সানডে পোষ্ট | নাইরোবি, ২২ নভেম্বর ১৯৭১ | ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশ পরিস্থিতি
… যখন লক্ষ লক্ষ শরনার্থি প্রবেশ করে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সমস্যার হুমকির সৃষ্টি করল তখন ভারত জড়িয়ে পড়ল।
কিছু অপপ্রচার করা হল যাতে বলা হচ্ছিল শরনার্থিদের আশ্রয়স্থল আসলে বন্দিদের ক্যাম্প এবং তাদের সেখান থেকে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। জোর করে রেখে দেয়া হচ্ছে।
এই ক্যাম্পগুলো মুক্ত ও খোলা। যে কেউ সেখানে যেতে পারেন। কোন বাঁধা বা প্রতিবন্ধকতা নেই। যে কেউ তা দেখে আসতে পারেন।
একটি শুমারিতে বলা হচ্ছে মাত্র আড়াই মিলিয়ন মানুষ পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বলেছেন এটা ৩ বা ৪ মিলিয়ন হতে পারে। ৮ বা ৯ কীভাবে?!
বিবিসি বলেছে একজন উদ্বাস্তুকে তিনবার চেক করা হয় যাতে সে সত্যিকারের উদ্বাস্তু নাকি ভণ্ড তা সনাক্ত করতে ভুল না হয়।
এই ব্যাখ্যায় বলা হয় ক্যাম্পে সব ধরণের রিফিউজি নেই। শুধুমাত্র যারা খুব গরিব ও অসহায় তারাই আছে। অনেক পূর্ব পাকিস্তানের লোক কলিকাতায় তাদের বন্ধু ও আত্মীয়ের বাড়ীতে উঠেছেন।
তাদের সংখ্যা কখনো নথিভুক্ত করা হয়নি। তবে তারা সবাই ফিরে যেতে চায়। তবে সন ট্রাজেডি বিশ্ববাসী দেখেছেন। একটি বিবৃতি দেখে যে কেউ অবাক হবেন – সেখানে বলা আছে – যে দেশের জনসংখ্যা বছরে ১২ মিলিয়ন বাড়ে সেই দেশের জন্য ৯ মিলিয়ন উদ্বাস্তু বোঝা হতে পারেনা।
এই নয় মিলিয়ন সরাসরি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
যে শিশু জন্মগ্রহণ করে তার দায়িত্ব তার মা-বাবার উপরেই বর্তায়।