You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.03.17 | ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জে, এন, দীক্ষিতের সাফাই - সংগ্রামের নোটবুক
 ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব জে, এন, দীক্ষিত ৪-৭-৯৫ ইং INDIAN EXPRESs পত্রিকায় তার লিখিত নিবন্ধে প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন যে ভারতীয় সেনাবাহিনী যেন অন্ততঃ এক বৎসর বাংলাদেশে অবস্থান করে কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার আশংকায় উপরােক্ত প্রস্তাব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেঃ জেনারেল জগজিৎসিংহ অরােরা এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে নিখিল চক্রবর্তীর এক প্রশ্নোত্তরে বলেন, “ভারতীয় বাহিনীর ইষ্টার্ণ হেডকোয়ার্টার ছিল কলিকাতায়। ঢাকা অভিমুখে মার্ক করার আগে আমরা ঢাকায় কতদিন থাকব সেটা নিয়ে ভাবলাম । আমি ঢাকায় আমাদের অবস্থানের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলাম তিন মাস। আমরা ঢাকায় তিন মাস থাকব। এটা এই জন্যেই ঠিক করেছিলাম যে যদি আমরা এর বেশী থাকি আমরা আর লিবারেশন আর্মি হিসাবে অভিনন্দিত না হয়ে অপেশন আর্মি (দখলদার বাহিনী) হিসাবে চিহ্নিত হব। তাই আমরা ৩ মাসের বেশী থাকিনি।” (দৈনিক ইনকিলাব-১২-৩-৯৪ ইং) উপরােক্ত উক্তিগুলিই প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের দাৰী সত্য নহে। অথচ এটি নিছক ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজেদের এবং সৈয়দ নজরুল ও তাজউদ্দিন গংদের পক্ষে সাফাই ছাড়া অন্য কিছু নয়। যুদ্ধোত্তর পাকিস্তান
যুদ্ধ চলাকালে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান জনাব নূরুল আমিনকে প্রধানমন্ত্রী ও জুলফিকার আলী ভুট্টোকে উপ-প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। ১৬ই ডিসেম্বরে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় অংগচ্ছেদের পর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ২০শে ডিসেম্বর (১৯৭১) পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগুরু সদস্যবৃন্দের নির্বাচিত সংসর্পীয় নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর হতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। জনাব নূরুল আমিন পশ্চিম পাকিস্তানেই ইন্তেকাল করেন এবং করাচীতে কায়েদে আযম মােহাম্মদ আলী জিন্নাহর সমাধি পাশ্বেই
হাতে সমাধিস্থ করা হয়। জনাব নুরুল আমিনের পক্ষে ইহা পরম সৌভাগ্যের বিষয় যে, কায়েদে আযমের পার্শ্বেই তিনি অন্তিম শয্যায় শায়িত আছেন।

ক্ষমতা হস্তান্তরকালে জেনারেল ইয়াহিয়া বন্দী শেখ মুজিবর রহমানকে যাসী দেয়ার পরামর্শ দেয়। উত্তরে ক্ষমতাগ্রহণকারী জুলফিকার আলী ভূট্টোর উক্তি প্রণিধানযােগ্য “If I kill Mujib, not a single West Pakistani will ever come home মুজিবকে হত্যা করিলে একজন পশ্চিম পাকিস্তানী আর দেশে আসিতে পারিবে না।” ৯৩০০০ যুদ্ধবন্দী ও কয়েক হাজার পাকিস্তানী বেসামরিক কর্মচারীবৃন্দ বাংলাদেশে 101 “Partition & After Math-Memoirs of an Ambasador by kewal singh 

