You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.18 | ইতিহাসের নিয়তির পথে ভারত | কম্পাস - সংগ্রামের নোটবুক

ইতিহাসের নিয়তির পথে ভারত

ইতিহাসের অমােঘ নির্দেশ কখনাে কখনাে এমন অনিবার্যরূপে এসে উপস্থিত হয় যখন আর কোনাে বিকল্প পথ বাছাই করার থাকে না। আজ ভারতের কাছেও বাছাই করে নেবার মতাে কোনাে ভিন্ন পথ ছিল না। বাংলাদেশ নিয়ে যে পরিস্থিতি হয় তার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারত না-চেষ্টা করেছে এমন কিছু নেই। গত আট মাস যাবৎ ক্রমাগত বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানি স্বৈরাচার ও অত্যাচারের প্রতিকারের জন্য ভারত কতই না চেষ্টা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং দোরে দোরে ঘুরে এসেছেন। কিন্তু কর্তব্যবিমূঢ় রাষ্ট্রগােষ্ঠির চিন্তাচেতনার পরিবর্তন ঘটানাে সম্ভব হয়নি। ভারতকে প্রায় সবাই মিলে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চেষ্টা করেছে। তখন মনে হতে পারতাে ভারত বুঝি সত্যিই একাকী, অসহায়।
কিন্তু ভারত অসহায় নয়, কেননা ইতিহাস তার পক্ষে। একা ইতিহাস সমস্ত পৃথিবীর রাষ্ট্রনায়কদের বেঈমানীকে ব্যর্থ করে দেবার ক্ষমতা রাখে। ইতিহাস যদি আমাদের কাছে আজ এমন এক কর্তব্য সাধনের দায়িত্ব ও আদেশ দিয়ে থাকে, যাকে আজ আর এড়ানাে সম্ভব নয় কোনাে মতেই, তবে আমরা সে দায়িত্ব ক্ষুন্ন মনে বা দ্বিধাগ্রস্ততায় গ্রহণ করবাে না। যত ভয়ঙ্কর, যত বিপদজনক, যত ক্ষয়ক্ষতিকরই হােক না কেন সে দায়িত্ব; আমাদের নির্ভয়ে সে দায়িত্ব নিতে হবে, এবং শেষ পর্যন্ত ইতিহাস আমাদের বঞ্চিত করবে না। আমরা বাংলাদেশের মুক্তির জন্য নিজেদের বিপন্ন করেছি বটে, পশ্চিম থেকে বিপুল আক্রমণের সামনে পড়েছি বটে, হাজার হাজার ভারতীয় (কেবল বাঙালি নয়) জোয়ান ও নাগরিক ইতিমধ্যেই প্রাণ দিয়েছেন বটে, তথাপি আজ আমাদের বিন্দুমাত্র ইতস্তত করা চলবে না। জয় আমাদের অবশ্যম্ভাবী, বাংলাদেশের মুক্তিও অবশ্যম্ভাবী এবং আসন্ন। যদি ইতিহাসে কোনাে সত্য থেকে থাকে, সে সত্যের সন্তান হিসেবে ইতিহাসের আর্শীবাদ আমরা পাবােই। এতএব মা ভৈ।
আবার বলি, আমরা যদি ইতিহাসের নিয়তি নির্দিষ্ট পথে বা Destiny of India- -র হারানাে সুরটা খুঁজে পেয়ে থাকি এত দিন পরে তবে সে আমাদের সৌভাগ্যের কথা। এই Destiny-র পথ থেকে সুবিধাবাদী কারণে বিপথগামী বা ভ্রষ্ট হওয়ার জন্যই, কি ভারত কি পাকিস্তান এমন অন্ধগলির মধ্যে এসে পড়েছিল। আমাদের নেতৃত্বের এক জেনারেশন এই অন্ধগলিকে স্বর্গরাজ্য মনে করে নিশ্চিন্ত ছিলেন, আর বন্ধুবেশী সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলাে আমাদের অন্ধতা ও অজ্ঞতার তারিফ করে যাচ্ছিলেন। আমাদের ইতিহাস ও Destiny উভয়কেই আমরা চোখ বুজে অস্বীকার করে এসেছিলাম। কিন্তু ইতিহাস শেষ পর্যন্ত আমাদের এড়াতে দেয়নি। আজ আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এতদিনে আমাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব গ্রহণ করতে পেরেছি। যদি আমাদের কর্তব্য পালন সম্বন্ধে কোনাে দ্বিধা না থাকে, তবে কার্যক্ষেত্রে যে সমস্ত ছােটখাট ভুলত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক, ইতিহাস তা সংশােধন করে দেবে।
