You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.12 | ২৫ অগ্রহায়ণ ১৩৭৮ রবিবার ১২ ডিসেম্ব ১৯৭১ | একাত্তরের দশ মাস - রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী - সংগ্রামের নোটবুক

২৫ অগ্রহায়ণ ১৩৭৮ রবিবার ১২ ডিসেম্ব ১৯৭১

[ঢাকায় বোমাবর্ষণ গতকাল থেকে বন্ধ। বিদেশীদের নিয়ে ঢাকা থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান এল কলকাতায়। ছাত্রী নেমেছে টাঙ্গাইল-মীর্জাপুর আর টাঙ্গাইল মাঝামাঝি। স্থানীয় অধিবাসীরা সর্বাধিক সহায়তা করল ছাত্রীসেনাদের। জেনারেল মানেকশ’র আবেদন বারবার প্রচারতি হচ্ছেঃ বাঁচতে চানতো আত্মসমর্পণ করুন। পালাবার কোন পথ নেই। লড়াই করা বৃথা। আত্মসমর্পণ করলে সব পাক সেনা জেনেভা কনভেশন অনুসারে ব্যবহার পাবেন। মিত্র বাহিনী এক ব্যাটিলিয়ন ছাত্রীসেন্তা টাঙ্গাইলে অবতরণ করায় পাকবাহিনী পলায়নের সলক পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। ১০১ কমিউনিকেশন জোনের সৈন্যরা টাঙ্গাইলে পৌঁছে যায়। পলায়নপর পাক সেনারা গ্রামবাসী হাতে বহু নিহত হয়। বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমগুলি ভারতের ছাত্রী সেনার সংখ্যা ৫০০০ বলে উল্লেখ করে। এ সংবাদে পাক সেনাদের মনোবল হ্রাস পায়। মিত্রবাহিনী দুই বিগ্রেড একত্রিত হল টাঙ্গাইলে। তারপর মির্জাপুরের পথে ‘ঢাকা চল’ অভিযান শুরু হয়। নরসিংদী থেকে মুক্তিবাহিনীর সহ ভারতীয় আরেক বাহিনী ঢাকার দিক আসছিল। ঢাকার মিত্র বাহিনীর কামানের গোলার গর্জন এসে পৌঁছাল। বিকেলে ভারতের আর একটি ইউনিট ডেমরা ঘাট থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান নেয়। অন্যত্র ভারতীয় ৫ ব্যাটিলিয়ান সৈন্য মেঘনা অতিক্রমে সমর্থ হয়।]- লেখক

যৌথ বাহিনীর টাঙ্গাইল আক্রমণ সারাদিন-রাত যুদ্ধ শেষে ভোরে, পাক বাহিনীর অস্ত্র সংবরণ। রাতে ঢাকা সেনানিবাসে প্রাদেশিক সরকারের সামরিক উপদেষ্টা লেঃ জেনারেল রাও ফরমান আলীর সভাপতিত্বে আলবদর, আল শামস কেন্দ্রীয় অধিনায়কদের বৈঠক। বৈঠকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা প্রণয়ন করা হয়। মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় অধিনায়ক জেনারেল অরোরা যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ঢাকা মুক্ত করার জন্য যৌথবাহিনীকে নির্দেশ দে।

-রাতে আল-বদর বাহিনী সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমদ, আনম গোলাম মোস্তফাকে তাঁদের বাসভবন থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাঁরা আর ফেরেননি। পাকহানাদার বাহিনীর দোসর ধর্মান্ধ ফ্যাসিষ্ট বাহিনীর হাতে তাঁরা শহীদ হলেন। দেশপ্রেমের চরম মূল্য দিয়ে অমর হয়ে রইলেন।

-ঢাকায় সামরিক অবস্তানের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত।

-ঢাকায় কোন সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় নি।

– রাওয়ালপিণ্ডিতে মনোনীত প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠকে মিলিত হন।

