You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.20 | জুলুম ও কুৎসার জবাব | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

জুলুম ও কুৎসার জবাবে

বাঙলাদেশে হানাদারী আক্রমণ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে পাক সামরিক চক্র ও পাক বেতার বিশ্ব-জনমতকে বিভ্রান্ত করার জন্য অকল্পনীয় অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের বর্বরতা ও গণহত্যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনাতেও এমন উঁচু রেকর্ড সৃষ্টি করেছে, যার ফলে প্রতিনিয়িত তাদের ধাপ্পাবাজ মানুষের চোখের সামনে নগ্নভাবে আত্মপ্রকাশ করছে। বিভিন্ন বিদেশী সাংবাদিক, যারা কোনক্রমেই বাঙলাদেশ বা ভারতবর্ষের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ নন, তাঁরা সকলেই বাঙলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী-শিবির সফল শেষে উন্মুক্ত কণ্ঠে পাক স্বৈরতন্ত্রের বীভৎস ধ্বংসলীলার বর্ণনা দিয়েছেন। এমনকি বাঙলাদেশের যে সব অধিকৃত অঞ্চল পাকসামরিক চক্রের হাতে, সে সব অঞ্চলে খােদ পাক সরকার আমন্ত্রিত বিদেশী প্রতিনিধিরাও ক্ষমাহীন ভাষায় তাদের আমন্ত্রণকারীকে অভিযুক্ত করেছেন। যে সব বিদেশী কূটনীতিকরা এপ্রিলে ভয়াবহ পাক-সন্ত্রাসের প্রথম পর্বে বাঙলাদেশে ছিলেন, তাঁরা বহুকষ্টে প্রাণ নিয়ে স্ব স্ব দেশে ফিরে গিয়ে তাঁদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। এককথায়, সারা দুনিয়ার সামনে পাক সামরিক চক্রের আগ্রাসী শােষকের মূর্তিটি পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ে গেছে।
কলকাতায় প্রাক্তন পাক ডেপুটি হাইকমিশনার জনাব হােসেন আলী ও ঐ দূতাবাসের কর্মীবৃন্দ বাঙলাদেশ স্বাধীন প্রজাতন্ত্র গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাক-সরকারের সঙ্গে সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে বাঙলাদেশ সরকারের প্রতি তাদের পূর্ব আনুগত্য জানান। বাঙলাদেশে সরকার হােসেন আলীকে ভারতবর্ষে তাঁদের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়ােগ করেন ও প্রাক্তন পাক ডেপুটি হাইকমিশন ভবনটি বাঙলাদেশ মিশনে রূপান্তরিত হয়। ক্রোধান্ধ হয়ে পাক সরকার জেনেভা চুক্তির সমস্ত ন্যায়-নীতি ভঙ্গ করে ঢাকায় ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার শ্রীসেনগুপ্ত, তার পরিবার এবং হাই-কমিশনের কর্মীদের অদ্যাবধি গৃহবন্ধী করে রেখেছে। তাদের সমস্ত কূটনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে অথচ বিবিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে অস্বীকার করে পাক চক্র কিছুতেই ঐ ভারতীয় কর্মীদের দেশে ফিরে যেতে দিচ্ছে না। এ হচ্ছে আন্তর্জাতিক নীতি ও আইন বর্জিত জংলী জুলুমেরই প্রকারান্তর।
প্রাক্তন পাক ডেপুটি হাই-কমিশনার ও তার কর্মীবৃন্দ যখন একযােগে বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য জানান তখন ইসলামাবাদ থেকে বারবার ঘােষণা করা হয়েছিল যে, ভারতবর্ষ জোর করে এইসব কর্মীদের পাকসরকারের সঙ্গে সম্পর্কচ্যুতি ঘটাতে বাধ্য করেছে। এবং তাঁদের নাকি কার্যত বন্দী অবস্থার রাখা হয়েছে। এই মিথ্যে অজুহাত দেখিয়েই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের উপর অধ্যাবধি পীড়ন চালান হচ্ছে ও বেআইনিভাবে আটক রাখা হচ্ছে।
