নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২ নভেম্বর ১৯৭১
বৈদেশিক সাহায্যের নতুন দিক
গতকালের রুদ্ধদ্বার ফরেন রিলেশনস কমিটির বৈঠকের রিপোর্টে যানা যায় সদস্যরা বৈদেশিক সাহায্যের অনুমোদন বিল বন্ধ করার জন্য সিনেট র্যাশ ভোটের ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনা করছেন। আপাত দৃষ্টিতে বিদেশী সহায়তার ব্যাপারে নতুন কোন দিকনির্দেশনা নেই যার ফলে কংগ্রেসের সমর্থন জোরালো হয়।
সিনেটর ফুলব্রাইট এবং অন্যান্যরা অস্থায়ী আইনের কথা ভাবছেন যার ফলে মানবিক প্রোগ্রাম তরান্বিত হবে, বিশেষ করে যেগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত হবে, এবং ব্যাপকভাবে সামরিক উপাদান কমাতে সাহায্য করবে যা এখন প্রশাসনিক বৈদেশিক সাহায্যের প্যাকেজের অর্ধেকের বেশী। এই পদ্ধতির একটি সুবিধা আছে কিন্তু জনাব ফুলব্রাইট এর চাহিদা অনুযায়ী করা বিল এই মুহুর্তে প্রাধান্য পাবে কিনা সেব্যাপারে সন্দেহ আছে। কারণ প্রশাসনের নজর মিলিটারি প্রস্তাবের দিকে – সেটা শুক্রবারের চূড়ান্ত নেগেটিভ ভোটের আগে পরিবর্তন হবে কিনা সেটাই বিষয়।
এটা প্রশাসনের জন্য অবাস্তব হবে যদি বর্তমান ফর্মে বৈদেশিক সাহায্যের বিল সিনেটে নেয়া হয়। যদিও শুধুমাত্র এটাই একমাত্র ফ্যাক্টর না। এইড বিলের ব্যাপারে প্রশাসন এর পরাজয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে যে এর সাথে প্রেসিডেন্সিয়াল নীতি জড়িত এবং ভারী সামরিক সমর্থন জড়িত – বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাপারে। যতক্ষণ এটা সংশোধন করা না হবে ততক্ষণ সমর্থনের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকবে। বিদেশী সহায়তা বিষয়ে কংগ্রেশনাল ঐক্যমত হবার সম্ভবনা কম। এমনকি গত বছর দেয়া পিটারসন কমিশন সংশোধন করলেও হবেনা।
বৈদেশিক সাহায্যের পুনর্বিবেচনার ব্যাপারে কংগ্রেস ও প্রশাসন নিজেদের ভুল পথে পরিচালিত করেছে। পরে সেটা প্রেসিডেন্ট ও এ আই ডিএর কিছু সমালোচক তুলে ধরেন।
প্রেসিডেন্ট ও কংগ্রেশনাল সমালোচকদের কঠোর আলোচনা করতে হবে। একই সাথে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ থেকে জাতীয় দুর্যোগএর সম্ভবনা ঠেকাতে হবে। কংগ্রেস বিদেশী সাহায্য অব্যাহত রাখবে অন্য একটি রেজল্যুশনের মাধ্যমে। ১৫ তারিখ পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও সেটা বাড়াবে। কমপক্ষে ৯০ দিন বাড়ানো হবে পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য।
সম্পূরক তহবিলের জন্য দ্রুত ব্যাবস্থা নিতে হবে। প্রশাসন আগেই এই অনুরোধ করেছে। তারা ৯ মিলিয়ন শরনার্থিদের সাহায্যের জন্য তা বলেছেন। এটা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। বরং কারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে আর কারা আসবেনা সেটা আলোচনা করা যেতে পারে।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বৈদেশিক উন্নয়ন কর্মসূচির দাতা দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় অবদানকারী তবে দেশের মোট সম্পদের আনুপাতিক হারে এটি ১৬ টি দাতা দেশের মধ্যে ১২ তম অবস্থানে আছে। এতে আত্মঅহংকার বা আত্মকরুণার কোন বিষয় নেই।