 -ঢাকা সান্ধ্যা আইন অব্যাহত।

-দি নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার শরণ সিং বলেন যে, পূর্ব বাংলার কোন ভূমি দখলের লোভ ভারতের নেই। সোভিয়েত ইউনিয়ন চীনক ঘিরে রাখার জন্য ভারত কে ব্যবহার করছে নিরাপত্তা পরিষদে চীনের প্রতিনিধির অভিযোগ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসিত হলে শরনসিং বলেন যে, ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর নির্ভরশীল নয়। পূর্ব পাকিস্তান যদি স্বাধীন হয়, তাহলে চীন হস্তক্ষেপ করবে কিন? এ প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, তাঁরা চীনের হস্তক্ষেপের কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। কারণ এই সমস্যা হলো পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ও পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের মধ্যে। আমেরিয়ার ভূমিকা সম্বন্ধে মন্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও পাকিস্তানী সামরিক শাসকদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ওপর চাপ প্রয়োগ করলে এই সংকট এড়ানো যেত। কি করা কর্তব্য, এ প্রসঙ্গে সর্দার শরণ সিং বলেন, বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে, যাতে করে বাংলাদেশের জনগণ নিজেরা তাঁদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার সুযোগ পায়। (বি ডি-২ পৃঃ ৩০০-৩০২)

–নয়াদিল্লীতে একজন ভারতীয় মুখপাত্র বলেন, সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি, ভি কুজনেৎসভ ও প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে প্রায় একঘন্টা আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল সোভিয়েত কর্তৃক বাংলাদেশের স্বীকৃতি দান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ এবং ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যুদ্ধ যতই জোরদার হচ্ছে এবং মস্কো আলোচনার সামরিক গুরুত্ব বাড়ছে। সোভিয়েত দল ক’জন উর্দ্ধতন সামরিক বিশেষজ্ঞও আছেন। (আঃ বা পৃঃ)

-যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল জোসেফ ব্রোজ টিটো বেলগ্রেড এক ভাষণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমালোচনা করে বলেন যে, পাক-ভারত সংঘর্ষ শুরু হবার পূর্বে ভারত যে সমস্ত অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল তাঁরা তা অনুধাবন করেনি। যদি জোট নিরপেক্ষ দেশসমূহ এবং অন্যান্য দেশ এই যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা না চালায়, তা হলে উপমহাদেশের ঘটনাবলী মারাত্মক পরিণতি লাভ করবে।

-লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট কর্নেল গাদ্দাফী বলেন যে, জোটনিরপেক্ষ দেশ সমূহ পাকভারত যুদ্ধ বন্ধ করতে অগ্রনী ভূমিকা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। এটা উপমহাদেশে বৃহৎ শক্তিবর্গের ঔপনিবেশিক স্বার্থ চরিতার্থ করার সুযোগ এনে দিয়েছে। (দি হিন্দুস্তান টাইমস)

-আনন্দবাজার পত্রিকার সাত কলাম ব্যাপী শিরোনাম ‘ঢাকায় লড়াই শুরুঃ শেষ পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধ’ প্রতিবেদনের উপশিরোনামে বলেছেনঃ শহরের আশেপাশে ছাত্রী সৈন্য নেমেছে একটি বাহিনী নরসিংদী পৌছেছে ময়মনসিংহ থেকে আসছে আর একটি বাংলাদেশের বৃহত্তর ভাগ পর্যন্ত মুক্ত, এবারের সংগ্রামের শেষ পর্যায় ‘অপারেশন ঢাকা’… রবিবারেই রাজধানী ঢাকা দখলের লড়াই শুরু হয়ে গেল। আগের দিনই ভারতীয় ছাত্রীসৈন্য নেমে পড়েছিল ঢাকার বাছাই করা কিছু কিছু এলাকায়- নির্ধারিত কর্মসূচী অনুসারে সব চলছে। একদিকে ভৈরব বাজার থেকে অগ্রসর মুক্তিবাহিনী ও মিত্র সেনা এসে পৌঁছেছে নরসিংদীতে। আর একটি বাহিনী যারা আগের দিন ময়মনসিংহ অধিকার করেছিল তারাও ক্রমশ আগুয়ান। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হেলিকপ্টারে অবতীর্ণ সৈন্য। মেঘনা আর যমুনা তাড়াতাড়ি পার হবার জন্যেই হেলিকপ্টার। সব মিলে এক বিরাট বাহিনীর সৃষ্টি হয়েছে।

-সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত লিখেছেন, কবে ঢাকা মুক্ত হবে সেটা অন্য ব্যাপার। সেটা নির্ভর করছে ঢাকার দখলদার পাক সেনাবাহিনীর উপর। তারা লড়াই চালাবে, না আত্মসমর্পণ করবে? চতুর্দিক থেকে অবরুদ্ধ পাকবাহিনী যদি আত্মসমর্পণ করে তা হলে যে কোন ও মুহূর্তে ঢাকা মুক্ত হতে পারে।

-পাকিস্তানের উপর সশস্ত্র আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ ক্রার জন্য ভারতের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট আহবান জানিয়েছে। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশ্যে বলেছেন ভারত ও পাকিস্তানের এই লড়াই থামানোর জন্য জরুরী ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি ঘোষণা করেছেন, পূর্ব বাংলা এক রকম ভারতীয় সৈন্যেরা দখল করে নিয়েছে। আমেরিকা মনে করে যে, ভারতের এ আক্রমণ জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের অস্তিত্বের উপর আক্রমণ। হোয়াইট হাউজ থেকে এক বিবৃতিতে মুখপাত্র রোন্যাল্ড জিগলার সাংবাদিকদের বলেন, অবিলম্বে নিরাপত্তা পরিষদে যাতে বিষয়টি আনা যায় তার জন্য জাতিসংঘের মার্কিন প্রতিনিধি জর্জ বুশকে নির্দেশ পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সর্দার শরণসিং জাতিসুংঘের মহাসচিব উথান্টের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা ও তার আশেপাশের ছোট এলাকা ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। তিনি বলেন জাতিসংঘকে এই বাস্তব সত্য মানতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের আলোচনায় সামিল করতে হবে। তাদের উপেক্ষা করা মানে বাস্তবকে উপেক্ষা। তিনি জানান, নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন ডাকার কোন ইচ্ছা তার নেই।

-পাক-প্রতিনিধি আগ শাহীও উত্থান্টের সঙ্গে দেখা করেন এবং সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কাছে সর্বশেষ খবর ঢাকা রক্ষা করা হবে। জনাভ ভূট্টো সম্বন্ধে এক প্রশ্নোত্তরে জনা শাহী বলেন, তিনি এখনও অসুস্থ এবং হোটেলেই আছেন। (এপি)

-এপি, এ এফ পি সংবাদ সংস্থার খবরে প্রকাশ, জনৈক অভিজ্ঞ কূটনীতিক ইসলামাবাদে বলেছেন, মুক্তিবাহিনীর হাতে বাংলাদেশের পতন মানে ইয়াহিয়া খানকে সরে যেতে হবে এবং তার জায়গায় নবনিযুক্ত সহ প্রধানমন্ত্রী ভূট্টোর নেতৃত্ব বেসামরিক মিলিত ভাবে  পাকিস্তানে সরকার গঠিত হবে। এ দিকে নব নিযুক্ত প্রধান মন্ত্রী নুরুল আমিন বলেন, পাকিস্তান এই যুদ্ধে জয় হবেই। তিনি চীন ও আমেরিকার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। (আ. বা. প।।)

-জাতিসংঘের মহাসচিব উত্থান্টের কাছে লিখিত এক পত্রে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী সৈন্য প্রত্যাহারের উপর। মূল ইংরেজী পত্র নিম্নরূপঃ In a letter U Thant, Mrs. Gandhi stated on Dec. 12 that cease-fire and the withdrawal of Indian troops would deepened upon Pakistani Military withdrawal from Bangladesh and peaceful settlement with the civilian population (KCA pp 25071)