এসব কূটনৈতিক কর্মীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের শর্ত হিসাবে পাকচক্র জিদ ধরেছিল যে, বাঙলাদেশ মিশনের কর্মীদের ভারত সরকার জোর করে আটকে রাখেন নি, সে বিষয়ে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্ট করতে হবে। এই আবদার একান্ত অসঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও বন্ধু রাষ্ট্রের মুখের দিকে চেয়ে বাঙলাদেশ মিশনের প্রতিনিধি ও কর্মীরা ভারত ও পাক সরকার স্বীকৃতি মধ্যস্থ সুইস প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রত্যেক ব্যক্তিগত ও লিখিতভাবে পাকচক্রকে অস্বীকার করে বাঙলাদেশ মিশনের প্রতি স্ব স্ব আনুগত্য জানিয়েছেন। এই জবানবন্দীর সময় কলকাতার প্রাক্তন পাক ডেপুটি হাই-কমিশনার মেহদ। মাসুদও আগাগােড়া উপস্থিত ছিলেন। সুইস প্রতিনিধির সামনেই যখন তাঁর প্রভু ইয়াহিয়া চক্রের সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচারের কাঁচা গাঁথনিটি ধসে যায়, তখণ তাঁর মুখের চেহারা নিশ্চয়ই ক্যামেরার পক্ষে উপভােগ্য বিষয়বস্তু হওয়ার যােগ্য ছিল। বাঙলাদেশ মিশনের ৬৫ জন কর্মীর মধ্যে পাকচক্র একটিও দেশদ্রোহীকে খুঁজে আবিষ্কার করতে পারে নি। দৃঢ় মনােবলসম্পন্ন এই কর্মীদের প্রতি গণতান্ত্রিক মানুষ মাত্রেই আন্তরিক অভিনন্দন জানাবেন।
যা সত্য এবং নিছক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণিত হওয়ার অপেক্ষায় ছিল, তা নিরঙ্কুশভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এখন ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিদের প্রতি পাকচক্র কি আচরণ করে প্রতিটি মানুষ তা সাগ্রহে অনুসরণ করবে। ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের কুৎসার ভিত্তি নষ্ট হয়ে গেছে। ইয়াহিয়া চক্র এতই অসভ্য ও বর্বর যে এই ঘটনার পরও তারা বিনা দ্বিধায় ঢাকায় ভারতীয় কূটনীতিকদের উপর একই জাতীয় আচরণ চালিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আন্তজার্তিক রাষ্ট্রগােষ্ঠী ও বিশ্ব-জনমতকে এই বেয়ারা, বেয়াদব সমর চক্রের উপর চাপ সৃষ্টি করা ছাড়া গতন্তর থাকবে না।
যারা এখনও মন স্থির করেন নি তারা চিন্তা করতে থাকুন। কিন্তু যে ভারত ইয়াহিয়া খানের ধ্বংসলীলার প্রত্যক্ষ লক্ষ্য বস্তু তার পক্ষে তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এবং ভবিষ্যতকে বিপন্ন করার ঝুঁকি নিয়ে চুপ করে বসে থাকা সম্ভব নয়। বাঙলাদেশের স্বীকৃতি এবং সমস্ত সম্ভাব্য উপায়ে মুক্তিযােদ্ধাদের বিপুল সাহায্য দান করাই তার সর্বোচ্চ জাতীয় বাধ্য-বাধকতা। এই দায় পরিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে। কিন্তু এই প্রসঙ্গে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রতি ভারতের মনােভাব এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে পড়েছে।
ইসলামাবাদের সমর জুন্টার নিন্দা বা তার মুখােস খুলে ফেলা কিংবা সহানুভূতি এবং সমর্থনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে বারংবার আবেদন এ-সবের প্রয়ােজন আছে। কিন্তু একথা মনে রাখতে হবে যে, নিক্সন এখন ইয়াহিয়ার পক্ষ অবলম্বন করে রঙ্গমঞ্চে নেমেছেন। এবং অস্ত্র বােঝায়ই জাহাজ পাঠিয়ে কেবল বাঙলাদেশ হত্যা লিলায় সাহায্য করছেন না। সেই সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলিকে ইয়াহিয়ার পক্ষে এবং ভারতের বিরুদ্ধে জোট বদ্ধ করার রাজনৈতিক চালও চেলেছেন।
