পশ্চিম রণাঙ্গনে
দশটি শক্তবিমান ধ্বংস ছাম্ব-এ লড়াই তীব্রতর
জলন্ধর, ৮ ডিসেম্বর-পশ্চিম রণাঙ্গনে বুধবার দিনটি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানীদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির দিন। ইউ এন আই জানাচ্ছে, আজ এই রণক্ষেত্রের বিভিন্ন অংশে পাকিস্তানের ১০টি বিমান গুলি করে নামানাে হয়েছে, ডজনখানেক ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে এবং সিন্ধু প্রদেশ ও ভাওয়ালপুরের ৫ হাজার বর্গ কিলােমিটার স্থানসহ বহু সীমান্ত গ্রাম ভারতীয় জওয়ানদের দখলে এসেছে।
ছাম্ব এলাকায় গুলি করে নামানাে একটি চীনা যুদ্ধবিমান মিগ’ ১-৯ এর পাকিস্তানী পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট ওয়াজির আলি খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজস্থান সীমান্তের ওপারে গদরা সিটি দখল করে সেখানকার পাক গােয়েন্দা পুলিসের ডি এস পি আটা খানকে ধরা হয়েছে।
জম্মুর খবর : শিয়ালকোট জেলার আমরােচক রেল স্টেশন এখন ভারতীয় জওয়ানদের দখলে।
ছাম্ব এলাকায় আজ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে। ফলে একটি পাকিস্তানি রেজিমেন্ট সমূলে বিনষ্ট পাক ট্যাঙ্কগুলির বেশির ভাগ এই অঞ্চলেই ধ্বংস হয়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জনৈক মুখপাত্র জানান, ছাম্ব এলাকায়ই পাকিস্তানীরা সর্বাধিক শক্তি নিয়ােজিত করেছে। এতে তােক এবং অস্ত্রবল বিনাশের পরও শত্রুরা পুনরায় ভারতীয় এলাকায় হানা দেয়। তবে কোনাে ভারতীয় অঞ্চল দখল করতে পারে নি।
সিন্ধু ও ভাওয়ালপুরে ৫ হাজার বর্গ কিলােমিটার এলাকা এখন আমাদের দখলে। জয়সলমীরের (রাজস্থান) লঙ্গলওয়ালা রণক্ষেত্রে তিনদিনব্যাপী তীব্র যুদ্ধের পর ভারতের সৈন্যদের অগ্রগতি ঘটে। শত্রুদের প্রচুর ট্যাঙ্ক ও গাড়ি ধ্বংস হলে পিছু হঠতে শুরু করে। এখানকার লড়াইয়ের তীব্রতার একটি দৃষ্টান্ত হলাে গত ৫ ডিসেম্বর ভারতীয় পদাতিক ও বিমান সেনারা একমাত্র এই রণক্ষেত্রে ৩০ টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে।
গুরুত্বপূর্ণ ক্যান্টনমেন্ট ছােড় এবং শহর নয়াছােড়ে-এর মধ্যবর্তী বিমানক্ষেত্রটি এখন ভারতের দখলে।
নয়াদিল্লীতে একজন সরকারী মুখপাত্র আজ রাতে জানান, ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানগুলি সুরিদ ছকলালা এবং ওয়ালটনে আক্রমণ চালালে তিনটি ফাইটার ও ২টি সি, ১৩০ ও ১টি পরিবহন বিমান ধ্বংস হয়।
সূত্র: কালান্তর, ৯.১২.১৯৭১