১৬ নভেম্বর ১৯৭১ঃ ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সুলতান মোহাম্মদ খান
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সুলতান মোহাম্মদ খান ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্স এবং নিক্সনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জারের সাথে ৫ ঘণ্টা বৈঠকের পর অটোয়া চলে গেছেন। তিনি নিক্সনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতও করেছেন। সকল বৈঠকে তার সাথে ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাজা। রজার্স এর সাথে সাক্ষাৎকারের পর আলোচনা বৈঠক শেষে সুলতান এপিপির সাংবাদিক ইফতেখার চৌধুরীকে বলেন আমি খুশী মনেই ওয়াশিংটন ত্যাগ করছি। তিনি বলেন পাক ভারত সীমান্তে প্রকৃত যুদ্ধাবস্থা চলছে। সীমান্তে উত্তেজনার জন্য তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহায্যে গেরিলা অনুপ্রবেশ করাকে দায়ী করেন।
তিনি বলেন পাকিস্তানের অসীম ধৈর্যের জন্য অবস্থা আয়ত্তের বাহিরে যায়নি। সীমান্তে ভারতীয় সেনা ইউনিট গুলো গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। কয়েকদিন আগে এদের সাথে কিছু ভারতীয় সৈন্য আটক করা হয় যাদের মধ্যে একজন অফিসার ছিল। তিনি বলেন বৃহৎ শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু করনীয় আছে বিধায় তাদের সক্রিয় ভুমিকার দিকে পাকিস্তান তাকিয়ে আছে। তার সাম্প্রতিক চীন সফরে চীনা নেতৃবৃন্দ পাকিস্তানের ঐক্য ও অখণ্ডতার পক্ষে তাদের দৃঢ় সমর্থন ব্যাক্ত করেছিল। তিনি বলেন তার দেশ সীমান্তে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মোতায়েনের পক্ষে কিন্তু ভারত তা চায় না। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন ইয়াহিয়া মুজিব আলোচনার কোন সুযোগ নেই কারন মুজিব রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার বিচারাধীন আসামী।