ভারত এ বিষয়ে কি করবে? নিক্সনকে অবশ্যই অবাধে দৌড়াতে দেওয়া যায় না; ওয়াশিংটন যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছে তা দৃঢ়তার সঙ্গেই মােকাবিলা করতে হবে।
মার্কিন সরকারের আবরণ থেকে সর্ব প্রথম যে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে তা হলাে ভারতকে অবশ্যই মুক্তিযােদ্ধাদের এমনভাবে সাহায্য করতে হবে যেন সদ্য পাঠানাে মার্কিন অস্ত্রে সজ্জ্বিত সৈন্যর আবার আঘাত হানার আগেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযানে নেমে পড়তে পারে। প্রতিটি দিনের সঙ্গে অধিকৃত বাঙলাদেশে ইসলামাবাদের সামরিক যন্ত্র শক্তিশালী হচ্ছে।
ভারত-চীন সীমান্ত যুদ্ধের সময় মার্কিন-সাম্রাজ্যবাদ ভারতকে সামরিক সাহায্য দিতে চেয়েছিল কিন্তু তার মূল্যস্বরূপ তার জাতীয় প্রতিরক্ষার অধিকার সহ ভারতের সার্বভৌম অধিকার সমর্পণের দাবি করেছিল। যখন এটা অস্বীকার করা হয় তখন প্রতিশ্রুতি সাহায্য এমনকি বাণিজ্যিক শর্তেও আসে নি।
১৯৬৫ সালে স্বল্পকালীন পাকভারত সংঘর্ষ ঘটে মার্কিন; শাসকরা কিছুটা প্রছন্ন ভারত-বিরােধী মনােভাব অবলম্বন করে এবং দু’পক্ষই যেন দোষী এইভাবে পাকিস্তান এবং ভারতকে অস্ত্র সরবরাহে তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতের ক্ষেত্রে এটা আদৌ দান ছিল না, ছিল বিক্রি; তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের ক্ষেত্রে অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশ্র ন্যাটো এবং সেন্টোর মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়। সম্প্রতি নিউইয়ক টাইমস লিখেছে, ১৯৬৭ থেকে ১৯৭০ এর এপ্রিলের মধ্যে পাকিস্তানকে আমেরিকার অস্ত্র সরবরাহের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার। বাস্তবে পাকিস্তানের পাঁচটি ডিভিশন মার্কিন অস্ত্রে সজ্জিত; আমরা কি বলব, আমেরিকার বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গ হিসেবে এই অঞ্চলকে পাকিস্তানীকরণের জন্য এটা করা হয়েছে।
সঠিকভাবে এ কথা কেউ জানে না যে, বাঙলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য ইসলামবাদের এই যুদ্ধ প্রয়াসে কি পরিমাণ এবং কি ধরনের অস্ত্র পাঠানাে হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সন্দেহ নেই যে, বাঙাদেশে ধ্বংস কার্য ও দমন নীতি চালিয়ে যাওয়ার জন্য যা প্রয়ােজন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক বর্গ তা সবই পাবে। বাঙলাদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের ভবিষ্যৎ আজ ইয়াহিয়া খান-টিক্কা এবং ঐ ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে জড়িত।
অবশ্য এখন আর সেদিন নেই কিন্তু তা সত্ত্বেও আমেরিকার প্রশ্নে ভারতের নীতি এখনও কি আন্তজার্তিক বাস্তবতার প্রশ্নে কিংবা আমাদের জাতীয়স্বার্থের প্রশ্নে আজও সম্পূর্ণভাবে খাপখাইয়ে নেওয়া হয় নি। এখন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের চটিয়ে না দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। এমন কি তারা যখন আমাদের আঘাত করে এবং অন্যদেরও আমাদের আঘাত করতে প্ররােচিত করে তখনও। সব সময়েই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ভূমির ভূরি অপরাধের বােঝাকে লঘু করে দেখানাের চেষ্টা চলে।
