জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলে অবিরাম গােলাবর্ষণ
গত একমাসে পাকবাহিনী ১৮০ বার যুদ্ধবিরতি সীমানা লঙ্ন করেছে
নয়াদিল্লী, ৮ নভেম্বর (ইউ এন আই)-পাকিস্তান গত একমাসে ১৮০ বার জম্মু কাশ্মীর অঞ্চলে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে যুদ্ধ বিরতি সীমানা অতিক্রম করে বাঙ্কার ও পর্যবেক্ষণ পােস্ট স্থাপন করেছে। আজ সাংবাদিকদের কাছে এ-সংবাদ জানিয়ে জনৈক সরকারী মুখপাত্র বলেন যে, ৪ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর এই তিন দিনে এ ধরণের ১২ টি চুক্তি লঙ্ঘন ঘটেছে, এগুলি কারগিল, উরি, পুঞ্জ, মানধার, নৌশেরা ও টিবল সেক্টরে ঘটেছে বলে তিনি জানান। এছাড়া দেশের পূর্ব সেক্টর সীমান্ত অঞ্চলে পাক বাহিনী অনবরত গােলাবর্ষণ করে চলেছে।
মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিম বঙ্গের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে পাকবাহিনী অবিরাম গােলাবর্ষণ করছে। কমল পুরের কাছে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাত্রে এক ছােটখাট গােলা বিনিময়ের ফলে একজন পাকসেনা নিহত হয়। • ত্রিপুরার বিলােনিয়ার গত ৫ নভেম্বর পাক সেনারা সীমান্ত থেকে যথাক্রমে ১৩ মাইল.ও ৮ মাইল দূরে গােলাবর্ষণ করে। ঐ একই দিনে বিলােনিয়ার ১৮ মাইল দূরে এনিগর নামক স্থানে মর্টার ও গুলি বিনিময় চলে, এতে ২ জন সীমান্ত নিরাপত্তা কনস্টেবল ও একজন অসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানীদের হতাহতের সংখ্যা জানা যায়নি।
৫ নভেম্বর কুচবিহার থেকে ২৪ মাইল দূরে পাকিস্তানীরা মর্টার আক্রমণ চালায়, সীমান্ত রক্ষীবাহিনী তার উপযুক্ত জবাব দেয়। এর ফলে একজন সীমান্তরক্ষী ও ৩ জন অসামরিক ব্যক্তি মারা যান। পশ্চিম দিনাজপুরে বালুরঘাটের কাছে ৬ নভেম্বর অনুরুপ এক গােলা বিনিময় চলে।
মেঘালয়ে তুরা থেকে ২২ মাইল দূরে গােলা বিনিময় চলে। তুরার কয়েক মাইল দূরে একটি গ্রামে পাক অনুপ্রবেশকারীরা এসে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
আজ কৃষ্ণনগর থেকে ৩০ কিলােমিটার দূরে সােনাগঞ্জে পাকবাহিনী বিনা প্ররােচনায় গােলাবর্ষণ শুরু করে, সীমান্ত রক্ষীরাও এর জবাব দেয়। কোন হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায় নি।
সূত্র: কালান্তর, ৯.১১.১৯৭১