মুজিব নগরে জনসমক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের জন্ম ঘােষণা
শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জোট নিরপেক্ষতার কর্মনীতির ভিত্তিতে স্বীকৃতি লাভের জন্য আবেদন
(স্টাফ রিপাের্টার)
মুজিবনগর (বাঙলাদেশ), ১৭ এপ্রিল-আজ এখানে আম্রকুঞ্জের ছায়ায় আয়ােজিত এক অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের হর্ষধ্বনির মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাঙলাদেশ প্রজাতন্ত্রের জন্ম ঘােষণা করা হয়। এই ঘােষণা করেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান তথা উপ-রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলি।
স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের জন্ম ঘােষণা করে অস্থায়ী রাষ্ট্র প্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকুঞ্জে দেশের স্বাধীনতার সূর্য অস্ত গিয়েছিল। আজ আর এক আম্রকুঞ্জে এক নতুন জাতির জন্মলগ্নের শুভ মুহূর্ত ঘােষিত হল।
শ্রীইসলাম তার মন্ত্রিসভার মন্ত্রিদের এবং রাষ্ট্রের প্রধান সেনাপতিকে সমবেত জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রীতাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাঙলাদেশের মানুষের মৃতদেহের পাহাড়ের তলায় চাপা পড়ে পাকিস্তানের মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য ইয়াহিয়ার সামরিকচক্রই দায়ী। বাঙলাদেশ সমস্ত দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় এই ঘােষণা করে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত বন্ধু দেশের কাছে এই সরকারকে স্বীকৃতি দেবার জন্য আহ্বান জানান।
ভারতের সীমান্ত থেকে প্রায় এক মাইল দূরের এই মুজিব নগরে উপরােক্ত অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাঙলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, সেনামণ্ডলীর সদস্যরা এবং ভারতসহ অন্য প্রায় ১২ টি দেশের বিদেশী সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌছানাের সঙ্গে সঙ্গে বাঙলাদেশের মুক্তিযােদ্ধারা তাকে গার্ড অব অনার’ দেন। সবুজের পটভূমিতে লাল বৃত্তের মধ্যে বাঙলাদেশের মানচিত্র সম্বলিত স্বাধীন বাঙলাদেশের পতাকার পাদদেশে দাঁড়িয়ে তিনি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন।
এরপর বাঙলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত “আমার সােনার বাঙলা” গীত হবার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়।
আজ সকাল ঠিক সাড়ে এগারােটায় “স্বাধীন বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের তরফ থেকে স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলি। ঘােষণাপত্রে বলা হয় যে, যেহেতু ইয়াহিয়া শাসনতন্ত্র গঠনের ও জাতীয় পরিষদ আহ্বানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার বদলে আহূত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেন ও বাঙলাদেশের মানুষের উপর ব্যাপকভাবে হত্যালীলা চালিয়ে ন্যায়নীতি বহির্ভুত ও বিশ্বাসঘাতকতা মূলক ব্যবহার করেছে, যেহেতু এই অন্যায় যুদ্ধ আর গণহত্যার দরুন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একত্র হয়ে শাসনতন্ত্র গঠন ও জনগণের সরকারের গঠন অসম্ভব করে তােলা হয়েছে এবং যেহেতু বাঙলাদেশের জনগণের কার্যকরী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গত ২৬ মার্চ রাত সাড়ে এগারটায় রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবর রহমান ঢাকায় যথাযথভাবে স্বাধীনতা ঘােষণা করে এই বর্বর নৃশংস যুদ্ধের মােকাবিলা করার, সময় মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন, সেই হেতু বাংলাদেশকে আমরা “সার্বভৌম জনগণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ঘােষণা করিতেছি।”
ঘােষণায় বলা হয় যে, শাসনতন্ত্র যতদিন না গঠিত হচ্ছে, ততদিনের জন্য শেখ মুজিবর রহমান রাষ্ট্রপ্রধান ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্র প্রধান নির্বাচিত হলেন। রাষ্ট্রপতি যদি কোনও কারণে না থাকেন বা তার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন, তাহলে উপরাষ্ট্র প্রধান রাষ্ট্র প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
