কুষ্টিয়ার ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা দাঙ্গা বাধাবার প্রয়াস ব্যর্থ করেছেন
(বিশেষ সংবাদদাতা)
কুষ্ঠিয়া, ৬ এপ্রিল-বিগত বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল মুক্তিফৌজ কর্তৃক কুষ্টিয়া শহর মুক্ত হবার পর কিছু উগ্রপন্থী অ-বাঙালীদৈর উপর আক্রমণ চালিয়ে যখন দাঙ্গা বাধাবার উপক্রম করছিল, তখন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা সর্বশক্তি নিয়ােগ করে সেই দাঙ্গা প্রতিরােধ করেছেন, এগিয়ে গেছেন অবাঙ্গালীদের সাহায্যার্থে, তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
৩ এপ্রিল ডাক-বাংলাের প্রেসক্লাবে এসেছিলেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক। তঁাকে ঘিরে ধরেন ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা। ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীদের দাবি-“অ-বাঙালী পরিবারসমূহকে ডাক বাংলােয় আশ্রয় দিতে হবে, ওদের নিয়ে আসার জন্য গাড়ি চাই গাড়ি দিন।
জেলা প্রশাসক কুঞ্চিত করে বললেন-“তােমরা কে যে গাড়ি দেব? ওসব হবে না”। কণ্ঠে অবজ্ঞার সুর।
শােনামাত্র ছাত্র ইউনিয়নের জনৈক নেতা প্রশাসকের কণ্ঠদেশে উচিয়ে ধরলেন রাইফেল। দৃঢ়স্বরে জানালেন -“দাঙ্গা রুখতে হবে, আমাদের কথা শুনুন।”
জেলা প্রশাসক ভয় পেলেন। কাঁপতে কাঁপতে গাড়ি দিলেন। ডাক বাংলােয় ৫০টি অবাঙালি পরিবার আশ্রয় পেলাে। পরিবারসমূহ এখনও ওখানেই আছেন। | এইভাবে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র-ইউনিয়নের কর্মীরা শুধু মুক্তি সংগ্রামেই অংশ নিচ্ছেন (কুষ্টিয়া জেলায় শ’ খানেক ছাত্র ইউনিয়ন কমী সশস্ত্রভাবে মুক্তি সগ্রামে অবতীর্ণ হন), দাঙ্গা বাধাবার চক্রান্তও ব্যর্থ করেছেন।
সূত্র: কালান্তর, ৭.৪.১৯৭১