২৯ আগস্ট, ১৯৭১ রুমী, সুরকার আলতাফ সহ শীর্ষ ৬-৭ গেরিলা গ্রেফতার
রাতে পাকবাহিনী আকস্মিভাবে এলিফ্যান্ট রোডের ৩৫৫ নম্বর কনিকা বাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে পাকসেনারা শরীফ, জামিল ও গেরিলা যোদ্ধা রুমীকে বন্দী করে নিয়ে যায়। এরপর রুমিকে তার অন্যান্য সহযোগীসহ ঢাকা সেনানিবাস নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা সেনানিবাসের একটি ছোট কক্ষে সেই গ্রুপের সব(শহীদ আলতাফ মাহমুদ সহ) গেরিলাযোদ্ধাদের আটক রেখে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। এরপর রুমি আর তার সঙ্গীদের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। অজস্র বন্দির মতোই কোন এক অজ্ঞাত স্থানে হত্যা করা হয় দেশপ্রেমিক এই সন্তানদের। রুমী ভারতের ‘মেলাঘরে’ ২ নং সেক্টরের আওতায় খালেদ মোসাররফের থেকে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে জুন মাসে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
শাহ মোয়াজ্জেম তার বইয়ে যে চৌধুরীর কথা বলছেন তিনি হলেন বি চৌধুরীর পিতা কফিল উদ্দিন চৌধুরীর। শাহ মোয়াজ্জেম এর আসনে তার পরিবর্তে দলে উড়ে এসে জুড়ে বসা কফিল চৌধুরীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। কফিল কিছুদিনের জন্য ভারত গেলেও মুজিবনগর সরকারের সাথে যুক্ত ছিলেন না। পরে আগস্ট মাসের দিকে প্রদেশে এসে জহির গ্রুপের সাথে যুক্ত ছিলেন। দালাল আইনের খরগ থেকে তিনি কোনোমত রেহাই পান বয়সের কারনে।