ঘােষণাপত্রে আরাে বলা হয় যে, যেহেতু রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘােষণা করেছিলেন সেইহেতু বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীনতা কার্যকর হবে ২৬ মার্চ থেকে।
মন্ত্রিসভা, সেনামণ্ডলী নিয়ােগ
সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, এই ঘােষণাপত্র অনুযায়ী স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের উপরাষ্ট্র প্রধান হিসাবে আমি শপথ গ্রহণ করেছি।”
বাংলাদেশের অবিসম্বাদী নেতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমান যে কোনও কারণেই হােক প্রত্যক্ষভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালনে অক্ষম হওয়ার দরুণ, “তারই নির্দেশ অনুযায়ী আমি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।”
তিনি বলেন, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি রূপে তিনি শ্রীতাজুদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়ােগ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে খােন্দকার মুস্তাক আহমদকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলি ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে মন্ত্রীপদে নিয়ােগ করেছেন।
মন্ত্রিমণ্ডলীর সঙ্গে পরামর্শ করে তিনি মুক্তিবাহিনীর প্রধান কর্নেল ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি পদে ও তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করে কর্ণেল আবদুল রউফকে চীফ অব স্টাফ পদে নিয়োেগ করেছেন।
সমবেত জনতার বিপুল হর্ষধ্বনির মধ্যে তিনি মন্ত্রীদের ও সেনামণ্ডলীর সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।
উপ রাষ্ট্রপ্রধানের ভাষণ
উপরাষ্ট্রপ্রধান তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের জন্য সংগ্রামে শেখ মুজিবর রহমানের ২৩ বছর ব্যাপী অকুতােভয় নেতৃত্বের উল্লেখ করে তার প্রতি এবং ঐ একই উদ্দেশ্যে সংগ্রামী দুই প্রয়াত নেতা এ কে ফজলুল হক ও সােহরাবর্দীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বঙ্গবন্ধু মুজিবরের নেতৃত্বের উল্লেখ করে তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ পালনের জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শেখ মুজিবর রহমান “আজো আমাদের মধ্যে আছেন, তাঁর কণ্ঠ আজো আমাদের কানে বাজে এবং তাঁরই নির্দেশ তাঁরা পালন করেছেন।
“সময় যখন হবে, তখন আপনাদের প্রিয় নেতা আপনাদের সামনে হাজির হয়ে একাত্মতা প্রকাশে সক্ষম হবেন।”
২৩ বছর ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার অর্জনের জন্য লড়াই, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার সহ ৬ দফা দাবির পক্ষে বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচনে স্বার্থহীন ও কীভাবে ইয়াহিয়া, যুদ্ধ শুরু করলেন তার পটভূমি বর্ণনা করে তিনি বলেন, ২৫ মার্চ যুদ্ধ শুরু করার দায়িত্ব পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জুন্টা আর কায়েমী স্বার্থবাদী ও সামন্তবাদীদের, যেভাবে কোনও পূর্ব ঘােষণা, সামরিক আইন বা কাফু জারি না করে ফৌজদারের সাধারণ মানুষের উপর লেলিয়ে দেওয়া হল নরনারী নির্বিশেষে হত্যা করা হলে পৃথিবীর ইতিহাসে তার কোনও নজির নেই।
আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি প্রশ্ন করেন, “বাঙলাদেশের মানুষ কী দোষ করেছিল? বিশ্বের দরবারে আমি বিচার চাই।” তিনি বলেন স্বাধীনতার যদি কোনও পবিত্রতা থেকে থাকে, গণতন্ত্রের যদি কোনও মূল্য থেকে থাকে, তাহলে সমস্ত স্বাধীন গণতন্ত্রকামী রাষ্ট্রের কাছে তার আবেদন, বাঙলাদেশের মানুষ ও সরকারকে সাহায্য করুন, বাঙলার মানুষের এই ক্লেশ দূর করার ব্যবস্থা করুন, বাঙলাদেশের সরকারকে স্বীকৃতি দিন।
পশ্চিম পাকিস্তানী ফৌজের বর্বর হামলার বিরুদ্ধে বাঙলাদেশের মানুষ যে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তার সশ্রদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই যুদ্ধ স্বাধীনতার যুদ্ধ, এই যুদ্ধ অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ, মান-ইজ্জত নিয়ে বাঙলাদেশের মানুষ বেঁচে থাকাতে পারবে কি না, তার যুদ্ধ।
প্রত্যয় দৃঢ়কণ্ঠে তিনি ঘােষণা করেন, “আজ হােক, কাল হােক, পরশু হােক, আমরা জয়লাভ করবই। তার মধ্য দিয়েই এক নতুন জাতির জন্ম হবে। জাতি হিসাবে বাংলাদেশ জেগে উঠেছে- যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে সমস্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে বসবাস করতে চায়।”
তিনি বলেন, বাঙলাদেশের সরকার নিজস্ব সীমানায় বর্তমান রয়েছে; এই সরকারের অস্তিত্ব বাস্তব একে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। যারা গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তারাই আমাদের সাহায্য করবেন, স্বীকৃতি দেবেন।”
ভারত ও সােভিয়েত ইউনিয়নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
প্রধানমন্ত্রী শ্রীতাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এই দেশের গরীব মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে কেনা অস্ত্র পশ্চিম পাকিস্তানের দস্যুবাহিনী সেই মানুষদের উপরেই ব্যবহার করছে। যে সব দেশ পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার এই দস্যুবাহিনীকে অস্ত্র দেওয়া থেকে বিরত হােন। ইতিমধ্যেই যেসব অস্ত্র দেও, হয়েছে, সেইসব অস্ত্র যাতে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত না হয়, তার জন্য সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, সাড়ে সাত কোটি মানুষের এই সরকারকে স্বীকৃতি দিন।
ইয়াহিয়া যাতে তার খুনীদের সংযত করে ও পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, সেই উদ্দেশ্যে বৃহৎ শক্তিগুলােকে চাপ সৃষ্টি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এই সংগ্রামে ইতিমধ্যেই যে পূর্ণ সমর্থন জানানাে হয়েছে তার প্রতি আমরা সােভিয়েত ইউনিয়ন ও ভারতের জনগণের প্রতি ও অন্যান্য দেশের স্বাধীনতা প্রিয় মানুষের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।
আমরা চীন জনগণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, গ্রেট-ব্রিটেন ও ঔপনবেশিক শাসন ব্যবস্থার পদলেহন করে নিজেদের কারাে তাবেদারে পরিণত হতে দিতে পারি না।
বাংলা দেশের জাতিসত্তা অর্জনের জন্য এই সংগ্রামে বিশ্বের সমস্ত জাতির স্বাকৃতি এবং বৈষয়িক ও নৈতিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে প্রতিটি দিনের বিলম্বের অর্থ প্রতিদিনে এক হাজার করে প্রাণহানি এবং বাংলাদেশের মৌলিক গুরুত্বসম্পন্ন সম্পত্তি আরাে ধ্বংস হওয়া। “মানবতার খাতিরে এখনি আপনার ব্যবস্থা নিন এবং আমাদের অলঙ্ মৈত্রী অর্জন করুন।”
পাকিস্তানের অস্তিত্ব ধ্বংস করার জন্য যে ইয়াহিয়াই দায়ী সমগ্র রাজনৈতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে তা তিনি সপ্রমাণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মৃতদেহের স্তুপের তলায় পাকিস্তান এখন কবরস্থ মৃত। বাংলা দেশে সেনা বাহিনী যে লক্ষ লক্ষ নরনারীকে হত্যা করেছে, তার ফলে পশ্চিম পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে এক অলঙ্ঘ্য প্রাচীরের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা করে ইয়াহিয়া নিশ্চয় নিজেই জেনেছেন যে, তিনিই পাকিস্তানের কবর খুঁড়েছেন। তাঁর আদেশে তাঁরই লাইসেন্সপ্রাপ্ত খুনীরা যে ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংস লীলা চালিয়েছে, তা নিশ্চয়ই কোনও একটা জাতির ঐক্য রক্ষার জন্য নয়। ঐসব কাজ হল এমনকি মানবতার প্রাথমিক গুণ পর্যন্ত রহিত জাতির বিদ্বেষ ও নৃশংস বাদ (স্যাডজম) জনিত।” পেশাদারী সৈন্যরা আদেশ পেয়ে সৈনিকের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে, সভ্যতার ইতিহাসে সেনাবাহিনী এক ধ্বংসের তাণ্ডব, হত্যা, ধর্ষণ, লুঠ, অগ্নিসংযােগ চালিয়েছে। এইসব থেকেই বােঝা যায় যে, ইয়াহিয়া ও তার সংগীদের মনে ইতিমধ্যেই দুই পৃথক দেশের ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছে। তারা নিজেদের দেশের মানুষের উপরে এই ধরনের অত্যাচার করতে সাহসী হবে না।
পশ্চিম পাকিস্তানী ফৌজের যাদের এই তাণ্ডবে কাজে লাগাননা হচ্ছে, তাদের উল্লেখ করে তিনি সীমান্তের পাঠান, বেলুচ, পাঞ্জাবের সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান, আপনারা যারা গণতন্ত্র চান, মিলিটারী ডিক্টেটরসিপ চান না, তাঁরা আওয়াজ তুলুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা করা অন্যায়, মানবতা-বিরােধী। আপনারা বিশ্বের বিবেকের পাশে এসে দাঁড়ান।”
সূত্র: কালান্তর, ১৮.৪.১৯৭১