যদি না হত তাহলে ভিয়েতনামের প্রশ্নে ভারতের মনােভাব বর্তমানের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হত। গণতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক ভিয়েতনামকে কিংবা দক্ষিণ ভিয়েতনামের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারকে স্বীকৃতি দানের পথে কোন বাধা ছিল না। জার্মান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে বহুকাল আগেই পূর্ণ কুটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া যেত। ভারতকে সংযুত রেখে মার্কিন প্রশাসন, ভারত সম্পর্কে যা খুশি তা করার অধিকার বজায় রেখেছে। এই মুহূর্তে তারা কেবল বাঙলা দেশকে দমন করার জন্য ইয়াহিয়াকে অস্ত্রসজ্জিত করছে না ভারতের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আক্রমণের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের সমর চক্রকেও প্রস্তুত করছে।
আমেরিকার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ প্রতিহত করার জন্য কূটনৈতিক ও রাজনীতিকভাবে এবং প্রয়ােজনে অন্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ভারতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। ভারতের নাগালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট অর্থনেতিক স্বার্থ আছে যা দিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ সম্প্রতি ভারতের যে গুরুতর ক্ষতি করছে তা পূরণ করার জন্য ওয়াশিং টু বা ওয়ালস্ট্রটিকে বাধ্য করা যায়। সম্ভবত সবিচরা অর্থহীন কূটনৈতিক নােটের খসড়া রচনার কাজে ব্যস্ত। যাই হােক, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ১২ জুলাই লােকসভাতে যারা সােভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এক করে দেখানাের চেষ্টা করছিলেন তাদের আঘাত করতে বাধ্য হলেন।
দক্ষিণপন্থীরা বিশেষ করে জনসংঘ বাঙলাদেশ প্রশ্নকে ব্যবহার করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জাতীয় ঐক্যকে বিপর্যস্ত করার যে চেষ্টা করছে সােভিয়েত বিরােধী প্ররােচনা হলাে তার একটি অঙ্গ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জনসংঘের যুদ্ধ হুঙ্কার এর প্রেরনাও এখান থেকে।
সােভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে এই ইঙ্গিত এবং কুস প্রচার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত। এর লক্ষ্য হলাে ভারতের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যারা ন্যায্যভাবেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসছেন। এবং এর লক্ষ্য হলাে এমন এক সময়ে ভারত সােভিয়েত নৈত্রীকে বিঘ্নিত করছে যখন তাকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়ােজন।
এই গুরুতর সময়ে ভারত যখন বাঙলাদেশের মর্মান্তিক ঘটনাবলীর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন তখন বন্ধুও শত্রুর মধ্যে পার্থক্য কিভাবে করতে হয় তা আমাদের জানা উচিত। ব্যাপক বিশ্বের সমস্ত বন্ধুরা বাঙলাদেশ প্রশ্নে আমরা যা বলব ঠিক সেই কথাই বলবে এ কথা চিন্তা কর হাস্যকর। এইভাবে বিশ্ব চলে না কিংবা বিশ্ব জনমত ও গঠিত হয় না।
ইতােমধ্যে বাঙলাদেশের মুক্তিসংগ্রামী বন্ধুরা একটি জাতীয় মুক্তিফ্রন্টের প্রতিষ্ঠিত হবে-যে ফ্রন্ট হবে আওয়ামী লীগ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাঙলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি এবং অন্যান্য সংগ্রামী ঐক্যের ফ্রন্ট আকুলভাবে এই আশা করছেন। এই ঐক্য হবে জয়লাভের পূর্ব শর্ত।

সূত্র: কালান্তর, ২০.৭.১৯৭১