কিন্তু তাই বলে আমরা অসতর্ক হতে পারি না, জাতির এই সংকটকালে। বর্তমানে যুদ্ধ একটা critical অবস্থায় এসে পৌছেছে। বাংলাদেশের যুদ্ধ নিয়ে অবশ্য ভাবনা নেই, যতদিন এই লেখা ছাপার অক্ষরে বের হবে, ততক্ষণে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ স্বাধীন হয়ে যাবে। কিন্তু যুদ্ধ এখানেই শেষ হবে না। পশ্চিমাঙ্গনের যুদ্ধই আসল যুদ্ধ, যে যুদ্ধ পাকিস্তান নিজ দায়িত্বেই খােলাখুলি আক্রমণের সাহায্যে লাগিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তান জানতাে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ লাগলে, বাংলাদেশ তাকে হারাতেই হবে, এমন কি বাংলাদেশ থেকে তার সৈন্য ও সম্ভার হটিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তবু এখানে প্রচুর সৈন্যসামন্ত রেখেছিল, একটা সামরিক ব্লাফ সৃষ্টি করে রাখার জন্য, ভারতকে ভয় দেখাবার জন্য। ভারত সে ভয়ে শেষ পর্যন্ত বিভ্রান্ত হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের ব্লাফটা ধরা পড়ে গেছে, যুদ্ধশাস্ত্রের খতিয়ানে পাকিস্তানের আহামুকি ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে সন্দেহ নেই।
কিন্তু পশ্চিম দিগন্তে তারা মরিয়া হয়ে লড়েছ, লড়বে। আঘাতের পর আঘাত সংঘটিত করে ভারতকে জব্দ করার চেষ্টা করছে ও করবে। কাশ্মীরকে ভারত ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবার চেষ্টা করছে ও করবে। পশ্চিম ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করার চেষ্টা করছে ও করবে। তথাপি পাকিস্তানের এবারে নিস্তার নেই। অর্থাৎ পাকিস্তানের সামরিক জুন্টার কোমর জন্মের মতাে ভেঙে না দিতে পারলে ভারতেরও এ উপমহাদেশের (পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের সহ) প্রকৃত মুক্তি নেই। অতএব আজ যদি বাংলাদেশকে মুক্তি দিতেও তারা রাজী হয়, তথাপি দেখতে হবে ভূট্টো-ইয়াহিয়া গােষ্ঠির হাত থেকে পশ্চিম পাকিস্তান ও যাতে মুক্তি পায় এবং সেখানেও সত্যিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু হয়। ভারতের যুদ্ধ-লক্ষ্য বা war-aims সম্বন্ধে কোনাে অস্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত নয়, ইতিহাসের নির্দেশ পালনে আবার যেন আমরা ভুল না করি।
বৃহৎ শক্তিগুলাে শেষ মুহুর্তে অৰ্দ্ধং ত্যজতি নীতি অবলম্বন করে পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জুন্টাকে বাঁচাবার জন্য চেষ্টা করতে পারে। এই জুন্টার সঙ্গে আবার কোনাে যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে আসা ঠিক হবে না। আর চীন যদি মনে করে, তার প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ এই জুন্টাকে রক্ষা করতে পারবে তা ভুল। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে সবাই মিলে যেমন ভারতের ষড়যন্ত্র ও পাক-ভারত সমস্যা বলে চালাতে চেয়েছিল, আজ চীন তেমনি এই পরিস্থিতিতে সােভিয়েত রাশিয়ার চক্ৰচক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বলে তার নিজের স্বার্থটাকে হাসিল করার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সােভিয়েতকে জড়াতে গিয়ে চীনের লাভ হবে না, এবং এ বিষয়ে আমেরিকার সাহায্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারবে একটা বিশ্বসংগ্রাম লাগিয়ে দিয়ে এ বিশ্বাস তারও হয়তাে নেই। অতএব চীনের এই ব্লাফটাও অবিলম্বে ধরা পড়ে যাবে। এই সগ্রামে যেটা আসল কারণ—অর্থাৎ বাংলাদেশের মুক্তি পাকিস্তানি অসহ্য স্বৈরাচার থেকে তাকে এড়িয়ে ইতিহাসকে ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
যাই হােক এই যুদ্ধে জয় আমাদের অনিবার্য, বাংলাদেশের মুক্তিও অনিবার্য। কিন্তু রাজনৈতিক ভুল যেন আমাদের না হয় যুদ্ধে জিতেও যেন শান্তি চুক্তি কালে প্রবঞ্চিত না হই। আজ জাতি ও তার নেতৃত্বের সম্মুখে এই অগ্নিপরীক্ষা বর্তমান। এখানে আমাদের দৃঢ়তা ও দৃষ্টির স্বচ্ছতা থাকা দরকার।
ভারতের সম্মুখে এখনই অন্য একটা বড় দায়িত্ব উপস্থিত। সে হলাে স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্বিন্যাস ও রিহ্যাবিলিটেশন। কেবল এককোটি শরণার্থীকে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই সব নয়। বাংলাদেশের ভিতরেই কোটি কোটি লােক আজ গৃহহীন, বৃত্তিচ্যুত, উদ্বাস্তু। এ দায়িত্ব অবশ্য প্রধানত বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সরকারেরই তথাপি অন্ধও আজ বুঝতে পারে যে বাংলাদেশের এই কঠিন ও কঠোর দায়িত্ব পালনে ভারতের পক্ষে প্রচুর সাহায্য দিতে হবে বেশ কয়েক বছর ধরে।
বাংলাদেশে এক্ষুণি যা দরকার, তা হলে সেখানে শান্তি ও শৃঙ্খলা স্থাপন। ওখানে আর কোনাে গৃহযুদ্ধের স্বপ্ন যেন এখন কেউ না দেখেন। সমগ্র বাংলাদেশ আজ প্রায় পােড়ামাটিতে পরিণত হয়েছে, রক্তের দাগ মিলিয়ে যায়নি, এখনও দাউ দাউ করে জ্বলছে গ্রাম জনপদ। রাস্তাঘাট ও যােগাযােগ ব্যবস্থা চূর্ণ বিচূর্ণ, কোটি কোটি লােক গৃহহীন। পৃথিবীর বৃহত্তম একটি পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের চ্যালেঞ্জ সেখানে উপস্থিত। কোনাে প্রকার দায়িত্বহীন নতুন কোনাে গৃহযুদ্ধের কথা সেখানে ভাবা যায় না, ভাবা উচিত নয়।
ভারত থেকে নানা ধরনের অফিসার সেখানে পাঠাবার কথা উঠেছে। কিন্তু এখানে আমাদের বিশেষ সাবধান হতে হবে। আমরা যেন ওখানে কোনাে আমলাতন্ত্রের পুনঃস্থাপন করতে না যাই, আমাদের বুরােক্রেসি, অকর্মন্যতা ও দুর্নীতি যেন সেখানে সংক্রামিত না করি। আমাদের মনে রাখা দরকার (এবং বাংলাদেশের নেতাদেরও মনে রাখা দরকার) যে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা একটি বিপ্লব, অতএব বিপ্লবােত্তর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামাে প্রাক-বিপ্লবী স্বৈরাচারী প্রশাসনিক কাঠামাের অনুকরণ বা পুনর্বাসন হলে চলবে না। ক্ষত বিক্ষত বহু সগ্রামে জাগ্রত জনতার প্রত্যক্ষ সহযােগিতা যদি পেতে হয়, তবে তার প্রশাসনিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে, সত্যিকার গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক ও ধর্ম নিরপেক্ষ এক বিপ্লবী রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ব্যবস্থাও গণতান্ত্রিক হওয়া চাই নইলে সবটাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। এটা ক্ষমতার হস্তান্তর বা transfer of power এর ব্যাপার হচ্ছে না, পাকিস্তানের হাত থেকেও ক্ষমতা তারা গােলটেবিল বৈঠক থেকে পাচ্ছেন না, অথবা ভারতীয় সৈন্যবাহিনীর কাছ থেকেও তারা সে ক্ষমতা নিচ্ছেন না, এ তাদেরই ক্ষমতা তারা নিজেরা জান দিয়ে অর্জন করছেন, ভারত তাতে সাহায্য করছে মাত্র। ভারত কোনাে ক্রমেই সে ক্ষমতার অংশীদার বা দাবিদার নয়—এতটুকুর জন্যও। অতএব বাংলাদেশের জনসাধারণকে সর্বদা নিজের পায়ে দাঁড়াতে, নিজের ঘর নিজেকে গুছিয়ে নিতে সাহায্যে করা ছাড়া ওখানে আমাদের বিন্দুমাত্র অন্য কোনাে কর্তব্য নেই।
বাংলাদেশ নিশ্চয়ই অবিলম্বে তার নিজের শাসনতন্ত্র ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরি করে নেবে। সেখানেও ভারতকে অনুকরণ করার মতাে বিশেষ কিছুই নেই। ভারত এ বিষয়েও কোনাে খবরদারি করতে যেতে পারে না। কিন্তু সহযােগিতা করতে পারে সেখানে, এবং সহযােগিতা করা অবশ্যম্ভাবী, যেখানে উভয় দেশের স্বার্থে মিলিত অর্থনৈতিক উদ্যোগের প্রয়ােজন আছে। যথা নদী নালা শাসন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসা বাণিজ্য, যােগাযােগ ব্যবস্থা, রেল, রাস্তা, নদী-পথ, আকাশযান ইত্যাদি ব্যাপারে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও প্রসারণের ব্যাপারে যুক্ত আত্মরক্ষার ব্যাপারে, কারিগরী সাহায্যের ব্যাপারে, শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিনিময়ের ব্যাপারে বিস্তৃত সহযােগিতার ক্ষেত্র বর্তমান। তাছাড়া শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া ও তাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে উভয় দেশের মধ্যে প্রচুর সক্রিয় সহযােগিতা ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র বর্তমান। শরণার্থীদের জোর করে ধরে নিয়ে গেলেই চলবে , তারা যাবে কোথায়, উঠবে কোথায়, সে সব ব্যবস্থা সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে।
এ সমস্ত করতে গিয়ে ভারতের যেন কোনাে অভিমান বা অহঙ্কার দেখা না দেয়। আজ বাংলাদেশ ভারতের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ এবং এ কৃতজ্ঞতা দেখাতে তারা কুণ্ঠিত নয়। কিন্তু এ কৃতজ্ঞতার যেন আমরা অপব্যবহার না করি। আমাদের জানা উচিত ভারতকে নিজে রাহুমুক্ত হতে বাংলাদেশ আমাদেরও কম উপকার করলাে না। বাংলাদেশ ভারতবর্ষ থেকে সাম্প্রদায়িকতা দূর করে দেবার পথ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোমর ভেঙে দিয়েছে। বাংলাদেশই আমাদের ঝিমিয়ে পড়া জাতীয় জীবনে প্রাণ সঞ্চার করে দিয়েছে। আসমুদ্র হিমাচল ব্যাপী ভারতের বিরাট বিপুল জনমনে ঐক্যবােধ ও ইতিহাস চেতনা বা ডেস্টিনিবােধ জাগিয়ে দিয়েছে। A shot in the arms বলতে যা বােঝায় তাই করেছে বাংলাদেশ লক্ষ লক্ষ প্রাণ বলি নিয়েও। হয়তাে এবারে ভারত সত্যি সত্যিই জাগবে। সে সুযােগ আমরা পেয়েছি। আমাদের মৃতপ্রায় রাজনীতিতে প্রাণের জোয়ার আসতে পারে আজ। পূর্বদিক থেকে যে সূর্য উঠেছে, তার আলােতে আমরাও পথ দেখতে পাবাে। আমাদের জনজীবন আবার উদ্বুদ্ধ হতে পারে। এ কেবল বাংলাদেশেরই মুক্তি নয়। এ ভারতেরও মুক্তি। বস্তুত ঘরের কাছে এত বড় একটা বিপ্লবের ফল আমরাও পাবাে_বস্তুত যে কোনাে দেশের বিপ্লব সকল দেশকেই সমৃদ্ধ করে, ইতিহাসকেও সমৃদ্ধ করে। অতএব আমরাও বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ, একা বাংলাদেশই ভারতের নিকট কৃতজ্ঞ নয়।

সূত্র: কম্পাস, ১৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১