গত পাঁচ দিনে বাঙলাদেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে ১০২ জন পাকসৈন্য নিহত
(স্টাফ রিপাের্টার)
মুজিবনগর, ৩ অক্টোবর– গত পাচ দিনের মধ্যে বাঙলাদেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনী মােট ১০২ জন পাকসৈন্য নিহত করেছে। তাছাড়া বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, ঢাকা জেলায় সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগে ১৮ পাকসৈন্য মুক্তিবাহিনীর দুর্বার আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে। বাঙলাদেশ মুক্তিবাহিনীর প্রধান কার্যালয় থেকে প্রচারিত যুদ্ধ বার্তায় এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর রংপুর-দিনাজপুর-রাজশাহী সেক্টরে মুক্তিযােদ্ধারা ভােতেমারি অঞ্চলে পাকসৈনদের আক্রমণ করে ৪ জনকে খতম করেন। ২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর অমরখানা ও যােগদল হাট অঞ্চলে মর্টার সহ পাকফৌজের উপর প্রচণ্ড আক্রমণ হেনে মুক্তিবাহিনী বিপুল সংখ্য শত্রু সৈন্য হতাহত করে। মােট ৫১ জন পাকহানাদার নিহত এবং ১৩ জন আহত হন।
২৮ সেপ্টেম্বর যশাের খুলনা সেক্টরের পাটিঘাট, কারামার, পশ্চিমবাগ, শামপুর এলাকায় একাধিক আক্রমণ হেনে মুক্তিযােদ্ধারা একজন অফিসার সহ মােট ২১ জন পাকসৈন্য খতম করতে সক্ষম হন। পক্ষান্তরে একজন মুক্তিযােদ্ধা প্রাণ হারান।
২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা সেক্টরে দুর্গাপুর, ছাগলনিয়া, লে দর্গও সুহাগপুর এলাকায় শত্রু সৈন্যদের উপর আক্রমণ হেনে মুক্তিযােদ্ধারা ১৫ জন পাক হানাদারকে হত্যা করেন এবং তিনটি শক্ত বাঙ্কার উড়িয়ে দেন। বিলম্বে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার মনােহরদী এলাকায় পাক সৈন্যদলকে আক্রমণ করে গেরিলারা ১২ জন হানাদার খতম করেন। ঐ সময় ঢাকাব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে একটি রেল ট্রলিকে অতর্কিতে আক্রমণ করে একজন অফিসার সহ ৬জন পাকসৈন্য নিহত করেন। প্রথমত উল্লেখযােগ্য, আগস্ট মাসে ঐ মনােহরদী থানার ওসি সহ ২১ জন পাক পুলিশ মুক্তিযােদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন। ঐ সময় মুক্তিযােদ্ধারা রাইফেলসহ প্রচুর গােলাবারুদ ও দখল করেছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর শ্রীহট্ট ময়মনসিংহ সেক্টরে পুটিয়াছেড়, জগাদা, বন্দরকাটার পাক ফৌজের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে মুক্তিযােদ্ধারা ৯ জন পাকসৈন্য হত্যা করেন। ১ অক্টোবর বিবিসিতে…
সূত্র: কালান্তর, ৪.১০.১৯৭১