমাবর্ষণ করে। ফলে ৫ জন ভারতীয় নাগরিক আহত হয়।

ভারতীয় এলাকায় পাক সেনাদের গােলাগুলি
কৃষ্ণনগর থেকে প্রাপ্ত এক সরকারী রিপাের্টে জানা যায় যে, একদিন বিরতির পর ভারতীয় গ্রামাঞ্চলে পাক সেনাদের গােলাগুলি পুনরায় শুরু হয়। এখানে করিমপাড়া নামে জনৈক বাঙলাদেশ শরণার্থী পাক সেনাদের গুলিতে নিহত হয়। করিমপাড়া গ্রাম সংলগ্ন রাজাইনারেও পাক সেনারা গুলি চালায়। সীমান্তের ওপার থেকে প্রাপ্ত এক সংবাদে বলা হয়েছে যে কুষ্টিয়া শহর থেকে প্রায় ৮ কিঃমিঃ দূরে দুরবাবর এলাকায় পাকিস্তানী বিমান বাহিনী আক্রমণ চালায়। উল্লেখযােগ্য যে মাত্র কয়েকদিন আগে এখান থেকে মুক্তিফৌজের গেরিলা যােদ্ধারা পাকসেনাদের একটি দলকে উৎখাত করে। এই সময় পাক সেনাদের গুলিতে কতিপয় গ্রামবাসী নিহত হয়।

সূত্র: কালান্তর,১৯.৯.১৯৭১