-দিল্লীতে এক জনসভায় শ্রীমতী গান্ধী বলেন ‘কোন কোন দেশ ভয় দেখাচ্ছে, পাকিস্তানের সাথে চুক্তির উল্লেখ করছে। কমুনিজম প্রতিরোধ করার চুক্তির কথা জানি, কিন্ত গণতন্ত্র প্রতিরোধ করার চুক্তির কথা আমার জানা ছিল না। তাঁর বক্তব্যের ইংরেজী নিম্নরূপঃ

“I hear that some countries are trying to threaten us and saying that they also have some treaties or agreement with Pakistan. I did not this earlier because whatever agreement there was, as far as I know, had been forged to form a pact against communism, it was not a pact to fight democracy. It was not against the voice of Justice. It was not meant to crash the poor. But if it was so, then they told big lie to the world….” (KCA pp 25071)

-ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক বিবৃতিতে তাঁর দলের সদস্যদের এবং সমর্থকদের বাংলাদেশ সরকার, আওয়ামী লীগ, মুক্তিবাহিনী এবং অন্যান্য দল ও গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে একযোগে স্বাধীনতা সংগ্রামকে জোরদার করে তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। (আ.বা.পঃ) উল্লেখ্য আজও মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৯০ তম জন্মদিন। তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য গত বৃহস্পতিবার দিন (ডিসেম্বর ৯) উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।

-সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ স্বাধীনতা ভাসানী ভারত” গ্রন্থে জানা যায়, মাওলানা সাহেব নিজ হাতের লেখা চিঠিতে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী জানান, আমার প্রথম পুত্রের মৃত্যু হয় ধুবড়ীর গ্রামে। তাই আমার বৃদ্ধা স্ত্রীর আশা  শেষ দাফন ধুবড়ীর কোন গ্রামে হয়  ধুবড়ীর কোন গ্রামে হয়। আমার শেষ সংগ্রাম বাংলাদেশকে স্বাধীন করা, সমজাতন্ত্রবাদ প্রতিষ্ঠা এবং ভারতের সহিত কনফেডারেশন। এই তিন কাজের সাধন ইনশাল্লাহ আমার জীবতকালেই দেখার প্রবল ইচ্ছা। অন্তরে পোষণ করি। (স্বাধীনতা ভাসানী ভারত/সাইফুল ইসলাম, পৃঃ ১৩৫)

-ফরিদপুর ভাটিয়াপাড়ার মুক্তিবাহিনীর সাথে পাক সেনাদের প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ হয়। ইঞ্জিনিয়ার লেঃ কমল সিদ্দীকী (ব্রিগেডিয়ার মজিদ-উল হকের অনুজ) ও ক্যাপ্টেন হুদা এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে প্রচণ্ড ভাবে যুদ্ধ অব্যাহত থাকে।

-চার নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিবাহিনী হরিপুর আক্রমণ করে এবং পরদিন হরিপুর শত্রুমুক্ত হয়।

উত্তর পশ্চিম দিকে লালমনির হাটের পতন হয়। জয়মনিরহাট যুদ্ধে মুক্তি বাহিনীর লেঃ সামাদ শহীদ হন। ১২ ডিসেম্বর ঘোড়াঘাট দখল হয় এবং মিত্র বাহিনী ও মুক্তি বাহিনী ও মুক্তি বাহিনী বগুড়ার দিকে অগ্রসর হয়। গোবিন্দপুর শত্রুমুক্ত হল। ১৪ ডিসেম্বর বগুড়ার পতন হয়। (১০ খঃ পৃঃ ৭৬৪)

  এদিন সিকিউরিটি কাউন্সিল ভারত, পাকিস্তান, সোভিয়েট ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাংলাদেশ প্রশ্নে উত্তপ্ত বিতর্ক চলে।

  ভারতীয় নৌবাহিনী সপ্তম নৌবহরের আসন্ন তৎপরতা সর্ব উপায়ে বিঘ্নিত করার জন্য চালনা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ছোট বড় অবশিষ্ট সকল জাহাজ ও নৌযান, উপকূলীয় অবকাঠামো, কক্সবাজার বিমান বন্দর প্রভৃতি ধ্বংস বা অকেজো করে ফেলে। (পৃঃ ৬৩)

Reference:

একাত্তরের দশ মাসরবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী