শহীদ মাে. রফিক
বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে। আর কতকাল সংসারের বােঝা বহন করবেন। ছেলেও বেশ বড় হয়েছে। এখন তাকে বিবাহ সাদি দিয়ে বৃদ্ধ পিতা সামান্য একটি প্রেস দিয়ে তার কত কাল এতবড় একটি বিরাট সংসারের ভার বহন করবেন। তাই রফিক পিতাকে এ বার অবসর নিতে অনুরােধ করলেন। পিতা ও রাজী হয়ে গেল। তবে রফিকের একটি বিবাহ দেওয়া একান্ত দরকার। পাত্রীও ঠিক হয়ে গেল। বৃদ্ধ পিতা ভাবী পুত্রবধূকে দেখবার জন্য দেশে গেলেন। আগামী চার পাঁচ দিনের ভেতরেই ছেলের বিবাহটা সেরে ফেলবেন এই তার আশা। কিন্তু বৃদ্ধের সে আশা আর পূর্ণ হয় না। তিন দিন পরে ঢাকায় ফিরে দেখেন তার প্রিয় পুত্র তার আশা ভরসার রফিক আর ইহ জগতে বেঁচে নেই। বর্বর সরকারের পুলিশের গুলি ২১ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজ হােস্টেল প্রাঙ্গণে রফিকের মস্তকের খুলি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। তার লাশের সংবাদও তারা আজও পাননি। দীর্ঘ ২৪টি বছর বৃদ্ধ পিতামাতা কত কষ্টে দুঃখে সন্তানকে মানুষ করেছেন। দশ মাস দশ দিন কত কষ্টে এই ছেলেকে গর্ভে ধারণ করেন তার মাতা। আর সেই ছেলের মস্তক মুহুর্তের মধ্যে পুলিশ রাইফেলের গুলি দ্বারা দিল উড়িয়ে। কে এর বিচার করবে? কে এই বৃদ্ধ পিতার আশাপূর্ণ করতে এগিয়ে আসবে? আজ ও তার পিতা বাদন আলীর বার্মাশিয়াল প্রেসে পুত্রশােকে মুহ্যমান। পুত্রের নাম শুনা মাত্র এই ষাট বছর বয়সের বৃদ্ধার চক্ষু আজও হয় অশ্রুবাণে ভরপুর। তার বিরাট পরিবার আজ উপবাস প্রায়। লীগ শাহী সরকারের কাছে এই পুত্রহারা বৃদ্ধ কি কিছুই আশা করতে পারে না। এজন্য জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের নামে যে সরকার দিচ্ছেন আজ কোটি কোটি টাকা বামপেনসােন অথচ একটি অমূল্য জীবনের পরিবর্তে তারা এক কপর্দকও দিতে নারাজ। আগামী সনের জাগ্রত জনসমাজের কাছে তারা এর কি কৈফিয়ত দেবে?
‘ভাষা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল কাসেম ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তক রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ এর সম্পাদক ও অন্যতম লেখক।
রফিকের সন্ধানে
বইপুস্তক পড়ে, পেপার পত্রিকা থেকে ভাষাশহীদ রফিক সম্পর্কে যেটুকু জেনেছি তা যৎসামান্য। আরাে জানার আকাক্ষা আর ক্ষুধা নিয়ে আজ চললাম রফিকের জন্মভিটার উদ্দেশে।
বই পুস্তক থেকে জেনেছি, ৫২ এর ভাষা শহীদ রফিকের জন্ম তৎকালীন মানিকগঞ্জ মহকুমার সিঙ্গাইর থানার পাড়িল বলধারা গ্রামে ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর।।
মানিকগঞ্জতাে আমার কাছের শহর, পরিচিত শহর। আর কিছু সুখস্মৃতি জড়ানাে পাড়িল গ্রামকে নিয়ে। সিঙ্গাইর থানার অধিবাসী পারিবারিক বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ী মিয়াজান কবিরকে সঙ্গী করে আমার এলিয়ন নিয়ে চলল আমাদের পাড়িলের বলধারা গ্রামে উদ্দেশ্যে ভাষা শহীদ রফিকের সন্ধানে। কেমন ছেলে ছিল বাবা আবদুল লতিফ আর মা রাফিজা খাতুনের পুত্র রফিকউদ্দিন আহমদ? কোন মাটি কাদা জলে হাওয়ায় বেড়ে উঠেছিলেন রফিক? কোন মাটির ঘরে জন্ম হয়েছিল তার? কোন মাঠে, নদী খালে, গাছের ছায়ায়, বন বাদাড়ে দাপিয়ে শৈশব কেটেছে? কোন অনুপ্রেরণায় ছােট বেলা থেকে রাজনৈতিক সচেতন হয়ে বেড়ে উঠেছিলেন? সব জানতে হবে আমার।
হাইকোর্টের ২৬নং কোর্টে সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব আমার।।
কোর্টের বিচারপতি মহােদয় আজ তাড়াতাড়ি বিচারকাজ শেষ করে নেমে গেলেন।
কোর্ট শেষ করে বাংলা একাডেমির গেট থেকে বাকু মিয়াজান কবিরকে তুলে নিয়ে চললাম।
মনে মনে পরিকল্পনা ছিল মিয়াজান কবির চেম্বারে এলে ওকে সঙ্গে নিয়ে তিনতলায় অলেমিনয়া রেস্টুরেন্টে থাই স্যুপ অথবা কর্নস্যুপ খেয়ে রওনা দেবাে। কিন্তু পৌনে বারটা বাজে তবু মিয়াজান পৌছাতে পারল না। বারটার সময় মােবাইলে বলল, সে বাংলা একাডেমি পর্যন্ত পৌছাতে পেরেছে। হেঁটে আসতে আরাে আধাঘণ্টা, বিশ মিনিট লেগে যাবে। তারচেয়ে তাকে বাংলা একাডেমির গেট থেকে তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিল। না খেয়ে ক্ষুধা পেটে রওনা হতে হলাে।
হেমায়েতপুর পৌছাতে পৌছাতে ক্ষিধে প্রচণ্ড বেগে সংকেত দিতে থাকলাে।
মিয়াজানের নির্দেশে হেমায়েতপুর বাজারে এক বাজারি হােটেলে ঢুকলাম। কী খাবেন ভাবী? ভাত?
ঘড়ি দেখে বললাম পৌনে একটা বাজে। এখন কী ভাত খাওয়ার সময় হয়েছে। তবে হালকা কিছুতে চলবে না। ভারী কিছু খেতে হবে।
দু’জনের জন্যে একটা করে ফোলানাে তন্দুর রুটি আর সবজি ডাল পরম তৃপ্তিতে খেয়ে আবার রওনা।
হেমায়েতপুর থেকে বা দিকের রাস্তা ধরে কিছুদূর এগিয়ে সিঙ্গাইরের রাস্তা ধরলাে ড্রাইভার কালাম মিয়াজান কবিরের নির্দেশিত পথে। সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ডের পর বড় রাস্তার দুধারে উঠতি বাড়িঘর। বাড়ির পাশে ক্ষেত খামার। ক্ষেতে ক্ষেতে পাকা সােনা রং সরিষা। কিছু পাকা সরিষা কেটে ক্ষেতেই শুকোতে দেয়া আছে।
কোন কোন ক্ষেতের সরিষা বাড়ি নিয়ে তােলা হয়েছে। মৌসুমের বসন্ত চলছে। পথের দু’পাশের নালা, খাল, বিল পানিশূন্য। আমাদের চলার যেন আর শেষ নেই। গ্রামের ভেতর দিয়ে পাকা রাস্তা, একটা গ্রাম্য বাজার পেরিয়ে এখান আরাে একটু সামনে। প্রাইমারি স্কুল একটা, মিয়াজান কবির বলল, গাড়ি রাখতে। আমাকে নিয়ে চলল স্কুলের ভেতর।
বেলা দ্বিপ্রহর
ঘড়িতে দুইটা বাজে। স্কুলের ছােট ছােট ছেলে মেয়ে সবে মাত্র টিফিন পিরিয়ডের খেলাধুলা, দৌড়ঝাপ শেষ করে আবার ক্লাসে ক্লাসে বসেছে সভ্যভব্য ছাত্রের মতাে। আমরা গিয়ে ঢুকলাম প্রধান শিক্ষয়িত্রীর রুমে। না, এটা শুধু মাত্র প্রধান শিক্ষয়িত্রীর রুম না। সকল শিক্ষক শিক্ষিকা এই রুমেই বসেন ক্লাসের ফাকে।
প্রধান শিক্ষয়িত্রী কুররাতুল আইন খুব আন্তরিক ভাবে বসতে দিলেন তাঁর পাশের চেয়ারে।
মিয়াজান কবিরের কথায় এবং চলনে বােঝা গেল তিনি এখানে খুব পরিচিত এবং শিক্ষকদের প্রিয়।।
মিয়াজান কবির পরিচয় দিলেন আমার। প্রধান শিক্ষয়িত্রী আরাে তৎপর হয়ে উঠলেন। সকল শিক্ষকদের সঙ্গে পরিচিতির পর গেম টিচারকে বললেন, ছাত্র ছাত্রীদের আবার মাঠে নামাতে। আবার অ্যাসেমব্লিতে দাঁড় করাতে।
অ্যাসেমব্লি প্রস্তাব হতে গেম টিচার এসে বললেন। প্রধান শিক্ষয়িত্রী বললেন, আপা চলুন আমার ছাত্রদের সঙ্গে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেই। ওরা আপনাকে দেখলে খুব খুশি হবে। একজন মুক্তিযােদ্ধাকে সচোখে দেখতে পাবে। এটা ওদের জন্যে অনেক বড় কথা। শুধু ওদের জন্য কেন আপা, আমিও আজ ধন্য মনে করছি নিজেকে। আপনি মুক্তিযােদ্ধা, আপনি লেখক। একজন মহিলা মুক্তিযােদ্ধাকে দেখতে পেলাম, একজন খ্যাতিমান লেখককে দেখতে পেলাম।
ছাত্রছাত্রীদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম মাঠে। নীল রঙের ফ্রক মেয়েদের। ছেলেদের নীল রঙের শার্ট। ৩০০ ছেলে-মেয়ে লাইন করে দাঁড়ানাে। প্রধান শিক্ষয়িত্রী তার বক্তব্য শুরু করলেন, তােমরা হয়তাে ভাবছ এসময়ে আবার কেন তােমাদের অ্যাসেমব্লিতে ডাকা হলাে। তােমাদের একটা খুশির সংবাদ দেই। আমি তােমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা, মুক্তিযােদ্ধাদের গল্প বলেছি না! ছেলেরা সমস্বরে বলল, জি আপা। আজ তােমরা নিজের চোখে একজন মুক্তিযােদ্ধাকে এখানে দেখতে পাচ্ছ। আমাকে দেখিয়ে বললেন ইনি একজন মুক্তিযােদ্ধা। দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন ১৯৭১ সালে। দেশ স্বাধীন করেছেন। আস আমরা তাকে স্যালুট দেই। বাচ্চারা তাদের শেখানাে কায়দায় স্যালুট দিল। আমার লেখক পরিচয় দিলেন। বাচ্চারা তাদের শারীরিক কসরত দেখানাে আমরা করবাে জয়… গানের তালে তালে। মাইকে গান বাজানাে হলাে। আমি অভিভূত।
ছেলেদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিলাম
ছেলেমেয়েরা ক্লাসে চলে গেলে আমরা ফিরে এলাম শিক্ষয়িত্রীদের রুমে। যে রুমে ততক্ষণে আমাদের জন্য আপ্যায়ন প্রাপ্ত। রসমালাই, কমলা, পেয়ারা, বিস্কুট, আঙ্গুর। বােতলভর্তি পানি।
খেতে খেতে গল্প আলাপ, চোখ ঘুরিয়ে স্কুলের নাম পড়ে নিলাম। স্কুলের নাম ‘সােনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমার বক্তব্যে ছেলেদের বলেছিলাম, তােমাদের এই সিঙ্গাইর থানার একজন ভাষা শহীদের বাড়ি। বলতে পার সেই ভাষা শহীদের নাম কী?
সকলে সমস্বরে নাম বলল—ভাষা শহীদ রফিক।
এটা ভাষার মাস। আমি আজ তােমাদের গ্রামে এসেছি সেই ভাষা শহীদ রফিকের সন্ধানে। স্বচোখে তার বাড়ি ঘর দেখতে। তার গ্রাম নদী, দেখতে। দেখে গিয়ে ভাষা শহীদদের নিয়ে নতুন একটি বই লিখব তােমাদের জন্যে।
সহকারী শিক্ষয়িত্রী সামসুন নাহার খান নিজের পরিচয় দিলেন যে তিনি শহীদ রফিকের মামাতাে বােন। প্রাক্তন পাড়িল গ্রামের নাম এখন রফিকনগর। আমরা সিঙ্গাইরে ঢােকার মুখে আরাে অনেক কিছু দেখেছি। দেখে প্রীত হয়েছি। ধলেশ্বরী নদীর ওপর ধলেশ্বরী ব্রিজের নাম বদলে রাখা হয়েছে শহীদ রফিক সেতু। চওড়া পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে রফিক সড়ক। ওদের কাছে বিদায় নিয়ে এসে ঢুকলাম পাড়িল বলধারা গ্রামে।
গ্রামে ঢােকার মুখেই চোখে পড়ল ভাষা শহীদ রফিকউদ্দিন আহমদ স্মৃতি জাদুঘর ও পাঠাগার। দৃষ্টিনন্দন। সুরম্য সাদা দালানের সামনে মাঠ। ভেতরে ভাষা আন্দোলনের অনেক দুর্লভ ছবি সংরক্ষণ করা হয়েছে। পাঠাগার ও স্মৃতি জাদুঘরের দেখভাল করার জন্য একটি শক্তিশালী কমিটি রয়েছে। কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযােদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার তােবারক হােসেন লুডু। আলমারিতে আলমারিতে প্রচুর বই পুস্তক থরে থরে সাজানাে।
দেখে ভালাে লাগলাে।
গ্রামের সরু পাকা রাস্তা দিয়ে একেবারে রফিকের বাড়ির আঙ্গিনায়। গাছের ছায়ায় ঢাকা নিরিবিলি গ্রাম। প্রথমেই চোখে পড়ে রফিকের বাড়ির বাহির আঙ্গিনায় সাদা ধবধবে শহীদ মিনার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শহীদ মিনারই পথচারীদের বলে দেয় এটা কোনাে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বাড়ি। জাতীয় শহীদ মিনারের আদলে গড়া শহীদ মিনার। পাশেই পাশাপাশি দুটো আধাপাকা দালানঘর। বাঁশের বেড়া দিয়ে ভেতরে অন্দর বাড়ি।
প্রথমে ভেবেছিলাম বাড়িটি ফাঁকা। লােকজন নেই। নির্জন বাড়ি। আমাদের আগেই আরাে একটি দল এসেছে শহীদ রফিকের সন্ধানে সাদা একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে রাস্তার পাশে। চার জনের দলটি প্রচুর ছবি তুলছে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে বসে। আলাপে জানা গেল তারাও এসেছেন ঢাকা থেকে। নাটকের নাট্যকর্মী তাঁরা মনে করিয়ে দিল এটা ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস। বাঙালির শ্রদ্ধাভক্তি এমাসে খুঁজে ফিরবে ভাষা শহীদদের।
আমাদের আলাপচারিতার ভেতর থেকে একজন বৃদ্ধা বেরিয়ে এলেন লাঠিতে ভর দিয়ে। তিনি এ বাড়ির বর্তমান বাসিন্দা। রফিকের ছােট ভাই এর বিধবা পত্নী।
উঠোনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ তার সঙ্গে কথা বললাম। তিনিই জানালেন প্রশিকা’ নামক একটি এনজিও রফিকের জন্মভিটায় এ আধাপাকা ঘর, শহীদ মিনার বানিয়ে দিয়েছে।
কিছু ছবি তুলে চলে এলাম একটু দূরে রফিকের বাকদত্তা পানুবিবির বাড়িতে। পানুবিবি আজ সাত সন্তানের জননী। ছয়টি ছেলে, একটি মেয়ে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। ছেলেমেয়েদের সকলের বিয়ে হয়েছে। যার যার সংসারে গিন্নীবান্নায় ব্যস্ত জীবন। পানু বিবি বাইরের কারাে সঙ্গে দেখা করেন না তেমন। রফিকের সঙ্গে বিয়ের পানচিনি (আ) হয়ে গিয়েছিল ১৯৫২ সালে। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ ভাষা মিছিলে রফিক শহীদ হওয়ার পর রফিকের পিতামাতার পছন্দের মেয়ে পানুবিবির বিয়ে হয় রফিকের ছােট ভাই আবদুর রশিদের সঙ্গে।
রফিক চলে গেছে কিন্তু একটি আকদ এর জন্য রফিকের স্মৃতি পানুবিবিকে ছেড়ে যায়নি। ভাষা শহীদের সঙ্গে পানুবিবিও ইতিহাসে স্থান করে নিলেন।
পানুবিবি গ্রামে নেই। শূন্য বাড়ি। শুধু এক কোনে একটি ঘরে একটি দুখণ্ড পরিবার বাড়ি পাহারায়।
পানুবিবি ঢাকার পুরানা পল্টনে ছেলের বাসায় থাকেন। ছেলের পুরানা পল্টনে প্রেসের ব্যবসা। প্রেসের নাম ‘রফিকের বর্ণমালা প্রেস’। সিদ্ধান্ত নিলাম একদিন। পুরানাে পল্টনের বাসাতেই যাবাে পানুবিবিকে দেখতে।।
দিনান্তে গােধূলিলগ্নে গ্রামের মেঠোপথ নয়, পাকা রাস্তা ধরে ফিরে চললাম ব্যস্ত ঢাকার উদ্দেশে।
সিঙ্গাইর বাস স্ট্যান্ডে রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লাম। হােটেলে বসে দুপুরের ভাত খেলাম। ছােট মাছের চচ্চড়ি আর ডিমের তরকারি দিয়ে।
সূর্যাস্তের সাথে সাথে আমাদের এলিয়ন এগিয়ে চলল শহীদ রফিক সড়ক ধরে ঢাকার উদ্দেশে।
সূত্র: ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও দলিল – সাহিদা বেগম