L.C.S.-Foreign secretary-Govt. of India.
জনাব জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের কিয়ৎ কালের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগার হইতে মুক্তি দিয়া এক গৃহে অন্তরীণ করেন এবং ৩রা জানুয়ারী করাচীতে অনুষ্ঠিত জনসভায় দেয় ভাষণ অনুসারে ৮ই জানুয়ারী (১৯৭২) শেখ মুজিবর রহমানকে মুক্তিদান করিয়া বাংলাদেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি নিঃসন্দেহে জনাব ভুট্টোর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতার সাক্ষ্য বহন করে। ১৯৭১ সালের ১১ই আগষ্ট নাকি গােপন সামরিক আদালতে শেখ মুজিবের বিচারের ব্যবস্থা করা হয়। মুক্তির পর শেখ মুজিবর রহমান ৮ই জানুয়ারী (১৯৭২) অপরাহ্ন ১২টা ৩৫ মিঃ লণ্ডন বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। তথায় একদিন অবস্থানের পর ১০ই জানুয়ারী বৃটিশ সরকার প্রদত্ত রাজকীয় বিমান বাহিনীর কমেট” বিমানযােগে ঢাকার পথে ভারত সরকার কর্তৃক দিল্লীতে আয়ােজিত সম্বর্ধনা উপলক্ষে শেখ মুজিব সকাল ৮-৩০ মিনিটে কয়েক ঘণ্টার জন্য পালাম বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। ভারতীয় প্রেসিডেন্ট ভি, ভি, গিরি ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাহাকে পালাম বিমান বন্দরে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সহিত মত-বিনিময় ও দিল্লী সম্বর্ধনা সমাপনের পর অপরাহ্ন ১টা ৪২ মিনিটে বৃটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর কমেট বিমানেই শেখ মুজিব ঢাকা বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। নেতার প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ প্রাণঢালা সম্বর্ধনা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিমান বন্দর হইতে ঢাকা রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সােহরাওয়ার্দী উদ্যান) পর্যন্ত দীর্ঘপথ লােকে লােকারণ্য হয়। তেজগা বিমান বন্দর হইতে ঢাকা রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত মাত্র ৪ মাইল পথ ট্রাকযােগে অতিক্রম করিতে ২ ঘণ্টারও অধিক সময় লাগে। স্বচক্ষে অবলােকন না করিলে জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত অকৃত্রিম শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালবাসার গভীরতা অনুধাবন করা অসম্ভব। এই দৃশ্য অভূতপূর্ব; ছিল আগেকপ্রসূত; এই দৃশ্য অবিস্মরণীয় এবং ঐতিহাসিক।
| সেইদিন তার সম্মানে রেসকোর্স ময়দানে আয়ােজিত সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এক পর্যায়ে তিনি বলেন যে, “আমি একজন মুসলমান। মৃত্যু আমার একবারই হবে। বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ …।” তঁার সেদিনের সেই সাহসী ও সময়ােপযােগী সুস্পষ্ট উচ্চারণ বাংলাদেশের অস্তিত্বের ভিত্তিকে মজবুত করতে নতুন মাত্রা যােগ করে। প্রধানমন্ত্রী পদে শেখ মুজিব
১১ই জানুয়ারী (১৯৭২) টেলিফোন বাজিয়া উঠিল। রিসিভার তুলিয়া একটি অতি পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত কণ্ঠস্বর শুনিতে পাইলাম। কণ্ঠস্বরটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের। কলেজ জীবন হইতে বন্ধুত্ব; কিন্তু কলিকাতায় প্রবাসী অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আমাদের মত ভিন্ন দলীয় জাতীয়তাবাদীদের সহিত শােভনীয় আচরণ প্রদর্শন করেন নাই। যাহা হইক,
টেলিফোনে তাজউদ্দিন কুশলাদি জিজ্ঞাসার পর আমাকে বলেন, শেখ সাহেবকে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করিবার সিদ্ধান্ত লইয়াছি ও প্রস্তাবও করিয়াছি। কারণ তিনি যে কেনি পদেই বহাল থাকুন না কেন, তাহার ইচ্ছা-অনিচ্ছাতেই রাষ্ট্রীয় প্রশাসন পরিচালিত হইবে। শেখ সাহেবের মানসিক গড়ন তুমিও জান; আমিও জানি। তিনি সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণে অভ্যস্থ। অতএব ক্ষণিকের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য পার্লামেন্টারী কেবিনেট পদ্ধতির প্রশাসন প্রহসনে পরিণত হইবে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আসীন থাকিলে নিয়মতান্ত্রিক নামমাত্র দায়িত্ব পালন না করিয়া মনের অজান্তে কার্যতঃ ইহাকে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির প্রশাসনে পরিণত করিবেন। এইদিকে প্রেসিডেন্ট পদে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে নির্বাচনের কথা ভাবিতেছি। তােমার মত কি?
তদুত্তরে তাঁহাকে বলি “তােমার সিদ্ধান্ত সঠিক। নামমাত্র প্রেসিডেন্টের ভূমিকা পালন শেখ সাহেবের শুধু চরিত্র বিরুদ্ধ হইবে না; বরং উহা হইবে অভিনয় বিশেষ। কেননা, ক্ষমতার লােভ তাহার সহজাত।” তাজউদ্দিন টেলিফোনের অপর প্রান্তে সশব্দে হাসিয়া উঠিলেন। বলিলেন, “আমি জানিতাম, মৌলিক প্রশ্নে তােমার আমার মধ্যে। মতভেদ হইবে না।। | ১২ই জানুয়ারীর এক ঘােষণীয় বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ও শেখ মুজিবুর রহমান যথাক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করিলেন বটে; কিন্তু উত্তরকালে ঘটনা প্রবাহে বন্ধুবর তাজউদ্দিনের সদিচ্ছার শেষ রক্ষা হইল না। ভারত-বাংলা দাসত্ব চুক্তি

