সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটিকে যুক্তফ্রন্টে রূপান্তর করতে হবে সরকারী কর্মীদের সভায় বাঙলাদেশের শ্রমিক নেতার ঘােষণা
(নিজস্ব সংবাদদাতা)
কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর-আজ স্টুডেন্ট হলে রাজ্য সরকারী কর্মচারী সমিতি সমুহের মুক্ত কমিটি (অস্থায়ী)র আহ্বানে বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সরকারী কর্মচারী আন্দোলনের প্রবীণ নেতা ইরিনারায়ণ দে। বাঙলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সমর্থনে, মুজিবর রহমানের মুক্তির দাবিতে এবং বাঙলাদেশকে স্বীকৃতির দাবিতে প্রস্তাব উত্থাপন করেন শ্রীসন্তোষরঞ্জন ওয়াজেদ্দার। প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তব্য রাখে শ্রীদিলীপ সেন। বাঙলাদেশ রেলওয়ে ইউনিয়নের সহ সভাপতি শ্রীজসিমউদ্দীন মণ্ডল বাঙলাদেশের সামগ্রিক মুক্তি সংগ্রামে যুক্তফ্রন্টের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে বলেন আজ বাঙলাদেশের মানুষ জেনে গেছে কে তার শত্রু আর কে তার মিত্র। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ, পশ্চিম পাকিস্তানের ২২ টি পরিবার ও জঙ্গীশাসক চক্র এবং চীনের মিলিত আক্রমণের বিরুদ্ধে মুক্তি ফ্রন্ট লড়াই করছে। কোনাে রকম সাম্প্রদায়িক বিভ্রান্তি প্রচার করে একে দমন করা যাবে না। কারণ বাঙলাদেশের শ্রমিক কৃষক সাধারণ মানুষ বাঁচার জন্য লড়াই করছে। এই লড়াই-এ না জিতলে তাঁদের বাঁচার আর কোনাে পথ নেই।
শ্রী জসিমউদ্দীন সােভিয়েত রাশিয়াসহ বিভিন্ন সমাজতান্ত্রিক দেশ এবং ভারতের জনগণ ও সরকারকে অভিনন্দন জানান। তিনি এও বলেন যে, আজ যুক্তফ্রন্ট গঠনে নেতারা যদি দ্বিধান্বিত হন জনগণ কোনােদিনই তাদের ক্ষমা করবেন না। বাঙলা দেশের সাধারণ মানুষ আজ মুক্তিফৌজের এ কথাই বলেন, “কে আওয়ামী লীগ কে ন্যাপ বা কে কমিউনিস্ট ও সব ভুলে যাও। বর্বর খানের শেষ না করে তােমরা থামবে না।
সূত্র: কালান্তর, ১২.৯.১৯৭১