১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ কুষ্টিয়া যুদ্ধ ও কুষ্টিয়া মুক্ত
৮-৯ তারিখ রাত্রে ভারতীয় বাহিনী পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমন করে সুবিধা করতে না পেরে পুনর্গঠিত ও আরও শক্তিশালী হয়ে এদিন পাক অবস্থানে আক্রমন করে। ১০-১১ তারিখ রাত্রে দক্ষিন পূর্ব দিক থেকে ৪১ ব্রিগেড, দক্ষিন দিক থেকে ৭ ব্রিগেড, দক্ষিন পূর্ব দিক থেকে ৬২ ব্রিগেড হামলা করে। মুল আক্রমন করে ৭ ব্রিগেডের ৫ জাঠ এবং ৪১ ব্রিগেডের ৫ গার্ড ব্যাটেলিয়ন। দুপুর নাগাদ ৪১ ব্রিগেড উত্তরে অগ্রসর হওয়ার পর দিক পরিবর্তন করে পশ্চিমে কুষ্টিয়া শহরের দিকে আক্রমন চালায়। দুপুর ২ টার দিকে পাক বাহিনীর একটা বড় অংশ ভেরামারার দিকে সরে যায়। ৪১ ব্রিগেডকে আবার পশ্চিম মুখী আক্রমন থেকে সরিয়ে ভেরামারার দিকে ধাবিত করা হয়। দক্ষিন দিক থেকে আগত ৭ ব্রিগেড বিনা বাধায় বিকেল ৫ টার দিকে অবশেষে কুষ্টিয়া দখল করে। পাক বাহিনী ভেরামারার দিকে চলে যায়। মাঝ রাতে তারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ অতিক্রম করে ওপারে চলে যায় এবং ব্রিজের একটি স্পান ধ্বংস করে এবং ব্রিজের উপর একটি ট্যাঙ্ক রেখে যায়। এদিন ভারতীয় বাহিনীর ৩ জন অফিসার ২ জন জেসিও ৫৪ জন সাধারন সৈনিক নিহত হয়। ভারতীয় বাহিনী লাশ উদ্ধারের পর দেখে এ সকল সৈন্যদের দেহ বেয়োনেট আঘাত খচিত ও বিকৃত ছিল। কিছু লাশ ট্যাঙ্ক দ্বারা পিষ্ট করা হয়। যুদ্ধবন্দী থাকা কালীন ২ জন পাকিস্তানী মেজরকে এজন্য আলাদা শাস্তি দেয়া হয়েছিল। তাদের একজন ছিলেন মেজর জাহিদ।