| প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমানের আমন্ত্রণক্রমে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৭ই মার্চ (১৯৭২) ঢাকা সফরে আসেন। লক্ষ লক্ষ জনতা তাহার আন্তরিক অভ্যর্থনা জানায়। ১৯শে মার্চ উভয় প্রধানমন্ত্রী যুক্ত ইশতেহার প্রকাশ করেন ও ২৫ বৎসর মেয়াদী “বস্তুত, সহযােগিতা ও শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। আমাদের বাংলা জাতীয় লীগের দৃষ্টিতে চুক্তিটি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব খর্বকারী সামরিক চুক্তি অন্য কথায় দাসত্ব চুক্তি ছাড়া কিছুই ছিল না। ১৯৫৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানি অনুরূপ পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করিয়াছিল। পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ সে। সময়ে এই পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তির তীব্র বিরােধিতা করে। কিন্তু ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হইবার পর সােহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবর রহমান, আতাউর রহমান খান, মানিক মিয়া (সম্পাদক, ইত্তেফাক) প্রমুখ আওয়ামী লীগ নেতা পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তির গোড়া সমর্থকে পরিণত হন। সেই শেখ মুজিবুর রহমানই পুনরায় ক্ষমতার মােহে ভারতের সহিত ২৫ সালা দাসত্ব চুক্তি তথা সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করিলেন। লক্ষণীয় যে, পুনঃ পুনঃ অভিযােগ সত্ত্বেও মুজিব-তাজউদ্দিন ভারতের সহিত গােপন চুক্তি অস্বীকার করিতেন, ঠিক যেমন পার্ক-মার্কিন সামরিক চুক্তির সর্বনাশা গোপন। 

ধারাগুলি পাক-সরকার প্রকাশ্যে উচ্চকণ্ঠে পুনঃপুনঃ অস্বীকার করিতেন।
Treaty of Friendship, Co-operation and Peace between the People’s Republic of Bangaldesh
and the Republic of India Inspired by common ideals of peace, secularism, democracy, socialism and nationalism.
Having struggled together for the realisation of these ideals and cemented ties of friendship through blood and sacrifices which led to the triumphant emergence of a free, sovereign and independent Bangladesh,
Determined to maintain frateral and good neighbourly relations and transform their border into a border of eternal peace and friendship.
Adhering firmly to the basic tenets of non-alignment, peaceful co-existence, mutual co-operation, non-interference in internal affairs and respect for territorial integrity and sovereignty,
Determined to safeguard peace, stability and security and to promote progress of their respective countries through all possible avenues of mutual co-operations,
Determined further to expand and strengthen the existing relations of friendship between them,
Convinced that the further development of friendship and cooperation meets the national interests of both States as well as the interests of lasting peace in Asia and the world.
Resolved to contribute to strengthening world peace and security and to make efforts to bring about a relaxation of International tension and the final elemination of vestiges of colonialism, recialism and imperialism,
Convinced that in the present-day world international problems can be solved only through co-operation and not through conflict or confronation,

Reaffirming their determination to follow the aims and principles 

The people’s Republic of Bangladesh, on the one hand, and the Republic of India, on the other, have decided to conclude the present Treaty,
Article: 1
The High Contracting Parties, inspired by the ideals for which their respective peoples struggled and made sacrifices together, solemnly declare that there shall be lasting peace and friendship between their two countries and their peoples. Each side shall respect the independence, sovereignty and territorial integrity of the other and refrain form interfering in the internal affairs of the other side.
The High Contracting parties shall further develop and strengthen the relations of friendship, good-neighbourliness and all-round cooperation existing between them, on the basis of the abovementioned principlies as well as the principles of equality and mutual benefit.
Article : 2
Being guided by their devotion to the principle of equality of all peoples and states, irrespective of race or creed, the High Contracting parties condemn colonialism and recialism in all their forms and manifestations and reaffirm their determination to strive for their final and complete elemination.
The High Contracting parties shall co-operate with other states in achieving these aims and support the just aspirations of peoples in their struggle against colonialism and racial discrimination and for their national liberation.
Article :3
The High Contracting parties reaffirm their faith in the policy of non-alignment and peaceful co-existence, as important factors for easing tension in the world, maintaining international peace and security and strengthening national sovereignty and independence.
Article : 4

The High Contracting Parties shall maintain regular contacts with each other on major international problems affecting the interests of both States, through meetings and exchanges of views of at all levels. 

Article : 5
The High Contracting Parties shall continue to strengthen and widen their mutually advantageous and all-round co-operation in the economic, scientific and technical fields. The two countries shall develop mutual co-operation in the fields of trade, transport and communications between them on the basis of the principles of equality, mutual benefit and the most favoured nation principle.
Article : 6
The High Contracting Parties further agree to make joint studies and take joint action in the fields of flood control, river basin development and the development of hydro-electric power and irrigation.
Article : 7
The High Contracting parties shall promote relations in the fields of art, literature, education, culture, sports and health.
Article: 8
In accordance with the ties of friendship existing between the two countries each of the High Contracting Parties solemnly declares that it shall not enter into or participate in any military alliance directed against the other party.
Each of the High Contracting Parties shall refrain from any aggression against the other party and shall not allow the use of its territory for committing any act that may cause millitary damage to or constitute a threat to the security of the other High Contracting Party.
Article : 9

Each of the High Contracting Parties shall refrain from giving any assistance to any third party taking part in an armed conflict against the other party. In case either Party is attacked or threatened with attack, the High Contracting Parties shall immediately enter into mutual consultations in order to take appropriate effective measures to eleminate the threat and thus ensure the peace and security of their countries. 

Article: 10
Each of the High Contracting Parties solemnly declares that it shall not undertake any commitment. secret of open, toward one or more states which may be incompatible with the present Treaty.
Article: 11
The present Treaty in signed for a term of twenty-five years, and shall be subject of renewal by mutual agreement of the High Contracting Parties.
The Treaty shall come into force with immediate effect from the date of its signature.
Article : 12
Any differences in interpreting any article or articles of the present Treaty that may arise between the High Contracting Partics shall be setled on a bilateral basis by peaceful means in a spirit of mutual respect and understanding,
Done in Dhaka on the Nineteenth Day of March, Nineteen Hundred and Seventy two. (Sheikh Mujibur Rahman)
(Indira Gandhi) Prime Miniser
Prime Minister For the People’s Republic of Bangladesh For the Republic of India.