১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ঃ জামালপুরের যুদ্ধ
ভারতীয় ৯৫ ব্রিগেড কম্যান্ডার ব্রিঃ হরদেভ সিং ক্লের জামালপুরে পাকিস্তানী সেনা ইউনিট ৩১ বালুচ কমান্ডার লেঃ কঃ সুলতানের কাছে পত্র বাহক মারফত আত্মসমর্পণের অনুরোধ পত্র পাঠান।লেঃ কঃ সুলতান উক্ত পত্র প্রত্যাখ্যান করে একটি চাইনিজ বুলেট সহ পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কথা বেক্ত করেন। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ এর পাকিস্তানী ৯৩ ব্রিগেডকে ঢাকার প্রতিরক্ষার জন্য তলব করা হয়। ব্রিগেডিয়ার কাদির এই দিনেই ময়মনসিংহ খালি করে দেন এবং মুক্তাগাছা মধুপুর হয়ে ঢাকার দিকে রওয়ানা হন। দুপুরের পর ভারতীয় ব্রিগেড ১ মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রি ১৩ গার্ড রেজিমেন্ট মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি কোম্পানী জামালপুরের উপর আক্রমণ চালায়। বিকালে ভারতীয় বিমান বাহিনী জামালপুরে হানাদার ঘাঁটির উপর একঘন্টা ধরে কয়েক হাজার পাউন্ডের বোমা নিক্ষেপ করে। এর ফলে পাক বাহিনীর অনেক হতাহত হয় পরে একজন মেজর সহ ৩৭৬ জন পাক সেনা আত্মসমর্পণ করে। বাকি পাকসেনারা মধুপুরের পথে পালাতে আরম্ভ করে। মুক্তিযোদ্ধা শাহ মুতাসিম বিল্লাহ খুররম (বীর বিক্রম) এই যুদ্ধে নিহত হন। জামালপুর জেলা মুক্ত হয়। যুদ্ধের মাধ্যমে মহকুমা মুক্তের মধ্যে জামালপুর ৫ম। এর আগে ঠাকুরগাও, ফেনী, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্ত হয়।